ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চল্লিশ বছরেও নির্মিত হয়নি শুভাঢ্যা খালের ওপর সেতু

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৭ মে ২০১৫

চল্লিশ বছরেও নির্মিত হয়নি শুভাঢ্যা খালের ওপর সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৬ মে ॥ ৪০ বছরেও নির্মিত হয়নি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খালের চরকুতুব এলাকার সেতুটি। গত ৪০ বছরে এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিভিন্ন সরকারের আমলের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় চেয়ারম্যানরা। অনেক আবেদন নিবেদন করার পরও কোন ফল পাননি এলাকাবাসী। বাধ্য হয়ে তারা খেয়া নৌকা দিয়ে খাল পার হচ্ছেন। ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খালের ওপর গত ৪০ বছরে ১০টি সেতু নির্মিত হলেও চরকুতুবের সেতুটি এখনও নির্মিত হয়নি। কয়েকটি গ্রামের ২ লক্ষাধিক বাসিন্দা এ পথ দিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করছেন। এখানে রয়েছে একাধিক স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কয়েক হাজার গার্মেন্টস কারখানা। আরও রয়েছেÑ কেরানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, জিনজিরা পিএম হাইস্কুল (বালক/বালিকা), চরকুতুব প্রাথমিক বিদ্যালয়। কৈবত্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চুনকুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতিকষ্টে খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন। এলাকাবাসী জানান, এলাকার কোন লোক মারা গেলে ওই খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার হয়। একাধিকবার নৌকা থেকে বর্জ্য ময়লা পানিতে পড়ে গেছে মৃতদেহ, শিশু, বৃদ্ধসহ অসুস্থ রোগী। এ ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা খেয়া নৌকার পারাপারের টাকা দিতে না পারলে মাঝির গালাগাল শুনতে হয় তাদের। তাছাড়া রাত ৯টার পর খেয়া নৌকা পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। গার্মেন্টস শ্রমিক, ব্যবসায়ীরা পড়েন বিপাকে। বাধ্য হয়ে তারা ওই বর্জ্য ময়লা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে খাল পারাপার হয়। বৃদ্ধরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সেতুর অভাবে। এলাকার রোগীরা যোগাযোগের অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, সেতুর অভাবে অসুস্থদের হাসপাতাল ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশী বলেন, চরকুতুব গ্রামটি দু’ভাগে বিভক্ত। তার একটি অংশ হচ্ছে চরকুতুব দক্ষিণ এবং খালের উত্তর পাশে চরকুতুব উত্তর। গ্রামটিকে দু’ভাগে বিভক্ত করছে শুভাড্যা খাল। কেউ নজর না দেয়ায় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই বর্ষা মৌসুমে এ সেতুর কাজ করা কঠিন হবে। তবে বর্ষা মৌসুমের পর তিনি সেতুটি নির্মাণ করে দেবেন বলে জানান।
×