ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গো আযমের স্ত্রীকে ভিআইপি মর্যাদা-দোষীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ ১৭ মে পুনর্নি

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৩ মে ২০১৫

গো আযমের স্ত্রীকে ভিআইপি মর্যাদা-দোষীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ ১৭ মে পুনর্নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দ-প্রাপ্ত রাজাকার শিরোমণি মরহুম গোলাম আযমের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা দেয়ায় আইন ভঙ্গ হয়েছে মর্মে দোষীদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল তা ১৭ মে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন নির্ধারণ করা হয়। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় সময় সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের পক্ষে আইনজীবী ড. মামুন আহম্মেদ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগমের পক্ষে এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল গোলাম আযমের স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা দেয়ায় আইন ভঙ্গ হয়েছে মর্মে দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলে আরও বলা হয়েছে, তাদের কিভাবে ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হলো, কেন দেয়া হলো। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি-না তা বিমানের সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান সিভিল এ্যাভিয়েশন, উত্তরা জোনের ডিসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতেখার জাহান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগমকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এদিকে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশাস জনকণ্ঠকে বলেছেন, মঙ্গলবার তারা সশরীরে আদালতে হাজির হননি। শুধুমাত্র আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন। প্রতিবেদন দিলে তখন বলা যাবে তারা কি বলেছেন। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। অন্যদিকে এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, গোলাম আযমের বেয়ান দেলেনা বেগম আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এফিডেভিটের জন্য সময় চেয়েছেন। আদালত তা মঞ্জুর করে ১৭ মে দিন নির্ধারণ করেছেন। ২২ এপ্রিল সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহম্মেদ ৯ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজা ফেরত গেল বিমানবন্দর থেকে’ শিরোনামে প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন । আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রুল জারি করেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহম্মেদ আদালতে জনকণ্ঠের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির, যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৯০ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত মরহুম গোলাম আযমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযম ও তার ভাতিজা লুৎফুল কবির সৌদি আরব যাওয়ার সময় আটকে দেয়া হয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি দিয়ে ইমিগ্রেশন করানোর সময় তাদের আটক করা হয়। পরে মুচলেকা রেখে তাদের বিমানবন্দর থেকে বের করে দেয়া হয়। বিষয়টি গোয়েন্দারা যখন নিশ্চিত হন, শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান তাদের পরিচয় গোপন রেখে ভিআইপি মর্যাদার ব্যবস্থা করেন, তখন এ নিয়ে তোলপাড় চলে। একটি সূত্র জানায়, আফিফা আযমসহ সব যুদ্ধাপরাধীর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিকটাত্মীয়দের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
×