ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আনচেলত্তির বদলে জিদান হবেন কোচ?

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৬ মে ২০১৫

আনচেলত্তির বদলে জিদান হবেন কোচ?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলতি মৌসুমের গোড়ার দিকে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা জিনেদিন জিদান অবসর নেয়ার কিছু দিনের মধ্যেই স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের সহকারীকোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বর্তমান কোচ কার্লো আনচেলত্তির সহকারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এ মৌসুমে আনচেলত্তি রিয়ালকে কোন শিরোপা এনে দিতে পারেননি। শেষ ভরসা ছিল মর্যাদার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। সেখানেও সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। এ কারণে টলে উঠেছে আনচেলত্তির আসন। চলতি মৌসুম শেষেই তার বিদায়টা নিশ্চিত। আনচেলত্তির উত্তরসূরি কে হবেন? অনেকেই জিদানকেই উপযুক্ত বলে মনে করছেন। কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে যে সমস্যা ছিল সেটা কাটিয়ে উঠে টানা একটা বছর তিনি সহকারী কোচ হিসেবে নিজেকে আরও যোগ্য করে তুলেছেন। লিভারপুলের কিংবদন্তি জেমি ক্যারাঘেরও মনে করেন জিদানকেই রিয়ালের দায়িত্ব দেয়া উচিত। চলতি মৌসুমে সব ধরনের আসরেই শুধু হতাশা সঙ্গী হয়েছে রিয়ালের। স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগ সবটিতেই ব্যর্থ লস ব্ল্যাঙ্কোস শিবির। আনচেলত্তি পারেননি রিয়ালকে কোন রুপালি আলোয় ভাসা আনন্দ এনে দিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের আশাও শেষ হয়ে গেছে। লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সিলোনার চেয়ে এখনও চার পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। এখনও দুটি খেলা বাকি থাকলেও অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ক্লাব শিরোপাটাও আর ঘরে উঠছে না। সে কারণে আনচেলত্তির ওপর আস্থা শেষ হয়ে গেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষের। এমনকি আনচেলত্তি নিজেও বুঝে নিয়েছেন রিয়ালে তার দিন শেষ। তিনি স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি জানি না এর পরও এখানে পরবর্তী মৌসুমে থাকব কিনা।’ বর্তমানে রিয়াল ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জিদান। ক্যারাঘের অনুভব করছেন স্বাভাবিকভাবেই আনচেলত্তির উপযুক্ত বদলি হতে পারেন। আনচেলত্তি নিজের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত কিনা এ বিষয়ে ক্যারাঘের বলেন, ‘আপনারা জানেন এ ক্লাবটি কি ধরনের কার্যকলাপ চালায়। তিনিই তার অবস্থানটা এই মুহূর্তে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি জানেন। তিনি অবশ্যই বিশ্বের শীর্ষ কোচদের মধ্যে অন্যতম। তিনি তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী কোচ। কিন্তু আগামী বছর তার এখানে থাকার কোন উপায় দেখছি না।’ এমন হতাশার একটি মৌসুম শেষে রিয়ালের মতো বিশ্ব কাঁপানো একটি ক্লাবের দায়িত্বে আসীন থাকাটা খুব কঠিন। কোন সময়ই বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলোতে বিশ্বসেরা কোন কোচ টিকতে পারেননি পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার পর। এ বিষয়ে ক্যারাঘের বলেন, ‘আমি নিশ্চিত একটা পরিবর্তন অবশ্যই আসবে। গত মৌসুমে আনচেলত্তি ডাবল জিতিয়েছেন রিয়ালকে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এবং কোপা দেল রে জিতেছে রিয়াল। কিন্তু ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ এর পরও শিরোপাহীন একটি বছরকে কোনভাবেই ক্ষমাযোগ্য বলে ভাবছেন না। গত বছর জুনে জিদান রিয়ালের রিজার্ভ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। অল্পের জন্য স্পেনের তৃতীয় বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ ক্যাস্টিলা। তবু ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলা ক্যারাঘের আশ্চর্য হবেন না মোটেও যদি জিদান রিয়ালের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্বে আসীন হন। এ বিষয়ে সাবেক ডিফেন্ডার ক্যারাঘের বলেন, ‘জিদানকে নিয়ে একটা আলোচনা আছেই। তিনি রিজার্ভ দলের কোচ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেও যদি তাকে মূল দায়িত্বে আনা হয় সেক্ষেত্রে কারও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। শেষ ৩-৪ ম্যাচে জিদানকে দায়িত্ব দিয়ে পরখ করে দেখতেই পারেন তারা তিনি কেমন নৈপুণ্য দেখান। এটা রিয়ালের পুরনো নীতি। তারা কোচ আনে এবং বরখাস্ত করে।’
×