ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আনসারউল্লাহ বাংলা-৮ এর দায় স্বীকার

এবার সিলেটে ব্লগার খুন

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৩ মে ২০১৫

এবার সিলেটে ব্লগার খুন

সালাম মশরুর সিলেট অফিস ॥ ব্লগার ওয়াশিকের রক্তের দাগ না শুকাতেই খুনের তালিকায় আরও একটি নাম সংযোজন হলো। শোক ক্ষোভ প্রতিবাদ সব ভাষা একাকার হয়ে গেছে। ক্রোধে ক্ষোভে উত্তাল প্রগতিশীল চেতনাধারী মুক্তমনা সকল হৃদয়। এবার ঘাতকের হামলার শিকার ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস। অনন্ত হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসারউল্লাহ বাংলা-৮। যুক্তি পত্রিকার সম্পাদক ও বিজ্ঞান লেখক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশের রক্তে রঞ্জিত হলো সিলেটের মাটি। নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে অনন্তকে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নগরীর সুবিদবাজার দস্তীদারদিঘীর পাড় এলাকায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্লগার অনন্ত খুন হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সমমনা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ছুটে যান হাসপাতালে। অনন্ত বিজয় সুবিদবাজার নূরানী ১০/১২ নম্বর বাসার রবীন্দ্র কুমার দাশের ছেলে। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ব্লগার অনন্ত মুক্তমনা ব্লগে লেখালেখি করতেন। তিনি সুনামগঞ্জ জাউয়া বাজার পূবালী ব্যাংক শাখায় চাকরি করতেন। প্রতিদিনের মতো অনন্ত কর্তব্যস্থলে যাবার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে কিছু দূর আসার পর তিনি হামলার শিকার হন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সুবিদবাজার পয়েন্টের দিক থেকে এগিয়ে গিয়ে মুখোশধারী চারজন যুবক অনন্তকে ধাওয়া করে দস্তীদারদীঘির পাড়ে নিয়ে আসে। পরে সেখানে কুপিয়ে তাকে ফেলে রেখে যুবকরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ব্লগার অনন্ত বিজয়ের বাসা থেকে বেশকিছু বই উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ইংরেজীতে লেখা বিদেশী কয়েকটি বই রয়েছে। এদিকে মুক্তমনা ব্লগার হওয়ায় একাধিকবার তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। মৌলবাদীরা টার্গেট করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার সহযোগীরা দাবি করেন। গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ জানান, অনন্ত বিজয় দাশ মুক্তমনা ব্লগে লেখালেখি করতেন। সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। বাসার সামনে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। গত ৩০ মার্চ ঢাকার বেগুনবাড়িতে অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল; ঠিক একই কায়দায় অনন্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। লেখক অভিজিত রায় হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাসের মাথায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো। অনন্ত হত্যার প্রতিবাদে আজ বুধবার নগরীতে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মৌলবাদীরা যে ৮৪ জন ব্লগারকে হত্যার জন্য তালিকা করেছিল তার মধ্যে অনন্ত একজন। ঘটনার পর এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসারউল্লাহ বাংলা। ৩০ বছর বয়সী অনন্ত বিজয় ব্লগসহ অনলাইনে তিনি সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ও যুক্তিনির্ভর লেখালেখি করতেন। ২০০৬ সালে তিনি মুক্তমনা ন্যাশনালিস্ট এ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক ছোটকাগজ ‘যুক্তি’ সম্পাদনা করতেন। ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও বিপ্লব : লিসেঙ্কো অধ্যায়’, ‘জীববিবর্তন সাধারণ পাঠ’, ‘ডারউইন: একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা’ শিরোনামে তিনটি বইও রয়েছে তার। পরিবারের সদস্যরা জানান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিষয়ে মাস্টার্স করার পর সুনামগঞ্জের জাউয়াবাজারে পূবালী ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে অনন্তের বন্ধু ও সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুজ্জামান পাপলু বলেন, পেছন দিক থেকে হামলাকারীরা অনন্তের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তাঁর মাথা থেকে মগজ বের হয়ে যায়। তিনি জানান, অনন্ত মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার ছিলেন। বিভিন্ন সময় তিনি বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লিখতেন। গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিতের একটি বইয়ের ভূমিকাও লিখেছিলেন অনন্ত। এছাড়া নিহত হওয়ার আগের দিন অভিজিত ও ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজের ফেসবুক পৃষ্ঠায় একটি পোস্ট দেন অনন্ত বিজয়। সেখানে লেখা হয়, ‘অভিজিত রায়কে যখন খুন করা হয়, অদূরেই পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছিল। খুনিরা নিশ্চিন্তে খুন করে চলে গেল। পরে পুলিশ বলে তাদের নাকি দায়িত্বে অবহেলা ছিল না। বড় জানতে ইচ্ছে করে তাদের দায়িত্বটা আসলে কী!’ তিনি লিখেন, ‘ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে যখন খুন করে খুনিরা পালিয়ে যাচ্ছিল তখনও কিন্তু পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু পুলিশের কপাল খারাপ, তারা বলতে পারল না- এক্ষেত্রেও তাদের কোন দায়িত্বে অবহেলা ছিল না। কারণ লাবণ্য নামের তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানবিক মানুষ খুনীদের ধরে ফেলেন। খুনীদের শ্রীঘরে পাঠিয়ে দেন।’ ঘটনার পর পরই পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ছুটে যান ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে। সেখান থেকে তারা হত্যার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের কমিশনার মোঃ কামরুল আহসান বলেন, ‘খুনীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। কেন- কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্লগার অভিজিত, রাজীব ও ওয়াশিকুরকে যেভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেই একই কায়দায় অনন্ত বিজয় দাশকেও হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনার পর র‌্যাব-৯ এর অপারেশন অফিসার পঙ্কজ কুমার দে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। এদিকে অনন্ত বিজয় দাশ হত্যকাণ্ডের খবর শুনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ব্লগার ও এক্টিভিস্টিরা। তারা ছুটে যান ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। সেখানে উপস্থিত হন লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এটা ভেবে বসে থাকলে চলবে না এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তিনি পুলিশকে দায়িত্ব নিয়ে খুনীদের গ্রেফতারে সক্রিয় হতে আহ্বান জানান। ওসমানী হাসপাতাল থেকে লাশের ময়না তদন্ত শেষে অনন্তকে নিয়ে যাওয়া হয় তার সুবিদবাজারের বাসায়। সেখানেও ছুটে যান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। উপস্থিত হন সংরক্ষিত আসনের এমপি কেয়া চৌধুরী। তিনি নিহতের স্বজনদের ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন। এরপর সর্বজনের শ্রদ্ধার জন্য লাশ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে লাশে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাসদ, ছাত্র ইউনিয়ন, ওয়ার্কার্স পার্টি, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, গণজাগরণ মঞ্চ মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ হান্নান, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আপ্তাব হোসেন খান, মেহেদী হাসান মুন্না, ওয়াহিদুজ্জমান, হিন্দু মহাজোট প্রমুখ। শ্রদ্ধার্ঘ্য শেষে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার ॥ অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার দায় স্বীকার করে টুইটারে একাধিক টুইট করেছে আনসার উল্লাহ বাংলা-৮ নামের একটি আইডি। এক টুইট বার্তায় তারা লিখেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আল-কায়েদা উপমহাদেশ (অছওঝ) এর ভাইরা আরও এক ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগারকে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন!’উত্তরে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোঃ রহমত উল্লাহ জানান, টুইটার বার্তায় দায় স্বীকারের বিষয়টি আমরা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ সিলেটে আধাবেলা হরতাল ॥ এর আগে দুপুরে ওসমানী হাসপাতালে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু এক সংবাদ সম্মেলনে অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবিতে আজ বুধবার সিলেট নগরীতে আধাবেলা হরতালের ডাক দেন। হরতালে সমর্থন দেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং উপস্থিত সিলেটের সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মীরা। ব্লগার অনন্ত হত্যার ঘটনায় শাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ॥ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, যুক্তি পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট বিজ্ঞান লেখক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকা-ের বিচার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাবি সাংস্কৃতিক সংগঠক শোভানোন রাজিক, জন রানা, রেজাউল করিম, শাকিল আকবর, ছাত্রনেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সারাদেশে ঘটে যাওয়া পূর্বের ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। মৌলবাদীরা প্রগতিশীল, মুক্তমনাদের যে তালিকা করেছে, সে তালিকা অনুযায়ী ধরে এসব মুক্তচিন্তার মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮৪ জন মুক্তমনার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যাদের হত্যা করা ঘোষণা দিয়েছে মৌলবাদীরা। অবিলম্বে এ অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানান বক্তারা। সমাবেশ থেকে বুধবার শাবিতে বৃহত্তর পরিসরে কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে শাবি ছাত্র ফ্রন্ট বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ ॥ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা ঘুরে পুনরায় শাহবাগে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, একের পর এক ব্লগারকে হত্যা করা হলেও কোন হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এসব হত্যাকা-ের দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ চোখে পড়ছে না। এসব ঘটনার বিচার না করে সরকার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ থেকে বোঝা যায় দেশে ধামাচাপার রাজনীতি শুরু হয়েছে। মঞ্চের মুখপাত্র আরও বলেন, সরকার অপরাধী ও খুনীদের খুঁজে বের করার বিষয়ে আন্তরিক নয়। তাদের বিভিন্নভাবে আশ্রয় দিচ্ছে। যদি লেখক হুমায়ুন আজাদের হত্যাকা-ের বিচার করতো, তাহলে পরবর্তী সময়ে এই ব্লগারদের জীবন দিতে হতো না। একেকটি হত্যাকা-ের পর বিভিন্ন ইস্যু সামনে নিয়ে এসে, এসব হত্যাকা-কে ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। ফলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার যে শক্তিকে তিলে তিলে ধ্বংস করা হচ্ছে। পূর্ববর্তী সকল ব্লগারের হত্যাকা-ের বিচারসহ অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারে সরকারের প্রতি দাবি জানান ইমরান এইচ সরকার। সমাবেশে বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয় ভাষিনীসহ মঞ্চের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
×