ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সালাহউদ্দিন নিখোঁজ-স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ কল্পকাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৫ মে ২০১৫

সালাহউদ্দিন নিখোঁজ-স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ কল্পকাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ কল্পকাহিনী জন্ম দেয়ার পরই হদিস মিলল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের। নিখোঁজ হওয়া থেকে শুরু করে ভারতের মেঘালয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত পুরোটাই ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। অনেক আগেই স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে যাওয়ার পর অজ্ঞাত স্থান থেকে সালাহউদ্দিনের নামে বিবৃতি দেয়া, ডিবির লোকদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া, সরকারী বাহিনীর হাতে গুম করা, তদন্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের হস্তক্ষেপ কামনা, হাইকোর্টে যাওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা থেকে শুরু করে নাটকীয়তায় ভরপুর ছিল সবই। সালাহউদ্দিনকে মেঘালয় পুলিশ বাহ্যিকভাবে মানসিক রোগী হিসেবে অনুমান করলেও তার শরীরে ন্যূনতম কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। এমনকি সালাহউদ্দিন মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ও স্বাভাবিক। সরকারকে কূটনৈতিক চাপে রাখতেই এমন অপচেষ্টা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। এদিকে আত্মপোপনে থাকা সালাহউদ্দিনকে ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। ওয়ারেন্টের একটি কপি ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সালাহউদ্দিনের পরিবারের চারজনের কেউ এখন পর্যন্ত ভিসা পাননি বলে তার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি দেশব্যাপী লাগাতার অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দেয়। কর্মসূচী সফল করতে বহুদিন ধরেই অজ্ঞাত স্থান থেকে বিএনপির পক্ষে সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে বিবৃতি আসছিল। গত ১১ মার্চ সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ আচমকা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর স্বামীকে গত ১০ মার্চ রাতে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বাড়ির মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিব হাসনাত পরদিন আমাকে বিষয়টি জানান। এরপর শুরু হয় নাটকীয়তা। সালাহউদ্দিনের স্ত্রী পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় যান। সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন বিকেল চারটায় সালাহউদ্দিন আহমেদের গুলশান-২ এর ৭২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর ‘দ্য প্লাটিনাম রেসিডেন্সে’ ইউনিভারর্সিটি টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সালাহউদ্দিনকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা। এরপর থেকে সালাহউদ্দিন ইস্যুতে সরকারকে নানাভাবে দোষারোপ করতে থাকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোট। যদিও সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরদিন তার স্ত্রীকে বিষয়টি বাড়ির মালিকের তরফ থেকে দেরিতে জানানোর কারণ সম্পর্কে আজও সালাহউদ্দিনের স্ত্রী তেমন কোন যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করেননি। এমনকি ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিব হাসনাতও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। যদিও ডিবি পুলিশ বরাবরই সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আসছে। সালাহউদ্দিনকে নিখোঁজ দাবি করার পর থেকেই শুরু হয় সরকারের চাপে রাখার নানা কৌশল। কূটনৈতিকভাবে সালাহউদ্দিন, ইলিয়াস আলীসহ চৌধুরী আলম ইস্যুকে সামনে আনা হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকার বিএনপিকে দমন করতে তাদের জনপ্রিয় নেতাদের একের পর এক গুম করছে। এরপর সালাহউদ্দিনের স্ত্রী উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও জমা দেন। তার স্বামীকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এমনকি বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই দিয়ে সালাহউদ্দিন নিখোঁজের তদন্ত করার দাবি জানান বিএনপি নেতা ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিনের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, আরেক উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার পর তাকে গুলি করে আহত করা, ছয় কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ধরা পড়া, ভারতের অমিত শাহর সঙ্গে খালেদা জিয়ার ফোনালাপের মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সরকারকে কূটনৈতিকসহ নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা চলে। বিএনপির এসব অপকৌশল ভেস্তে গেলে ভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সালাহউদ্দিন নিখোঁজ নাটকের অবতারণা হয়। এরপর শুরু হয় একের পর এক কল্পকাহিনী। সালাহউদ্দিনের হদিস মেলার সঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ানা হাসানের স্বামী সিদ্দিকুর রহমানের হদিস মেলার হুবহু মিল রয়েছে। তিনজনকেই চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল বলে তাদের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। আবার উদ্ধারের ধরনও একই। তাদের চোখ বেঁধেই আবার রেখে দেয়া হয়েছে। এমন কাহিনী হালের অনেক কল্পকাহিনীকেও হার মানিয়েছে। গত মঙ্গলবার সালাহউদ্দিনের স্ত্রী দাবি করেন, তার স্বামী ভারতের মেঘালয়ের শিলং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে শিলং সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার স্বামী সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। তাকে চোখ বেঁধে সেখানে রেখে আসা হয়েছে বলেও নানাভাবে পরিবার ও দলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে মেঘালয় পুলিশ বলছে, উ™£ান্তের মতো ঘুরতে দেখে পুলিশ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে নিশ্চিত হন, তিনি ভারতের নাগরিক নন। এরপর তারা সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার করে