ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন!

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৩ মে ২০১৫

বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন!

আরাফাত মুন্না ॥ আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। অভিযোগ রয়েছে, এই ভোটার তালিকায় রয়েছে অসংখ্য দ্বৈত ভোটার। এছাড়া ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা সবাই ভোটার কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসব বিষয়ে খোদ বার কাউন্সিলের সরকার সমর্থক বিদায়ী পাঁচ সদস্য এমন অভিযোগ দিয়েছেন বার কাউন্সিলে। এদিকে এসব অভিযোগের পর দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করে ভোটার তালিকা থেকে ১০৩৯টি নাম কর্তন করা হয়েছে বলে দাবি বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের। বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু মুদ্রণ করা বাকি। তবে এভাবে সংশোধনীও বেআইনী বলে দাবি অভিযোগকারীদের। বার কাউন্সিলের বিদায়ী সরকার সমর্থক পাঁচ সদস্যের অভিযোগ, আগামী ২০ মে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এই নির্বাচনের ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। এর ফলে ভোট জালিয়াতির সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বলেছেন, ৪৮ হাজার ৪৬৫টি ক্রমিকসংবলিত ভোটার তালিকায় একটি নাম পাঁচ থেকে সাতবার ছাপা হয়েছে। এই তালিকায় কারও পিতার নাম বা সনদ প্রাপ্তির তারিখ বা ক্রমিক উল্লেখ না থাকায় কারও পরিচয় বোঝার উপায় নেই। এছাড়া এই ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে সবাই আসলেই আইনজীবী কি না, সেটা বোঝারও কোন উপায় নেই। বার কাউন্সিলের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির পাঁচ সদস্যের অভিযোগ, এক ব্যক্তির নাম একাধিক বারে (আইনজীবী সমিতি) থাকায় একজনের পক্ষে বিপুল জাল ভোট দেয়া সম্ভব। কারও নাম ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী বার কেন্দ্রে থাকলে তার পক্ষে এক দিনে চার কেন্দ্রেই জাল ভোট দেয়া সম্ভব। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই পাঁচ সদস্যসহ আরও ১০১জন আইনজীবী এসব বিষয়ে বার কাউন্সিলে চেয়ারম্যন ও সচিব বরাবরে চিঠিও দিয়েছেন। এদিকে, ভোটার তালিকায় এই ত্রুটির জন্য বার কাউন্সিলের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পাঁচ সদস্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনকে দায়ী করেছেন। তবে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে বলেছেন, তিনি পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি ছাড়া অন্য কোন কমিটিতে তিনি অন্তর্ভুক্ত নন। তাই এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের বিদায়ী সদস্য ব্যারিস্টার তানিয়া আমির জনকণ্ঠকে বলেন, যেভাবে ভোটার তালিকা করা হয়েছে তাতে মনে হয় বার কাউন্সিল একটা পোস্ট অফিস। তিনি বলেন, সারা দেশ, দেশের বারগুলো থেকে ভোটার তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেটা কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই বার কাউন্সিল শুধু একীভূত করেছে। বারগুলো থেকে যদি ১ লাখ ভোট সংবলিত তালিকা পাঠায় তাহলে বার কাউন্সিল কি তাই যোগ করবে? প্রশ্ন বার কাউন্সিলের এই বিদায়ী সদস্যের। তার দাবি, বার কাউন্সিলের ভোটার তালিকায় আইনজীবীদের স্ব স্ব বারের সদস্য নাম্বার এবং বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্তি তারিখ না থাকলে, এক জন আইনজীবীযে বৈধ ভোটার সে যানার কোন উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আপনি নিজেও কমিটিতে ছিলেন, এর পরেও তালিকার এসব বিষয়ে অভিযোগ কেন? