ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাত্রা ছিল ৭.৩

ফের ভূমিকম্পে নেপালে ৪২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৩ মে ২০১৫

ফের ভূমিকম্পে নেপালে ৪২ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে ল-ভ- হলো হিমালয় কন্যা নেপাল। গত ২৫ এপ্রিল আঘাত হানা ভূমিকম্পের ধকল না কাটতেই মঙ্গলবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর বারোটা ৩৫ মিনিটে ফের ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বি¡ক জরিপ সংস্থা জানায়। এটির স্থায়িত্ব ছিল ৩০ সেকে-। এই ভূমিকম্পের আঘাতে ৪২ জন নিহত ও দুই হাজার লোক আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পর কয়েক দফা আফটার শক হলেও এর মাত্রা তেমন তীব্র ছিল না। মঙ্গলবারের ভূকম্পনটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশের কোদারির ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের নামচে বাজার নামক স্থানের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এ এলাকাটি চীন-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত। এটি একটি বেসক্যাম্প বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। কোদারি এলাকাটি রাজধানী কাঠমা-ুর মাত্র ৭৬ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। ওদিকে নেপালের পাশাপাশি ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ, ভারতের কলকাতা, দিল্লী, বিহার, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা এবং তিব্বতেও আঘাত হানে। এ ঘটনায় ভারতে অন্তত ১৪ জন এবং চীনে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এএফপি ও আল-জাজিরা অনলাইনের। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর নেপালের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ ২৯ জন নিহত ও অন্তত দুই হাজার লোক আহত হয়েছে। বহু দালান ভেঙে গেছে। ঘটনার পর লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে ঘরের বাইরে থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী কাঠমা-ু এবং আশপাশের সিন্ধুপালচক, ধোলাখা এবং সিন্ধুলি জেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনায় কাঠমা-ুতে ধসে পড়েছে দুটো ৫ তলা ভবন। স্থানীয় পুলিশ মুখপাত্র কমল সিং সিন্ধুপালচকের কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে। রোজ ফলে নামে নেপালে কর্মরত এক জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার সময় মনে হচ্ছিল আমরা ক্রমাগত কাঁপছি। এ সময় আমরা সবাই টেবিলের নিচে আশ্রয় নেই। যখন মনে হলো কম্পন আর থামছে না তখন আমরা বাইরে আসার চেষ্টা করি। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহেন্দ্র বাহাদুর পা-ে জানান, ভূকম্পনের জেরে কাঠমা-ুর আন্তর্জাতিক ত্রিভুবন বিমানবন্দরের বিমান ওঠানামা সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নেপালের কাঠমা-ুতে গত ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পে আহত অনেকে এখনও কাঠমা-ুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর এসব রোগীরা হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসে। কাঠমা-ুতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে। অনেকে তাদের আত্মীয়স্বজনকে নিচে নেমে আসার জন্য ডাকাডাকি করে। অনেকে আবার ঘরে ছুটে যান প্রিয়জনদের বের করে আনতে। নেপালের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার এক টুইটার বার্তায় বলেছে, সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা : এই কঠিন সময়ে সকল নেপালিকে নিরাপদে রাখুন।
×