ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্য দরিদ্র জনগোষ্ঠী ॥ সমুদ্রে পেতেছি শয্যা ॥ ২

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৬ মে ২০১৫

লক্ষ্য দরিদ্র জনগোষ্ঠী ॥ সমুদ্রে পেতেছি শয্যা  ॥ ২

রাজন ভট্টাচার্য ॥ থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জঙ্গলে ডজন ডজন গণকবরের সন্ধান গোটা বিশ্বকে ‘চমকে’ দিয়েছিল। এ সব গণকবরে মিলেছে অসংখ্য পাচার হওয়া হতভাগ্য মানুষের লাশ। জীবিত উদ্ধার হয়েছে কেউ কেউ। তাদের অনেকে বাংলাদেশের। কারও পরিচয় মেলেনি। থাইল্যান্ডের জঙ্গলে মাটির নিচ বা ওপর থেকে পাওয়া মানুষের খববের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনশ’ যাত্রী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এর আগে, গত শনিবার লিবিয়া উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে প্রায় সাতশ’ অভিবাসী নিয়ে একটি জাহাজ ডুবে যায়। ওই জাহাজে কয়েকজন বাংলাদেশী ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। অন্যারা বিভিন্ন দেশের মানুষ। যাদের নাম পরিচয় কিছুই উদ্ধার হয়নি। প্রশ্ন হলো, মানবপাচারের ইতিহাস শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ কম-বেশি পাচারের নির্মমতার শিকার। মূলত আর্থিক উন্নয়ন আর প্রলোভনের শিকার হয়ে নিজেকে পাচারকারীদের হাতে শপে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও যুদ্ধ বিগ্রহ, সামাজিক অস্থিরতা, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস অভিবাসনের কারণতো আছেই। পাচারের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের শিকার দেশগুলোকে লক্ষবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে পাচারের ভয়াবহতার কারণে নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব সম্প্রদায়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তারা বলছেন, মানবপাচার গোটা বিশ্বে প্রকট আকার ধারণ করেছে। অন্য সময়ের তুলনায় মানবপাচার বেড়েছে পাঁচ ভাগ। বিশ্বের ১২৪টি দেশে মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। বছরে ২৪ লাখের বেশি মানুষ পাচারের শিকার। তাদের মধ্যে ৮০ ভাগ নারী ও শিশু। বছরে তিন হাজার কোটি ডলার আয় করছে পাচারকারী চক্র। এছাড়া বছরে শরণার্থী হচ্ছে সাড়ে চার কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে অর্ধেক দেশ ত্যাগ করছে। হচ্ছে পাচার। পাচাররোধে হিমশিম খাচ্ছে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশ। ক্ষমতাধর আমেরিকাও এ সমস্যার বাইরে নয়। জাতিসংঘ যা বলছে ॥ প্রতিবছর সাড়ে চার কোটি মানুষ শরণার্থী হচ্ছে। এর মধ্যে পৌনে তিন কোটিই সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে যাচ্ছে। এদের ৫৫ শতাংশই যুদ্ধের কারণে দেশ ত্যাগ করছে। অন্য কারণগুলো হলোÑ জাতিগত সংঘাত, দারিদ্র্য ও আইএস জঙ্গীদের দৌরাত্ম্য, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, জাতিগত সঙ্ঘাত এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সাগর কিংবা দুর্গম স্থলপথে মানবপাচার যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমার নয়, পৃথিবীব্যাপী এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকেও ইউরোপের নানা দেশে, বিশেষ করে ইতালির উদ্দেশে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করছে অভিবাসন প্রত্যাশীরা। অস্ট্রেলিয়াও এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ থেকে স্থলপথে দুর্গম এলাকা পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে অনেকে। এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সব মহাদেশকেই গ্রাস করছে এ মানবপাচার সমস্যা। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের গহীন বনে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কবরের সন্ধান পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে মানবপাচারের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালের পর পৃথিবীতে শরণার্থীর সংখ্যা এখন যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। মানবপাচারের ঘটনা এ সব শিবির থেকে বেশি ঘটছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নানা কারণে সাড়ে চার কোটি লোক শরণার্থীর খাতায় নাম লেখাচ্ছে। এর মধ্যে সাড়ে নয় লাখ লোক বৈধ উপায়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে এবং দুই কোটি ৮৮ লাখ লোক নিজ দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে যাচ্ছে। নিজ দেশে উদ্বাস্তু হচ্ছে প্রতিবছর দেড় কোটি লোক। বিশেষ করে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সুদান, কংগো, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে উদ্বাস্তু হচ্ছে বেশি। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই যুদ্ধবিগ্রহের কারণে দেশ ত্যাগ করছে। এছাড়াও জাতিসংঘের ওই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী যেসব দেশ থেকে মানুষ পাচার করা হয় সেসব দেশের তালিকায় রয়েছে আলবেনিয়া, বেলা রাশিয়া, বুলগেরিয়া, চীন, লিথুনিয়া, নাইজেরিয়া, মোলদাভিয়া, রোমানিয়া, রাশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইউক্রেন। আর যেসব দেশে মানুষ পাচার করা হয় সেসব দেশের নাম হলোÑ বেলজিয়াম, জার্মানী, গ্রীস, ইসরাইল, ইতালি, জাপান, হল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি আরও বলছে, যুদ্ধবিগ্রহের কারণে আফ্রিকার অনেক দেশ থেকে নৌকাযোগে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়ার হার অনেক বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ সব অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাগুলো ডুবে গিয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। এ সব কাফেলায় শুধু আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকরাই নয়, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার দেশগুলোর নাগরিকরাও শামিল হচ্ছে। নিজ দেশে নানা কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণে অনেকে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় পুরো পরিবার নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়। অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাগুলো অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশের কোস্টগার্ড বা নৌবাহিনীর নজরে এলে সেগুলোকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়। সেখানে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ ঠেকানোর কৌশল নির্ধারণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সম্প্রতি জেনেভায় বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে আফ্রিকান দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশের চিত্র ॥ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের টেকনাফ হয়ে মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে যাওয়ার প্রবণতা গত কয়েক বছরে বেড়েছে ৬১ ভাগ। বিশেষ করে মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পর এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৫৩ হাজার লোক মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড বা অন্য দেশে গেছে। চলতি বছরের তিন মাসে গেছে ২৫ হাজার। এর মধ্যে ৩০০ জনের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। পাচারের জন্য জড়ো করা অনেককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করতে সমর্থ হয়। এছাড়া মাঝ সমুদ্রে নৌকা ডুবে মার গেছে অনেকে। ধরা পড়েছে পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেকে। ভাল চাকরির আশায় অনেকে সমুদ্র পাড়ি দিতে চাইলেও অনেকের ভাগ্যে তেমন কিছুই জোটে না। ইদানীংকালে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে পাচার হওয়া মানুষদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও বেড়েছে। সাধারণত দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করা হয়। এছাড়া থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার গহীন জঙ্গলে নিয়ে আটকে রেখেও অনেকের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ না দিতে পারলে মেরে লাশ পুঁতে রাখা হয়। এদিকে বিশ্বে মানবপাচারের প্রতি তিন জনের একজন শিশু। পৃথিবীব্যাপী শিশুপাচার ২০১০ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) বিশ্ব মানবপাচার রিপোর্ট ২০১৪- শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার এএফপির খবরে বলা হয়, পাচার হওয়া শিশুরা অনেকেই যৌন নিপীড়ন ও জোরপূর্বক কায়িক শ্রমে নিয়োগের ঘটনার শিকার। পাচার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই মেয়েশিশু ও নারী। পাচার হওয়া শিশুদের ৬০ শতাংশ কেবল আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে হয়ে থাকে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক ইউরি ফেডোটোভ বলেন, বিশ্বে এমন কোন স্থান নেই যেখানে শিশু, নারী ও পুরুষেরা মানবপাচার থেকে নিরাপদ। ফেডোটোভের দাবি, আধুনিক দাসত্ব অনেক খারাপ। বিশ্বের ১২৮টি দেশের মানবপাচারের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়। রিপোর্টে দেখা যায় এ সব দেশগুলোর মধ্যে ১২৪টিতে মানবপাচারের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রতিবেদনে ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। রিপোর্টে আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবপাচার মামলার তথ্যের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। সদস্য দেশগুলো সেখানে মানবপাচার রোধে জাতিসংঘ এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা ধরনের আইন পাস করেছে। পাচারের কেন্দ্র ইউরোপের দেশ ॥ মাদকের চোরাকারবার ও সংঘবদ্ধ অপরাধবিরোধী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ইউরোপীয় অপরাধী চক্রগুলোর সহায়তায় ইউরোপে পাঠানোর উদ্দেশেই মানবপাচারের বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন অপরাধী গ্রুপ বা চক্র এ অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে বছরে তিন হাজার কোটি ডলার আয় করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় অপরাধী চক্রগুলো আধুনিক যুগেও নতুন ধরনের দাস-প্রথা চালু করেছে। ইউরোপে এক লক্ষ চল্লিশ হাজারেরও বেশি মানুষ এ সব অপরাধী চক্রের সহিংসতার শিকার। প্রতি বছরই এ সব চক্রের হাতে নিহত মানুষের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ হারে বাড়ছে। মাদকের চোরাকারবার ও সংঘবদ্ধ অপরাধবিরোধী জাতিসংঘের সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার বহু নারী এবং শিশুকে চাকরি দেয়ার কথা বলে পশ্চিম ইউরোপে আনা হয়, কিন্তু সেখানে আনার পর তাদের বিক্রি করে দেয়া হয়, অথবা বিভিন্ন কাজে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। এ সব নারী ও শিশুদের শতকরা ৫১ ভাগই বলকান এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত অঞ্চলের; আর তাদের শতকরা ১৩ ভাগ ল্যাটিন আমেরিকার, শতকরা সাত ভাগ পূর্ব ইউরোপের ও শতকরা ৫ ভাগ আফ্রিকা মহাদেশের। ইউএনওডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এ্যান্থনিও মারিয়া কান্তা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ইউরোপের বেশির ভাগ লোকই মনে করেন যে, কয়েকশ’ বছর আগেই দাস প্রথার অবসান ঘটেছে। অথচ আমাদের সমাজে এখনও বহু মানুষকে দাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বে প্রতিবছর ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ মানবপাচারকারীদের শিকার হচ্ছে। আর এদের শতকরা ৮০ জনই নারী ও শিশু। এদিকে মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে অথই সাগরে ভাসতে থাকা বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা মুসলিম অভিবাসী আশ্রয় প্রার্থীদের বহনকারী নৌযান ফিরিয়ে দেয়া বন্ধ করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে দেশ তিনটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, আশ্রয়প্রার্থীদেরকে তীরে নিয়ে গিয়ে জরুরী ভিত্তিতে তাদের যে সব সহায়তা প্রয়োজন অবিলম্বে সেগুলো সরবরাহ করা উচিৎ।
×