ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে ডাঃ আবদুল গফফারকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৩ মে ২০১৫

যশোরে ডাঃ আবদুল গফফারকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের অভয়নগরে প্রসূতি রোগীকে অস্ত্রোপচারের নামে অপচিকিৎসার মামলায় ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক ডা. আব্দুল গফ্ফারকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের গৃহবধূ সম্পা বেগম সন্তান প্রসবের আগে ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল অভয়নগরের ডক্টরস ক্লিনিকে ভর্তি হন। নরমাল ডেলিভারি হবে না বলে দুজন সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে রোগীর বোন রেহানা বেগমের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন ডা. আব্দুল গফ্ফার। রোগী গরিব হওয়ায় ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকায় চুক্তি করে টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়। ওই দিন রাত ১টার দিকে সম্পা বেগমের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় কোন সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া আব্দুল গফ্ফার কয়েকজন নার্সের সাহায্য নিয়ে সম্পা বেগমকে অপারেশন করেন। ১৫ এপ্রিল ডক্টরস ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেয়ার এক সপ্তাহের পরেই অস্ত্রোপচারের স্থানে প্রচ- ব্যথা যন্ত্রণায় আবারও রোগীকে ওই ক্লিনিকে নেয়া হয়। ডাক্তার আব্দুল গফ্ফার তাকে আর চিকিৎসা করাতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে যশোর শহরের একতা হাসপাতালে ভর্তি করে আবারও অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করা হয়। এ ঘটনায় রোগীর বোন রেহানা বেগম বাদী হয়ে ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক ডা. আব্দুল গফ্ফারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল গফ্ফার কোন সার্জারি চিকিৎসক নন। এছাড়া তার ক্লিনিকের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ডক্টরস ক্লিনিক স্থাপন করে এবং নিজেকে সার্জারি চিকিৎসক বলে দাবি করে। সাতক্ষীরা-খুলনা বাস চলাচল বন্ধ চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধ স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ চাঁদাবাজি নিয়ে দু’জেলার মালিক সমিতির আর্থিক দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়ে গেছে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল। সাতক্ষীরা জেলা মিনিবাস-বাস মালিক সমিতি খুলনায় বাস না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে সোমবার সন্ধ্যা থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাতক্ষীরা জেলা মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার কোন যাত্রীবাহী বাস খুলনা পৌঁছালে খুলনা জেলা মালিক সমিতিকে বাসপ্রতি ১১৯৫ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। অন্যদিকে খুলনার যাত্রীবাহী বাস সাতক্ষীরায় এলে তারা সাতক্ষীরা মালিক সমিতিকে বাসপ্রতি ৩৯০ টাকা হারে চাঁদা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বৈষম্য দূর করতে সাতক্ষীরা জেলা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে খুলনা মালিক সমিতিকে বার বার তাগিদ দেয়া হলেও তারা বৈষম্য নিরসনে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সর্বশেষ সাতক্ষীরা মালিক সমিতি খুলনা মালিক সমিতিকে বাসপ্রতি ৩৯০ টাকা হারে চাঁদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে খুলনা মালিক সমিতি তা প্রত্যাখ্যান করে। এরই প্রতিবাদে সাতক্ষীরা মালিক সমিতি বৈষম্য নিরসন না হওয়া পর্যন্ত খুলনায় বাস না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
×