প্রথমে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। মানসিক হাসপাতাল জানায়, সালাহউদ্দিন মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। এরপর তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্নও নেই। সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে একটি মামলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ মে বিকেলে সুনামগঞ্জ থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারযোগে সিলেট শহরে যাওয়ার পথে সুনামগঞ্জ বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও যুক্তরাজ্য যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুজিবুর রহমান (৫৬) চালক রেজাউল হকসহ (৩২) জেলার টুকেরবাজার বাসস্টেশনের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অপহৃত হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। এ নিয়েও চলে নানা নাটকীয়তা। মুজিবুর রহমানকে ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কারণে অপহরণ করা হতে পারে বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৭ মে সুনামগঞ্জ শহরে মানববন্ধন এবং ৮ মে সুনামগঞ্জ জেলায় আধাবেলা হরতাল পালন করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। ভয় পেয়ে সরকার রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে শেষ করে দিতেই দলটির নেতাদের একের পর এক অপহরণ করে গুম করে ফেলছে বলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই কূটনৈতিকভাবে মারাত্মক বেকায়দায় পড়ে বাংলাদেশ সরকার। ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টির অনুসন্ধান করতে রীতিমতো কয়েক দফায় সুনামগঞ্জে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন মাস পর গত বছরের ১৮ আগস্ট মুজিবুর রহমান ভর্তি হন গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে। তার হদিস মেলার খবরে আবারও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওইদিনই ভোরে গাজীপুরের শালনা ব্রিজের কাছে কে বা কারা তাকে ও তার চালককে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ছেড়ে দেয় বলে মুজিবুর রহমানের বরাত দিয়ে তার শ্যালক ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন দাবি করেন। মুজিবুর রহমান চালককে এক হাজার টাকা দিয়ে সুনামগঞ্জ পাঠিয়ে দেন আর নিজে গিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কারও সঙ্গেই তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যদিও পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানান, মুজিবুর রহমান পুরোপুরি সুস্থ। তার দেহে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন নেই। পরবর্তীতে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার ১৫ বছর আগ থেকেই যুক্তরাজ্যের নাগরিক হিসেবে লন্ডনের ব্রিকলেনে সপরিবারে বসবাস করছিলেন মুজিবুর রহমান। যুক্তরাজ্যে তিনি যুবদল প্রতিষ্ঠা করেন। চালকসহ নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী মুক্তি পরিষদের নামে যুক্তরাজ্য থেকে নানা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন। ২০০৩ সালে লন্ডনের ব্রান্ডি সেন্টারে যুবদলের এক সভায় দলের এক কর্মীকে শত শত মানুষের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় লন্ডনের আদালত মুজিবুর রহমানকে ৬ মাস কারাদ- দেন। ২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল মুজিবুর রহমান লন্ডনের কেন্টের একটি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। কারামুক্তির পর নিয়মানুযায়ী আসামির ওপর নজরদারি করতে শরীরে বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে দেয় লন্ডন পুলিশ। জামিনে বের হওয়ার পর মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে বিষয়টি প্রকাশ পায়। মাদক চোরাচালান নিয়ে পাকিস্তানী মাফিয়াদের সঙ্গে বিরোধ হয়। পাকিস্তানী মাফিয়াদের কাড়ি কাড়ি টাকা মেরে দেয়। এছাড়া ঘটনার প্রায় ১০ মাস আগে ব্রিকলেনের খুলকো মিয়া নামে এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের কাছ থেকে এক লাখ পাউন্ডে দ্য সেভেন স্টার বার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিনে নেন। বার কেনার পুরো টাকা পরিশোধ না করায় লন্ডনের আদালত মুজিবুর রহমানকে বার কেনার সমুদয় টাকা জরিমানাসহ পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আদালত মুজিবুর রহমানের লন্ডন ত্যাগের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন। পাকিস্তানী মাফিয়াদের কাড়ি কাড়ি টাকা মেরে দেয়া, লন্ডনের আদালত বার কেনার সমুদয় টাকা জরিমানাসহ পরিশোধ করার নির্দেশে মুজিবুর রহমান আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশে আসার দুই সপ্তাহ পরেই স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণ নাটক সাজায় মুজিবুর রহমান। এছাড়া গত বছরের ১৬ এপ্রিল পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। এমন ঘটনার প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর সিদ্দিকুর রহমান অক্ষত অবস্থায় বাসায় ফিরে আসেন। জন্ম হয় নানা রহস্যের। তাকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা অন্যকোন কারণে অপহরণ করা হয়েছিল কিনা বা বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন কিনা আজও সেসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এ ব্যাপারে হদিস মেলা সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর পরিবারের তরফ থেকে আজও মুখ খোলেনি। তাকেও অপহরণের পর চোখ বেঁধে কে বা কারা পকেটে বাসায় যাওয়ার ভাড়া দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে বলে সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। এজন্য সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের তরফ থেকে যোগাযোগ চলছে। তবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থাকায় সালাহউদ্দিনকে কবে নাগাদ দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউই। ভারতের ওই মামলার নিষ্পত্তির পর সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। যেমনটি হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় ভারতে বিচারাধীন এ মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনের ক্ষেত্রে।
×