ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাতারের সঙ্গে এলএনজি আমদানি এমওইউর মেয়াদ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৬ মে ২০১৫

কাতারের সঙ্গে এলএনজি আমদানি এমওইউর মেয়াদ বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাতারের সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি আমদানির সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। উদ্যোগ নেয়ার চার বছরেও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করতে না পারায় এমওইউটির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে অনুরোধ করে সরকার। এর প্রেক্ষিতে কাতার তা এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে। আগামী জুনে এমওইউটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। জ্বালানি সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক জনকণ্ঠকে বলেন, এমওইউর মেয়াদ এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে কাতার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য টার্মশীটে স্বাক্ষর করেছি। আশা করছি ২০১৭ এর শুরুতে এলএনজি আসবে দেশে। দেশের জ্বালানি সঙ্কট মেটাতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন এলএনজি আমদানির জন্য কাতারের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করে সরকার। জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে বিগত ২০১১ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে এমওইউটি স্বাক্ষর হয়। কথা ছিল ২০১৫ এর জুন পর্যন্ত এই এমওইউ-এর মেয়াদ ছিল। এর মধ্যেই টার্মিনাল নির্মাণ করে এলএনজি আমদানি করতে হবে। কিন্তু জ্বালানি বিভাগের ব্যর্থতায় ২০১১ সালে দরপত্র আহ্বান করেও কোন কোম্পানিকে কাজ দেয়া সম্ভব হয়নি। এমওইউ অনুযায়ী কাতার প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করবে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এলএনজি টার্মিনাল ব্যবহার টার্মশীট স্বাক্ষর হয়েছে। ফ্লোটিং স্টোরেজ এ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশনের জন্য (এফএসআরইউ) জন্য পেট্রোবাংলা এবং এক্সিলারেট এনার্জি পার্টনারশিপের মধ্যে টার্ম শীট স্বাক্ষরিত হয়। কোম্পানিটি নয় মাস সমীক্ষা এবং নক্সা প্রণয়ন করবে। পরবর্তী ১৬ মাসে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে। মোট ২৫ মাসের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে টার্মিনালটি গ্যাস সরবরাহ শুরু করবে। টার্মিনালটির ধারণক্ষমতা হবে দুই লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার। দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করতে পারবে। এ জন্য প্রতিদিন রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য দুই লাখ ৩৮ হাজার ডলার খরচ পড়বে। এর মধ্যে স্থায়ী ব্যয় দৈনিক ধরা হয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ১৮৬ ডলার, পরিচালনা ব্যয় ৪৫ হাজার ৮১৪ ডলার এবং অন্যান্য ব্যয় ৩২ হাজার ডলার। এই চুক্তি ১৫ বছর বলবৎ থাকবে। প্রতি ইউনিট গ্যাসের রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য দশমিক ৪১ ডলার লাগবে অন্যান্য সকল খরচ যোগ করে যা দাঁড়াবে দশমিক ৪৭৪ ডলার। প্রসঙ্গত ২০১০ সালে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরপর দরপত্রসহ অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলো এগোলেও কাজ দেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীকালে বিদ্যুত জ্বালানি সরবরাহ বিশেষ আইনে দরপত্রের সর্বনিম্ন দরদাতা এক্সিলারেট এনার্জি পার্টনারশিপকে কাজটি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দরপত্রে প্রতি ইউনিট এলএনজিকে রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য দশমিক ৩৬ ডলার দাম দরপ্রস্তাব করে এই কোম্পানি। তবে বিশেষ আইনে করতে গিয়ে যা বেড়ে দশমিক ৪৭ ডলার করা হলো। এলএনজি আমদানির জন্য গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন স্থাপন করবে। ভারতীয় মান কোম্পানির তিন কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৭৫ ডলার দরপ্রস্তাব বিবেচনা করে জিটিসিএল লাইন পাইপ সরবরাহ করার জন্য কোম্পানিটিকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে।
×