ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ১৩ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

দুর্ভোগ-যন্ত্রণা আর কত চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত অতি সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রেলপথের দৈর্ঘ্য মাত্র ১৮০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম থেকে বিরতিহীন একটি ট্রেন ৩ ঘণ্টায়, আন্তঃনগর ট্রেন ৪ ঘণ্টায় ও অন্যান্য ট্রেন সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টায় চাঁদপুর পৌঁছতে পারে। পূর্বাঞ্চলীয় রেল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনার কারণে একটি ট্রেনের চাঁদপুর পৌঁছতে প্রকৃত সময়ের দ্বিগুণ সময় ব্যয় হয়ে যায়। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর লাইনে চালু সাগরিকা এক্সপ্রেস ও মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ইঞ্জিন ঘোরানোর অজুহাতে লাকসাম জংশনে ১ থেকে ২ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অর্থাৎ যতক্ষণ একটি ট্রেন লাকসাম স্টেশনে দাঁড়ানো থাকে ওই একই সময়ে ট্রেনটি চাঁদপুর পৌঁছে যেতে পারে। এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রেলপথে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে (৩/৪ কি.মি) ‘লাকসাম বাইপাস’ নির্মাণের দাবি করে আসছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১২ সালের শুরুতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নামভুক্ত হয়। রেলের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও ৪টি বিভাগের ২২টি জেলার ৫ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি -চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালু ও লাকসাম বাইপাস নির্মাণে কোন অগ্রগতি হয়নি। দ্বিতীয়ত সড়কপথে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা চৌরাস্তা হয়ে চাঁদপুরের দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার। এ পথে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যেতে ৭ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়। অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণের কারণে চট্টগ্রাম থেকে আগত দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা, ফেনী-সোনাইমুড়ি-রামগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর সড়কটির কিছু অংশ প্রশস্ত করা হলে চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টায় চাঁদপুর ও হরিণা ফেরিঘাটে পৌঁছা যাবে। এ পথে বাস চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর, বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ ও যশোরের সড়কপথে দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের চট্টগ্রাম যাতায়াতে লাকসাম জংশন রেলস্টেশন ও কুমিল্লা চৌরাস্তা টর্চার সেলের ন্যায় আচরণ করছে। এ কারণে ৬৮ বছর যাবত ২২ জেলার ৫ কোটি মানুষ অমানবিক দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা ভোগ করছে। এমএ শাহেনশাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন সদিচ্ছার বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আক্ষেপ করে বলতে হয়Ñএ দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। উন্নত বিশ্বে যখন মানুষ শতভাগ শিক্ষার হার নিশ্চিত করতে ব্যস্ত তখন এ দেশের মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাড় করতে শরীরের সবটুকু ঘাম ঝরাচ্ছে। মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি চাহিদা নিশ্চিত করতেই যাদের ঘাম ছুটে যাচ্ছে; কি করে তারা উন্নত শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের চিন্তা করবে? এ রকম হতদরিদ্র পরিবারের সকলের ভরণপোষণ একজন পিতার পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব হয় না। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে এই দরিদ্র পরিবারের বাবা-মা অল্পবয়সী শিশুকে কর্মস্থলে পাঠাচ্ছেন অর্থ যোগাড়ে। শিশুরাও এখন প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়ছে শিশুশ্রমের দিকে। যে বয়সে একটি শিশুর কলম-খাতা হাতে স্কুলে যাবার কথা, সে বয়সে সে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে কাজের সন্ধানে। বাদাম-বুট-ঝালমুড়ি বিক্রি থেকে শুরু করে ভারি শিল্প কারখানায়ও কাজ করছে এসব শিশু। এভাবেই ঝরে যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত। সরকার শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে অনেক পদক্ষেপ নিলেও কোনটাই তেমন সফলতার মুখ দেখেছে বলে মনে হয় না। অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ডাইনিং কিংবা ক্যান্টিনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবাধে চলছে শিশুশ্রম। শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় একই অবস্থা। যে পবিত্র স্থানে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি হয় সেই স্থানেই চলছে জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার পাঁয়তারা। একটুখানি সদিচ্ছাই পারে বাংলাদেশকে শিশুশ্রমের কালো হাত থেকে রক্ষা করতে। মোঃ নাবিল তাহমিদ রুশদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এসব বন্ধ করুন প্রকৃতি কন্যাখ্যাত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনায়াসেই সকলের মন কেড়ে নেয়। ১ হাজার ২৩১ একর আয়তনের এই বিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচেকানাচে জুড়ে রয়েছে অপার সৌন্দর্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনটি। দেশী-বিদেশী মূল্যবান ও দুষ্পাপ্য বিভিন্ন উদ্ভিদের সংরক্ষণের জন্য গড়ে উঠেছে এই গার্ডেন। পাশাপাশি বাকৃবি পরিবারের বিনোদনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষা গার্ডেনটির সৌন্দর্য অবলোকন করতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ। ইদানীং গার্ডেনের ভেতরে কিছু তরুণ-তরুণীর আপত্তিকর মেলামেশা গার্ডেনের সুষ্ঠু পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে বিনোদনের পরিবেশ। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামও। মু. শাহীন আখতার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
×