ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৭ মে ২০১৫

গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড়ে প্রতিদিন লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের মূল্যসূচক। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো এবং পুঁজিবাজারে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে নির্দেশনার পর উভয় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে গত সপ্তাহে গড়ে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১০৭ শতাংশ। এই সময়ে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানির তুলনায় পুরাতন কোম্পানিগুলোর দর বেশি বেড়েছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯শ’ ৭৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪শ’ ১৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহটিতে মোট ১০৬ দশমিক ৬ বা প্রায় ১০৭ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। অর্থাৎ ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন বেড়েছে ২৩৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৫৯৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এদিকে ডিএসই সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ১৯২ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ বা ৬৫ দশমিক ৫১ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৩৬ দশমিক ০৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টার্নওভারের শীর্ষে অবস্থান করছে জ্বালানি ও বিদ্যুত খাত। আর সর্বনিম্নে অবস্থান করছে পাট খাত। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। লেনদেনে এ খাতের অংশ ছিল ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল এ খাতের। চতুর্থ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। এ খাতের অংশ ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ১ শতাংশ ছিল এ খাতের। এছাড়া সার্ভিস খাতের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতের ৪ দশমিক ২ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৪ শতাংশ, সিরামিক ও আইটি খাতের ২ দশমিক ৭ শতাংশ করে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২ শতাংশ, সিমেন্ট খাতের ১ দশমিক ৭ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ১ দশমিক ৩ শতাংশ, সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা খাতের অংশ ছিল ১ শতাংশ, ট্যানারি খাতের ছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ, কাগজ খাতের শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং ভ্রমণ খাতের ছিল দশমিক ২ শতাংশ।
×