ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে ইইউ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৩ মে ২০১৫

জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে ইইউ

ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসী পাচারকারী দলগুলো নির্মূলে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি। একের পর এক নৌযান ডুবে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের প্রাণহানির ঘটনা বন্ধ করাসহ পাচারকারীদের রুখতে গতমাসে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনায় একমত হন ইইউ নেতারা। শক্তি প্রয়োগ করে পাচারকারীদের রুখে দাঁড়ানোর ওই পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিফিং দেয়ার সময় মঘারিনি বলেন, অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন আমাদের। খবর বিবিসির। পাচারকারীদের আঁখড়া লিবিয়া ইইউর প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে। লিবিয়ার জাতিসংঘ দূত বলেছেন, ইইউ-এর উদ্দেশ্য কি তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া, লিবিয়ার সরকারের সঙ্গেও এটি নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। এ বছর নৌকায় করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নিহত হয়েছে ১৮০০ অভিবাসী। গত বছর একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ২০ গুণ বেশি। জাতিসংঘের হিসাবমতে, প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এ বছর এমন বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছে। ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও সোমালিয়ার মতো গরিব এবং সংঘর্ষবিক্ষুব্ধ দেশগুলো থেকে পালানো মানুষেরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এপথে যাত্রা করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মঘারিনি বলেন, ইইউ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে চায় এবং সমুদ্রে আর কোন জীবনহানি চায় না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গতমাসের পরিকল্পনায় অভিবাসীবাহী নৌকাগুলো পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ার আগেই সেগুলোকে চিহ্নিত করে আটক করা এবং সামরিক অভিযানসহ সম্ভাব্য সব শক্তি প্রয়োগ করে পাচারকারীদের জাহাজগুলো ধ্বংসের ব্যাপারে নেতারা একমত হন। কিন্তু পাচারকারীদের জাহাজগুলো আটকের জন্য কোনরকম সামরিক অভিযান চালানোর সুষ্পষ্ট আইনি ভিত্তি দাঁড় করাতে হলে ইইউকে জাতিসংঘের অনুমোদন নিতেই হবে। ইইউ-এর অভিবাসী সঙ্কট পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় শক্তি প্রয়োগের বৈধতা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘ সনদের ৭ অধ্যায়ের আওতায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করছেন ইতালি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, লিথুনিয়া এবং স্পেনের কূটনীতিকরা। কিন্তু সামরিক অভিযানের ধরন কি হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের মঘারিনি বলেছেন, নজিরবিহীন অভিবাসীর ঢল সামলাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তবে সমুদ্রপথে আটক হওয়া কোন শরণার্থী বা অভিবাসীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেশে ফেরত পাঠানো হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
×