ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন জয়ললিতা

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১২ মে ২০১৫

দুর্নীতির অভিযোগ  থেকে রেহাই  পেলেন  জয়ললিতা

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারানোর আট মাসের মাথায় হাইকোর্টের রায়ে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন জয়ললিতা। সোমবার কর্নাটক হাইকোর্টে জয়ললিতার আপিলের এই রায়ের মধ্য দিয়ে তার ক্ষমতায় ফেরার পথ তৈরি হলো। খবর এনডিটিভি। আইবিএন লাইভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রায়ের পর তামিলনাড়ুতে উল্লাসে ফেটে পড়েন জয়ললিতার সমর্থকরা। বিভিন্ন স্থানে নেচে-গেয়ে, পতাকা উড়িয়ে ‘আম্মার’ জন্য তারা আনন্দ প্রকাশ করেন। জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের এমপিরাও পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে এসে উল্লাসে যোগ দেন, চলে মিষ্টিমুখ। জমিনে থাকা জয়ললিতা রায়ের সময় চেন্নাইয়ে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। তার আইনজীবী বি কুমার এ রায়কে অভিহিত করেন ‘বিরাট বড় স্বস্তি’ হিসাবে। আর ১৮ বছর আগে জয়ললিতার বিরুদ্ধে যিনি এই মামলা করেছিলেন, সেই বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী রায়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, “আমি বিস্মিত, হতবাক।” ৫৪ কোটিরুরুপির অবৈধ সম্পদ রাখার দায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ মামলায় ৬৭ বছর বয়সী জয়ললিতাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত, সেই সঙ্গে করা হয় ১০০ কোটি রুপি জরিমানা। ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ললিতার দল দ্বিতীয়বারের মতো তামিলনাডুর ক্ষমতায় আসার পর বিচার যাতে প্রভাবিত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই বিরোধী পক্ষের দাবির মুখে মামলাটি তামিলনাড়ু থেকে এ আদালতে আনা হয়। আদালতের রায়ে সাজা হওয়ায় জেলে যেতে হয় তামিলনাড়ুর এই প্রভাবশালী রাজনীতিবিদকে, ছাড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ। মামলার বাদী সুব্রামানিয়াম স্বামীর অভিযোগ ছিল, প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে জয়ললিতা মাত্র এক রুপি বেতন নিতেন। কিন্তু ওই সময়ে পাঁচ বছরে তিনি কমপক্ষে ৬৬ কোটি রুপির মালিক হয়েছেন। মামলার নথি অনুযায়ী, জয়ললিতার সম্পদের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি সোনা এবং ১২ হাজার শাড়ি। বিচারিক আদালতের ওই রায়ে বলা হয়, ১৯৯১-৯৬ সালে প্রথম মেয়াদে তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ গড়েছেন জয়ললিতা।
×