ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদায়ী ম্যাচ আজ জেরার্ডের

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৬ মে ২০১৫

বিদায়ী ম্যাচ আজ জেরার্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা ১৭টি বছর কেটে গেছে মূল দলের হয়ে। যেখানে একজন ফুটবলার হিসেবে গড়ে উঠেছেন সেখানেই পেশাদার ক্যারিয়ারটা পুরোপুরি কাটিয়েছেন। একজন বালক হিসেবে এ্যানফিল্ডে এসেছিলেন ১৯৮৭ সালে। সেদিক থেকে হিসাব করলে লিভারপুলে স্টিভেন জেরার্ডের ২৮ বছর কেটেছে। তবে এবারই এ্যানফিল্ডে থাকার দিন শেষ হয়ে যাবে ৩৪ বছর বয়সী জেরার্ডের। আজ ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষেই লিভারপুল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিতে পারেন এ মিডফিল্ডার। কারণ মৌসুম শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেবেন। তাঁর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে লস এ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে। তবে আবারও লিভারপুলে ফিরতে চান জেরার্ড। তবে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ফেরার আশা তাঁর। মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে ফুটবলের প্রতি আসক্তি শুরু হয়েছিল। আর তখন তিনি যোগ দিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব লিভারপুলে। ১৭ বছর বয়সেই পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্লাবের হয়ে মূল দলে। এরপর আর ঘুণাক্ষরেও কোনদিন ভাবেননি লিভারপুল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা। টানা ১৭ বছর খেলেছেন। লিভারপুলের হয়ে ৭০০টিরও বেশি ম্যাচে তাঁকে দেখা গেছে। কিন্তু এবার বিদায়ের সময় এসে গেছে বলেই মনে করছেন জেরার্ড। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না খেলায় ইতি টানার পর কেমন অনুভূতি হবে যখন আমি সত্যিই বিদায়ের ঘোষণা দেব। আমি এই সময়টাকে খুব ভয়ানক বলেই মনে করছি। অদ্ভুতভাবে শেষ হতে চলেছে সব। আমি অবশ্যই খুব বেশি মিস করব এখানকার মুহূর্তগুলো। এ্যানফিল্ডের মাঠে ভক্তদের সামনে দীর্ঘদিন সতীর্থদের সঙ্গে খেলেছি। সেখান থেকে বিদায় নেয়াটা বড়ই ভয়ঙ্কর মুহূর্ত হবে বলেই মনে হচ্ছে। এটা অনেক আবেগী একটা ব্যাপার হতে যাচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনা আছে মানসিকভাবে শক্ত থাকার এবং কান্না আটকে রাখার।’ জেরার্ড জানিয়েছেন, তিনি কিছু অবিশ্বাস্য উত্থান দেখেছেন। তবে একইসঙ্গে নির্মম কিছু অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কথাটা এখনও ভুলতে পারেন না জেরার্ড। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে এসি মিলানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল লিভারপুল। দলকে প্রথম গোলটি উপহার দিয়েছিলে অধিনায়ক জেরার্ড। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে নিষ্পত্তি হয়েছিল শিরোপার। ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে ইউরোপসেরার শিরোপাটা এ্যানফিল্ডে নিয়ে এসেছিল লিভারপুল। এ বিষয়ে জেরার্ড বলেন, ‘সেটা ছিল আমার জীবনের সবেচেয়ে সেরা একটা রাত। সব খেলোয়াড় এই কাপ জয়টাকেই নিজ ক্যারিয়ারের অন্যতম মর্যাদার মনে করেন। এটাই এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেরা ফাইনাল। আর একজন অধিনায়ক হিসেবে সেই ম্যাচের জয়ী দলকে শিরোপা এনে দিতে পেরেছিলাম। এর চেয়ে গর্বের আর কী থাকতে পারে? সত্যিই সেটার জন্য এখনও নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে গর্বিত একজন বলে মনে হয়।’ জেরার্ড ২৩ বছর বয়সেই এ্যানফিল্ডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন সাবেক কোচ জেরার্ড হোলিয়েরের কারণে। তাঁকে নিজের পিতার আসনে বসিয়েছেন জেরার্ড। হোলিয়েরের অধীনে জেরার্ড তিনটি শিরোপা জয়ের স্বাদ নিয়েছেন।
×