ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অচলাবস্থার নিরসন চাই

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ মে ২০১৫

অচলাবস্থার নিরসন চাই

আমরা জানি এ বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও বিএনপি-জামায়াতের লাগাতার হরতাল-অবরোধে সারাদেশে সড়ক যোগাযোগ অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। যার ফলে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচলও। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অস্থিতিশীল অবস্থার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি বাকৃবি শিক্ষার্থী বাসের অচলাবস্থার। জানি না কী অজ্ঞাত কারণে আজ প্রায় চার মাস হতে চলল বাকৃবি বাসের শহরে চলাচল বন্ধ। গ্যারেজে অলস পড়ে থাকতে থাকতে বাসগুলোতে মরিচা পড়ে যাওয়ার যোগাড়। ময়মনসিংহ শহরে রিক্সা চলে, অটোরিক্সা চলে, বাস চলে, ট্রাক চলে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলে কিন্তু চলে না শুধু বাকৃবির বাস। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অটোরিক্সা বা রিক্সা ব্যতীত কোন উপায় থাকে না, যা খুবই ব্যয়বহুল আর সময়সাপেক্ষ। এই সমস্যার প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি ও এর দ্রুত সমাধান আশা করছি। মোঃ নাবিল তাহমিদ রুশদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। মুক্তমনারা কী এভাবেই... ব্লগারদের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ব্লগার রাজীব হায়দারকে দিয়ে শুরু হয়ে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশকে নিয়ে গত ২ বছরে মোট নয়জন ব্লগারকে ধর্মান্ধগোষ্ঠী নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক, মুক্তমনা লেখক-ব্লগার ও ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত বিজয় দাশকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকা-ের পর ‘আনসার বাংলা-৮’ নামে একটি টুইটার এ্যাকাউন্ট থেকে এর দায়দায়িত্ব স্বীকার করে বলা হয়েছে, আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। অনন্ত বিজয় দাশ ব্লগে লেখালেখি করতেন। স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তি দিয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করতেন। ব্লগে যদি কারও স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তি অন্য কারও পছন্দ না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি ও চিন্তা দিয়ে তা খ-ন করা উচিতÑ এ রকম নিয়মই চালু রয়েছে উন্নত বিশ্বে। কিন্তু আমাদের দেশে মুক্তচিন্তা ও যুক্তি প্রকাশ করলে তার ওপরে অতর্কিতে চাপাতির কোপ এসে পড়বে, তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে এটা কেমন কথা? যুক্তির বিপরীতে অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে যুক্তি। কিন্তু একদল ধর্মান্ধ যুক্তিকে ভয় পায়। তারা মনে করে যুক্তির চেয়ে ধারালো চাপাতি, রামদাই শ্রেয়। প্রথাবিরোধী লেখক, কবি ও অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ থেকে শুরু করে অভিজিত রায়Ñ সবাই যার যার অবস্থান থেকে এখনও সাধারণ মানুষের কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যারা তাদের ওপর হামলে পড়ে তাদের মৃত্যুমুখে পতিত করেছে তারা আজ মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। অনন্ত বিজয় দাশও তার স্বাধীন চিন্তা, যুক্তির জন্য মানুষের কাছে আরও গ্রহণীয় হয়ে উঠবেন। এম এ সালেহ নারিন্দা, ঢাকা।
×