ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা গুলশান, বারিধারা নিকেতনে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৫ মে ২০১৫

ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা গুলশান, বারিধারা নিকেতনে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশান, বারিধারা ও নিকেতনে সার্বক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে এক শ’টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় বারিধারা সোসাইটি, গুলশান সোসাইটি, নিকেতন সোসাইটি ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করেছে। ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ থাকবে গুলশান থানার কাছে। তবে ডিএমপি কমিশনার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে গুলশানের ল’ এ্যান্ড অর্ডার কো-অর্ডিনেশন কমিটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে গুলশান ১ ও ২, হাতিরঝিল, নিকেতন নতুন বাজার ও বারিধারায় মোট এক শ’টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি থাকবে। উল্লেখিত এলাকাগুলোর প্রায় অংশই নজরদারির মধ্যেই থাকবে। প্রকল্পের পরবর্তীতে পর্যায়ে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে। তখন গোটা এলাকায় আরও ৭শ’ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে সব সময় নজরদারি ছাড়াও ফেস ডিটেকশন, ভেহিকেল ট্র্যাকিং, ট্রাফিক কন্ট্রোল, অটো নাম্বার প্লেট ডিটেকশন, ক্রিমিনাল ডিটেকশন করা যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, আমরা এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নগরের যানজট ও নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। তবে এসব উদ্যোগ সফল করতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য পুলিশ-জনগণের মধ্যে পার্টনারশিপ বজায় রাখা। এটি একটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক উদ্যোগ। উদ্যোগ গ্রহণকারীদের সবাইকে আমি সালাম জানাই। পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকা মহানগরীকে এ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে গুলশানের বাসিন্দারা অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবেও সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করতে আয়োজকদের প্রস্তাব দেন বেনজীর আহমেদ। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জননিরাপত্তা জন্য ক্যামেরা প্রকল্পটি বড় ভূমিকা রাখবে। বাকি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হলে পুরো এলাকা নিরাপত্তার মধ্যে চলে আসবে। আমাদের পরিকল্পনা পুরো মহানগরীকেই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার। তবে এটি পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করব। অনুষ্ঠানে গুলশান সোসাইটির সভাপতি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাসহ সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×