ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় আন্তর্জাতিক ভূমিকা নগণ্য

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৮ মে ২০১৫

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায়  আন্তর্জাতিক ভূমিকা নগণ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা দাতা সংস্থার ভূমিকা একেবারে সামান্য বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম ম-ল। রবিবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিমুখী সহযোগিতা : দক্ষিণের উন্নয়নে অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের বিকেলের এক অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এই অভিযোগ করেন। ‘কৃষিতে প্রায়োগিক উদ্ভাবন ও যথাযথ প্রযুক্তি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন। এতে অপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের। ড. রফিকুল ইসলাম ম-ল বলেন, আইএফ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি ও জাইকা বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা বা গবেষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ বা প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যে সহয়তা দেয় তা একেবারে নগণ্য। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের গবেষণা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উদ্ভাবিত বারি ধান-২৮ ও বারি ধান-২৯ কৃষকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এসব ধানের উৎপান এখন দেশীয় ধান উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশ। এছাড়া আমাদের গবেষকরা লবণ, তাপ ও খরা সহিষ্ণু কিছু ধান, গম ও আলুর জাত উদ্ভাবন করেছেন বলেও জানান তিনি। বারি মহাপরিচালক বলেন, টমেটো শীকালীন সবজি হলেও এখন তা গ্রীষ্মকালে উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের গবেষকরা এমন জাত উদ্ভাবন করে বলে জানান তিনি। যা পলি টানেলের নিচে চাষ করা হয়। পিকেএসএফ’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের তার উপস্থাপনায় বলেন, দেশে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণ হয়ে থাকে পিকেএসএফ’র মাধ্যমে। তারা কৃষি ঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার, নীতি সহায়তা ও তা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সুদানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশে তেল বীজের ঘাটতি থাকে প্রায় ৭০ শতাংশ আর সুদানে তেল বীজ উদ্বৃত্ত থাকে প্রায় ৭০ শতাংশ। দুই দেশের মধ্যে যদি তা বিনিময়ে কোন চুক্তি হয় তাহলে উভয়ে লাভবান হতে পারে।
×