ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ১৪ মে ২০১৫

রাজধানীতে সড়ক  দুর্ঘটনায়  নিহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সবুজবাগ, মতিঝিল তেজগাঁও এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনার তেলু মিয়া (৪৮), মাসুদ রানা (১৮) ও অজ্ঞাত ভিক্ষুক (৬০)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ও বুধবার সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া তিনটার দিকে সবুজবাগ বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনার তেলু মিয়া নিহত হন। তিনি রাত সোয়া তিনটার দিকে বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে কাজ করছিলেন। ওই সময় একটি অজ্ঞাত বাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। এর পর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর সাড়ে ৪ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি রাজধানীর ধলপুরের ১৪ নম্বর নবুর বস্তিতে থাকতেন। অপরদিকে মতিঝিল এলাকায় এবি ব্যাংকের সামনে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে মাসুদ রানা নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মতিঝিল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মাহমুদ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে একটি ট্রাকের সংঘর্ষে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মাসুদ গুরুতর আহত হন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। নিহত মাসুদ রানা কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোটের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে। অপরদিকে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিআরটিসি দোতালা বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাত (৬০) এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ের আল রাজী হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি ফার্মগেট এলাকায় ভিক্ষা করতেন। সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে মিরপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা ॥ রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ পীরেরবাগ পাবনাগলিতে সোনিয়া (৩৫) নামে এক গৃহবধূ অত্মহত্যা করেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায়। নিহতের স্বামী মোঃ শরিফ জানান, কিছুদিন যাবত আর্থিক অনাটনের জন্য তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। বুধবার সকালে নাস্তা খেয়ে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে বের হন। এ সময় তার স্ত্রী সোনিয়া ও দুই ছেলে সায়ের (৫) ও কাউসার (২) বাসায় ছিল। তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া। তবে বুধবার তার সঙ্গে কোন কথা কাটাকাটি হয়নি। কেন, কী কারণে সোনিয়া এমন কাজ করলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
×