ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিটির বড় জয় এ্যাগুয়েরোর হ্যাটট্রিকে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১২ মে ২০১৫

সিটির বড় জয় এ্যাগুয়েরোর হ্যাটট্রিকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে চেলসি। তাই চেলসির জন্য ম্যাচটি ছিল শুধুই নিয়ম রক্ষার। অন্যদিকে লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্রয়ে শেষ হয় ম্যাচটি। এর ফলে প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ চার দলের মধ্যে থাকতে পারল না লিভারপুল। যে কারণে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও খেলা হচ্ছে না অলরেডদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের দুটি গোলই এসেছে ইংল্যান্ডের সাবেক দুই অধিনায়কের পা থেকে। ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চেলসির অধিনায়ক জন টেরি। তবে বিরতির ঠিক আগে লিভারপুলের অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড গোল করে সমতায় আনেন। জেরার্ডের এই গোলের সৌজন্যই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে পরাজয়ের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন তিনি। কিন্তু চতুর্থ স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পেছনে থাকায় লিভারপুলের পক্ষে কার্যত আর শীর্ষ চারে ফিরে আসা অনেকটাই অসম্ভব। বিশেষ করে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণেই তা অসম্ভব। তবে আগামী সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে হোম ম্যাচটি বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আগামী মৌসুমে লস এ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিতে যাওয়ার আগে এ্যানফিল্ডে এটাই ছিল জেরার্ডের শেষ ম্যাচ। এর আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ম্যানচেস্টার সিটিকে বড় জয় উপহার দেন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। এদিন ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল ৬-০ গোলে রীতিমতো উড়িয়েই দেয় তুলনামূলকভাবে খর্ব শক্তির দল কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে (কিউপিআর)। গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা নিশ্চিত করা চেলসি। কিন্তু তার পরও কোচ জোশে মরিনহো সতর্ক ছিলেন। ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য চেস ফেব্রিগাস রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করে বসলে হলুদ কার্ডের শিকার হয় চেলসি। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুর্দান্ত এক গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন জন টেরি। ডানদিক থেকে চেস ফেব্রিগাসের কর্নার থেকে পাওয়া বলে মাথা ছুঁইয়ে লিভারপুল গোলরক্ষক সিমন মিগনোলেটকে পরাস্ত করেন টেরি। স্টার্লিংয়ের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ফিলিপ কটিনহোর একটি বল কোনমতে পা দিয়ে রক্ষা করেন চেলসির গোলরক্ষক থিবাট কোরটোয়িস। গ্লেন জনসনের বাঁ পায়ের জোরালো একটি শট সাইড নেটে লেগে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের শুরুতে অনেকটা খলনায়কে পরিণত হওয়া ফ্যাব্রিগাস প্রথমার্ধের পুরোটা সময়ই দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন। নিজে একের পর এক প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি সতীর্থদেরও বল যোগান দিয়েছেন। তার পাস থেকে লুইক রেমাইর একটি বল লাইনের ওপর থেকে রক্ষা করেন মিগনোলেট। ৩৪ মিনিটে সেন্টার ব্যাক কার্ট জোমার স্থানে গ্যারি কাহিলকে নামানোটা স্বাগতিকদের জন্য ব্যুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। ৪৪ মিনিটে লিভারপুল ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ আর নষ্ট করেনি। এ্যাডাম লালানাকে ফাউল করার অপরাধে ব্রানিসøাভ ইভানোভিচকে হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করে দেন রেফারি। সেই ফাউল থেকে পাওয়া ফ্রি-কিকে জর্ডান হেন্ডারসনের বলে জেরার্ড মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু কোটিনহো, স্টার্লিংদের ব্যর্থতায় তা কাজে লাগাতে পারেনি। অন্যদিকে উইলিয়ান দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। দিনের অন্য ম্যাচে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার এ্যাগুয়েরো। সেই সঙ্গে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা পায় ৬-০ গোলের বড় জয়। এ্যাগুয়েরো ছাড়া বাকি তিনটি গোল করেন কোলারোভ, মিলনার এবং ডেভিড সিলভা। এদিন ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে কিউপিআরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নিজের নামটিকে আরও পাকাপোক্ত করলেন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। তার মোট গোলসংখ্যা ২৫। কিউপিআরের বিপক্ষে চলতি মৌসুমে পঞ্চম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই আর্জেন্টাইন। সার্জিও এ্যাগুয়েরোর পর ২০ গোল করে এই তালিকায় দুইয়ে আছেন টটেনহাম হটস্পারের ইংলিশ ফুটবলার হ্যারি কেন। চেলসির স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড দিয়েগো কোস্তার গোল ১৯। অবস্থান তিনে। এ ছাড়া কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের চার্লি অস্টিন করেছেন ১৭ গোল, আর্সেনালের এ্যালেক্সেস সানচেসের গোলসংখ্যা ১৬। সানচেসের সতীর্থ অলিভিয়ের জিরাউড ও চেলসির ইডেন হ্যাজার্ডের গোল সমান ১৪টি করে।
×