ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পঞ্চগড়ে নেপালী রাষ্ট্রদূত

বাংলাবান্ধা দিয়ে দুই দেশের ব্যাপক বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপিত হবে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৩ মে ২০১৫

বাংলাবান্ধা দিয়ে দুই দেশের ব্যাপক বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপিত হবে

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিকুমার শ্রেষ্ঠা বলেছেন, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকেই নেপাল অধিক গুরুত্ব দেয়। ভবিষ্যতে এ পথ দিয়েই দুই দেশের ব্যাপক বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নেপালের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এ জন্য বাংলাদেশ ও অন্য ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, একমাত্র বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সড়কপথে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু আছে। কিন্তু নেপালের পণ্যবাহী যানবাহন সরাসরি বাংলাবান্ধায় আসতে পারলেও বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন নেপালে যেতে পারে না। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চতুর্দেশীয় আলোচনায় এ বিষয়ে ‘মোটর ভেহিক্যাল এ্যাক্ট’ প্রণয়নে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুল আলম, আমদানি-রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবলা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, ব্যবসায়ী নেতা নাসিরুল কাদের পিয়ারি, গোলাম আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। করিডর গরুশূন্য ॥ শুল্ক শূন্যের কোটায় স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫০ টাকা কেজির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে বেড়েছে প্রায় একশ’ টাকা। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আমদানি কমে যাওয়ায় এখানকার বাজারে গো-মাংসের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। এদিকে জেলার প্রায় ১০টি করিডর একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি করিডর সংলগ্ন পশু হাটে গরু কেনা-বেচা না থাকার কারণে নিলাম ডাকে অধিক মূল্য দিয়ে গরু কিনতে হয়। এতে ইজারাদাররা চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। গরু আমদানি না থাকার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলাহাট, শিবগঞ্জের তর্ত্তিপুর হাট ও আড়গাড়ার হাটের ইজারাদাররা জানান গরু না আসায় তারা এবার বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। একইভাবে করিডরে শুল্ক আদায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। কাস্টমস এক্সসাইজ বলছে কানসাট ভোলাহাট করিডর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫ হাজার ৬০৭ গরু থেকে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আয় করেছিল। এবার অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে ভারত থেকে গরু আসার সংখ্যা কম হওয়ার কারণে রাজস্ব কমেছে। মার্চ মাসে গরু আসে প্রায় সাত হাজার। এপ্রিলে ও মে (৯ তারিখ পর্যন্ত) তা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ হাজারে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের বিএসএফ মহিষ আনার ব্যাপারে কিছুটা উদার হলেও শর্ত দিয়েছে অধিক বয়সের মহিষ নিয়ে যেতে পারবে। সেই শর্ত মেনে যারা মহিষ আনছে তারা এড়িয়ে যাচ্ছে করিডর।
×