ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পলাতক আসামি গ্রেফতারে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৪ মে ২০১৫

পলাতক আসামি গ্রেফতারে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে সরকারকে মনিটরিং সেল গঠনের জন্য স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি ৪০ দিন পর পর এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ৩১ মে এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। যশোরের গ্রেফতারকৃত তিন রাজাকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। চেয়ারম্যান এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। আদালত স্বপ্রণোদিত আদেশের পর প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন জনকণ্ঠকে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলাগুলোতে দ-প্রাপ্ত পলাতক ও বিচারাধীন পলাতক আসামিদের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে। স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিকে এ নির্দেশ দিয়ে এসবি, ডিবি, র‌্যাব ও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার একজন করে প্রতিনিধিকে এ সেলের কমিটিতে সদস্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নন এমন কাউকে এর প্রধান করতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। কমিটি গঠনের পর থেকে প্রতি ৪০ দিন পর পর এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এ সেল আসামিদের গ্রেফতারও করতে পারবেন। অভিযোগ আমলে ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ৩১ মে এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছে। এ সময় প্রসিকিউটর সুলতান মুহাম্মদ সিমন, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর রাজিয়া সুলতানা বেগম চমন উপস্থিত ছিলেন। যাদের মামলায় অভিযোগে আমলে নেয়া হয়েছে সেই আসামিরা হলেন করিমগঞ্জের দুই সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মোঃ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং কিশোরগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম। ৫ জনের মধ্যে শুধু এ্যাডভোকেট মোঃ শামসুদ্দিন আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন অপহরণসহ মোট ৭টি অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন পক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথম অভিযোগÑ কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর গ্রাম, আয়লা গ্রাম, ফতেরগোপ বিল ও কিরাটন বিল সংলগ্ন আশপাশে ৮ জনকে হত্যা, একজনকে আহত করা। তিন রাজাকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে জড়িত আরও ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পর তিন গ্রেফতারকৃত তিন রাজাকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন বেলাল হোসেন, আকবার হোসেন ও ওজিউর রহমান। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের আনা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউট রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন।
×