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, কমিটিতে আমরা ছিলাম সংখ্যালঘু। যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা প্রক্রিয়ায় আমাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের জানা মতে বার কাউন্সিলের কার্যালয়ে কোন বৈধ সভার মাধ্যমে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়নি। তালিকা চূড়ান্ত করার পূর্বে আমাদের কাছ থেকেও কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি। বার কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুল আহসান এ বিষয়ে জনকণ্ঠকে বলেন, গত ৯ এপ্রিল ৪৮ হাজার ৪৬৫ জনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পর বার কাউন্সিলের পাঁচ জন সদস্য এবং ১০১ জন আইনজীবী ভোটার তালিকায় দ্বৈত ভোটারের বিষয়ে অভিযোগ দেন। এর পর বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটার তালিকা সংশোধন করার কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন, যাচাই বাছাই করে ১০৩৯টি নাম তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া তালিকা থেকে বাদপড়া প্রায় ২০০টি নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংশোধনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে, এখন শুধু প্রিন্ট বাকি বলেই জানান বার কাউন্সিলের এই কর্মকর্তা। তবে ভোটার তালিকা সংশোধনে বার কাউন্সিলের এই প্রক্রিয়াটিও বেআইনী বলে দাবি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। তিনি বলেন, এক জন আইনজীবীর কাছে জানতে হবে তিনি কোন বারে ভোট দেবেন। তিনি নিজেই কেন্দ্র ঠিক করবেন। বার কাউন্সিল ইচ্ছে মতো কারও নাম কর্তন করতে পারে না। আগামী ২০ মে সারা দেশের ৭৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। একজন সদস্য চাইলে পৃথকভাবে সব বারের সদস্য হতে পারেন। আইনে কোন সীমা দেয়া নেই। কিন্তু বার কাউন্সিল আইনের ১১ (২) ধারায় বলা আছে, এক ব্যক্তি কেবল ভোটার তালিকায় নির্দিষ্ট করা কেন্দ্রেই ভোট দেবেন। বর্তমানে বার কাউন্সিলের ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে বিএনপির নয়জন ও আওয়ামী লীগসমর্থিত প্যানেলের পাঁচজন রয়েছেন। ২৯ এপ্রিলের বৈঠকে মতিন খসরু ও তানিয়া আমীর ভোটার তালিকা নিয়ে লিখিত আপত্তি দেন। ওই দিনই তারা এবং অপর তিন সদস্য আলাদা চিঠিতে ‘রহস্যজনকভাবে’ এক ব্যক্তির নাম দুবার করে ভোটার তালিকায় ছাপানোর নমুনা হিসেবে সাতটি নাম উল্লেখ করেন। এদের মধ্যে তারানা আফরোজের নাম একবার তালিকার ৩৭ নং পৃষ্ঠায় ৩৬২১ ক্রমিকে আবার ১০৯ পৃষ্ঠায় ৬৫১২ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। মোঃ তসলিম উদ্দিন ভূইয়ার নাম একবার ৩৮ পৃষ্ঠায় ৩৭২৫ ক্রমিকে আরেকবার ১০৮ পৃষ্ঠায় ৬৫০০ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। সৈয়দ মুহাইমেন বখশের নাম একবার ১০৪ পৃষ্ঠায় ৬০২৬ ক্রমিকে আবার ৩৬ পৃষ্ঠায় ৩৫৩৮ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। সুলতানা নাসরিনের নাম একবার ১৮৩ পৃষ্ঠায় ১৪১১০ ক্রমিকে আরেকবার ৩৮ পৃষ্ঠায় ৩৭৬৩ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। ইভা কাশেমের নাম একবার ৩৭ পৃষ্ঠায় ৩৬১০ ক্রমিকে আরেকবার ১০৮ পৃষ্ঠায় ৬৪৪৫ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। মোঃ হাবিবুর রহমানের নাম একবার ৩৭ পৃষ্ঠায় ৩৬০৫ ক্রমিকে আবার ১০৯ পৃষ্ঠায় ৬৫৯৪ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। এবং মেহেরুন্নেসার নাম একবার ৩৭ পৃষ্ঠায় ৩৬২৭ ক্রমিকে আরেকবার ১০৯ পৃষ্ঠায় ৬৫৩৫ ক্রমিকে ছাপা হয়েছে। পরে সভার ‘সর্বসম্মত’ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল প্রথম আলোতে একটি বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে যারা সুপ্রীমকোর্ট বারের সদস্য হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে অন্য বার থেকে ভোট দিতে আগ্রহী, তাদের সাত দিনের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এরপর প্রায় ৬২৩ জন আইনজীবী সুপ্রীমকোর্ট থেকে নাম কেটে ঢাকা বার থেকে ভোট দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। ওই সভায় এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ১৪টি পদের জন্য ভোট প্রয়োগ করেন আইনজীবীরা। যিনি শুধু সুপ্রীমকোর্ট বারের সদস্য, তিনি সাধারণ আসনের সাত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। অন্য বারের সদস্য হলে অতিরিক্ত আরেকটি ভোট (গ্রুপভিত্তিক) দেয়া যায়। গত ২৯ এপ্রিল জরুরি সভার দিনেই মতিন খসরু, তানিয়া আমীরসহ পাঁচ আইনজীবীর চিঠিতে ভোটার তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বলা হয়, কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভোটার তালিকা প্রকাশ করে বার কাউন্সিলকে