ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৪ মে ২০১৫

কুষ্টিয়ায় ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কুষ্টিয়ায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জে ডাব পাড়া নিয়ে সংঘর্ষে এক মহিলা নিহত এবং মুন্সীগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ছেলের হাতে আহত বাবার মৃত্যু হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৫জন। নিহতের নাম আমিরুল ইসলাম (৪৬)। তিনি এলাকার বাদল ম-লের ছেলে। বুধবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুদ্দিন বিশ্বাস ও সুলতান কটা গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে উজানগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান বারুইপাড়ার ময়নুদ্দিন বিশ্বাস ও গত নির্বাচনে পরাজিত সুলতান কটার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সুলতান কটার লোকজনদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ময়নুদ্দিন বিশ্বাস গ্রুপের আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিরাজগঞ্জ ॥ সলঙ্গা থানার দেওভোগ দক্ষিণপাড়া গ্রামে ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। নিহত আনোয়ারা খাতুন (৫২) এই গ্রামের আবু তাহের সরকারের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে বাড়ির কাছে বিবদমান একটি গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে আনোয়ারা খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী আবুল বাশারের ছেলে আবুল ফায়েজের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফায়েজ লাঠি দিয়ে আনোয়ারাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আনোয়ারাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুন্সীগঞ্জ॥ সিরাজদিখানের পূর্ব চান্দের চরগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্তানদের হাতে মারা গেছেন কটু মিয়া (৭০) নামে এক পিতা। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কটু মিয়ার চার পুত্র নুরু মিয়া (৪৮), আকবর মিয়া(৪২), নাজু মিয়া (২৭) ও রব মিয়া (২৫)। কটু মিয়া তার সম্পত্তি থেকে ৩ শতাংশ জমি ছোট ছেলে কুয়েত প্রবাসী রব মিয়ার নামে লিখে দেয়। এ নিয়ে বাকি তিন পুত্র বাবার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। শনিবার বিকেলে এ নিয়ে কটু মিয়ার সাথে তার তিন পুত্রের ঝগড়া বাধে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবা কটু মিয়ার ওপর আক্রমণ করে ওই তিন পুত্র নুরু, আকবর ও নাজু । এসময় তাদের আঘাতে মারাত্মক আহত হয় কটু মিয়া। আহতাবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে মারা যান তিনি।
×