ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড় ও সীমান্তে বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১৫ মে ২০১৫

নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড় ও সীমান্তে বিশেষ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুর্গম ৮৭ কিলোমিটার পাহাড়ী এলাকায় সন্ত্রাসীদের ধরতে ৪দিনব্যাপী বিজিবির বিশেষ অভিযান চলছে। গত মঙ্গলবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ৫১ নং হতে ৫৫ নং পিলার এলাকা জুড়ে সীমান্তের গহীণ অরণ্যে কক্সবাজার বিজিবি সেক্টরের তত্ত্ববধানে বিজিবি জওয়ানরা এ অভিযান শুরু করেছে। কক্সবাজার ১৭, রামু ৫০ ও নাইক্ষ্যংছড়ির ৩১ বিজিবি ব্যটালিয়নের ১৫ প্লাটুন বিজিবি জোয়ানরা ওই অভিযানে অংশ নিয়েছে। বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা আবারও তৎপর হয়েছে খবর পেয়ে বিজিবি এ অভিযানে নামে। এ অঞ্চলে তাদের কিছু দাবি পুরণে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাতেই এ অপতৎপতা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতোপূর্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে অস্ত্র সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসী কর্মকা- চালানোর নানা পরিকল্পনায় নাইক্ষ্যংছড়ির তারগু মৌজার গহীন অরণ্যে দফায় দয়ায় বৈঠক করেছে। সূত্র জানায়, গত মাসে তাদের ৩ দফা বৈঠকে বাংলাদেশের একটি উপজাতিয় সংগঠন এবং মিয়ানমারের ৪টি সশস্ত্র সংগঠনের প্রথম সারির নেতারা অংশ নিয়েছে। এসব বৈঠকে বাংলাদেশের উপজাতীয় সংগঠনটির নেতারা তিন পার্বত্য জেলায় ১ মে থেকে আহূত আন্দোলনে তাদের কর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতেই মূলত এ অপতৎপরতা বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল। সূত্রে প্রকাশ, সীমান্তে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জঙ্গী গ্রুপ আরাকান আর্মি, এএলপি (আরকান লিবারেশন পার্টি), আরাকান কমিউনিস্ট পার্টি, ও বাংলাদেশী উপজাতীয় সেই সংগঠনটি অংশগ্রহণ করেছে। ওইসব বৈঠকে মিয়ানমারের একটি বাহিনীর অস্ত্রসহ ৭জন সদস্যও অংশ নেয়। যারা বর্তমানে বাংলাদেশের গহীন পাহাড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে-তারা বাংলাদেশী উপজাতীয় আন্দোলনকারীদের হাতে হয়ত তাদের অস্ত্র বিক্রি করে দিয়েছে। অপর একটি সূত্র দাবি করছে, বাংলাদেশী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের ১৫ সদস্যের একটি দল বর্তমানে মিয়ানমারে গেছে। সেখানকার পাহাড়ী গ্রুপ গুলোর সঙ্গে বৈঠক, বিভিন্ন আলোচনা এবং নানা পরিকল্পনা শেষে নাশকতামূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এসব মিলে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েক শ‘ বর্গ কি. মিটার এলাকা তথা দেশের সীমান্ত সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে বিজিবি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে দেখে স্থানীয়রা অত্যন্ত খুশি হয়েছে। অপারেশনে নেতৃত্বে থাকা কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ খালেকুজ্জামান জানান, সীমান্তে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ও অপতৎপরতা বেড়েছে খবর পেয়ে ১৫ প্লাটুন (৩১৬জন) বিজিবি জওয়ানকে নিয়ে সীমান্তের তেছড়ি থেকে ৫৫-৫৬ নম্বর পিলার আলিকদম এলাকা পর্যন্ত এ অপারেশন চালানো হবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ সাঁড়াশি অভিযানে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ খালেকুজ্জামানের সঙ্গে রয়েছেন, লে. কর্নেল হাছান মোর্শেদ, মেজর শাহীন, মেজর ইমরান ও মেজর আমিন।
×