পোস্ট অফিসে পরিণত করা হয়েছে। এদিকে বার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনে সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদে তারকাখচিত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল ঘোষণা করেছে। প্রতিদিনই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চষে বেড়াচ্ছেন তারা। পূর্ণ প্যানেল ঐক্যবদ্ধ ভাবেই যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। এ বিষয়ে এই প্যানেলের সদস্য প্রার্থী সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে বলেন, এবার আমাদের প্যানেল অনেক শক্ত হয়েছে। সমন্বয় পরিষদ দীর্ঘ দিনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই বার কাউন্সিলের এবার আমরা হারানো নেতৃত্ব ফিরে পাব বলেই আশা করছি, মন্তব্য করেন এই আইনজীবী নেতা। এদিকে এবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের বাইরে ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী সমাজ নামে আরেকটি প্যানেল দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ আসনে ৩২ জন, গ্রুপ অনুয়াযী গ্রুপ-এ আসনে ৪ জন, গ্রুপ-বি আসনে ৩ জন, গ্রুপ-সি আসনে ৩ জন, গ্রুপ-ডি আসনে ৫ জন, গ্রুপ-ই আসনে ৩জন, গ্রুপ-এফ আসনে ৪জন এবং গ্রুপ-জি আসনে ৭জন প্রার্থী রয়েছেন। সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল ॥ সরকার সমর্থক আইনজীবীদের এই প্যানেলের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, জাতীয় আইনজীবী পরিষদ, ও গণতন্ত্রিক আইনজীবী পরিষদ (একাংশ)। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে রয়েছেন এম আমীর-উল-ইসলাম, আব্দুল বাসেত মজুমদার, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল মতিন খসরু, পরিমল চন্দ্র গুহ, জেড আই খান পান্না, শ ম রেজাউল করিম। গ্রুপ অনুযায়ী রয়েছেন গ্রুপ-এ ঢাকা আসনে কাজী মোঃ নজিবুল্লাহ হিরু, গ্রুপ-বি আসনে আলহাজ এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, গ্রুপ- সি আসনে মোঃ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, গ্রুপ-ডি আসনে সরোয়ার আহম্মেদ চৌধুরী আবদাল, গ্রুপ-ই আসনে পারভেজ আলম খান, গ্রুপ এফ আসনে মোঃ ইয়াহিয়া ও গ্রুপ- জি আসনে মোঃ রেজাউল করিম। জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের প্যানেল ॥ বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেলে রয়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, এএম মাহবুব উদ্দিন (খোকন), মোঃ সানা উল্লাহ মিয়া, মোঃ বদরুদ্দোজা (বাদল), মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ মহসিন মিয়া। গ্রুপ-এ আসনে রয়েছেন গোলাম মোস্তফা খান, বি আসনে মোহাম্মদ আব্দুল বাকী মিয়া, সি আসনে কবির চৌধুরী, ডি আসনে মোঃ কাইমুল হক, ই আসনে আব্দুল মালেক, এফ আসনে মোঃ ইসহাক ও জি আসনে একে এম হাফিজুর রহমান। ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী সমাজের প্যানেল ॥ ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী সমাজের প্যানেলে রয়েছেন সুব্রত চৌধুরী, শাহ মোঃ খসরুজ্জামান, একেএম জগুলল হায়দার আফরিক, সরওয়ারই-দীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, আব্দুল মোমেন চৌধুরী, মোঃ জহিরুল ইসলাম। গ্রুপ অনুযয়াী আসনে রয়েছেন এ আসনে এস এম আলতাফ হোসেন, বি আসনে নজরুল ইসলাম খান, সি আসনে এখন ঠিক করতে পারেনি, ডি আসনে শান্তিপদ ঘোষ, ই আসনে আব্দুল আজিজ, এফ আসনে ডি এম বারী ও জি আসনে এটিএম এনামুল হক। প্যানেলের বাইরে যারা ॥ এই তিনটি প্যানেলের বাইরে আরও যারা আছেন তাদের মধ্যে সাধারণ আসনে রয়েছেন মোঃ ইস্রাফিল, ড. মোঃ ইউনুস আলী আকন্দ, নাসির উদ্দিন আহম্মেদ (অসীম), মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ এনামুল কবির হাওলাদার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মল্লিক, মোঃ মাহবুব মিয়া, মোঃ শওকত হায়াত, মোঃ সামছুল হক, সুলতান এ সবুর। গ্রুপ আসনে রয়েছেন এ আসনে সায়মা খান , ডি আসনে মাছুদ সালাউদ্দিন, মোঃ আখতার বকস জাহাঙ্গীর, এফ আসনে মোঃ মাহাবুবুল হক জোয়ার্দ্দার, জি আসনে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার, মোঃ শহীদুল্লাহ বিশ্বাস হেলাল, শাকিল মোঃ শরিফুল হায়দার।
×