ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফিরেই দুরন্ত ইন্নিসের চোখ রিও অলিম্পিকে

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১২ মে ২০১৫

ফিরেই দুরন্ত ইন্নিসের চোখ রিও অলিম্পিকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মা হওয়ার জন্য ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। প্রায় দুই বছর দৌড়াননি। আবার ফিরেছেন অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী তারকা স্প্রিন্টার জেসিকা ইন্নিস হিল। বিশ্ব মা দিবস চলে গেছে রবিবার। ২৯ বছর বয়সী ইন্নিস এর আগেই দারুণভাবে ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। ব্রিটিশ এ তারকা এ্যাথলেট গ্রেট সিটি গেমসে নেমেই ১০০ মিটার হার্ডেলসে হয়েছেন তৃতীয়। সময় নিয়েছেন ১৩.১৪ সেকেন্ড। বুঝিয়ে দিয়েছেন বেশ ভালভাবেই ফিরে আসছেন তিনি। এবারও আগামী অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্নটাকে বাস্তব করতে চান। সে জন্য জোরেশোরেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন ইন্নিস। প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য সঙ্কেতও দিয়েছেন প্রত্যাবর্তনে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে। আগামী বছর রিও ডি জেনিরোতে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক গেমস শুরু হবে। সেখানে নিজেকে আগের মতো উপস্থাপন করতে চান ইন্নিস। তবে সে জন্য আগে থেকেই ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। ১৩ মাস হাতে আছে এখনও। এ সময়ের মধ্যেই পুরনো রূপে ফিরতে চান ইন্নিস। মাতৃত্ব লাভের জন্য ২২ মাস ছিলেন ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডের বাইরে। আবার যখন ফিরলেন ট্র্যাকে দর্শকরা তাঁর পক্ষে চিৎকার করে উঠেছেন। নিজের ৯ মাস বয়সী সন্তান রেগিকেও নিয়ে এসেছিলেন। দর্শকরা উৎফুল্ল কণ্ঠে তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। পরে প্রতিযোগিতা শুরুর পর ভক্তদের খুব একটা হতাশ করেননি ইন্নিস। তৃতীয় হয়েছেন। মায়ের সাফল্য ছোট্ট রেগিও দেখেছে স্বচক্ষে। লন্ডন অলিম্পিক স্টেডিয়ামের বর্ষপূর্তির প্রতিযোগিতায়ও দারুণ করেছিলেন ইন্নিস। ১৩.০৮ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন সেদিন। সুতরাং ঠা-া পরিবেশ এবং জোরালো বাতাসের মধ্যে মানিয়ে উঠতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না তাঁকে। টিফানি পোর্টার অবশ্য অনেক এগিয়ে থেকে শেষ করেছেন। তিনি ১২.৮৬ সেকেন্ড সময় নেন। টিফানির পরেই ছিলেন লুুসি হ্যাটন। কিন্তু তৃতীয় হওয়ার পরও দারুণ সন্তুষ্ট ইন্নিস বলেন, ‘ফিরতে পারাটাই অনেক ভাল বিষয়। আমার মনে হচ্ছে আবার আমার সবে শুরু হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি এটা নিয়েই এখন আবার আমাকে গড়ে উঠতে পারব। আমি সব সময়ই নিজের নৈপুণ্যে হতাশ হই। প্রতি সময়েই মনে হয় আমার সামর্থ্য আছে আরও দ্রুতবেগে দৌড়ানোর। কিন্তু আমি একটা হার্ডলসে এদিন হোঁচট খেয়েছি। আমার মনে হচ্ছে দৌড়ানোর তীব্রতার ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি রয়েছে আমার।’ পায়ের পাতার নিচে কিছুটা সমস্যা থাকার কারণে এখনই হেপ্টাথলনে অবশ্য ফেরা হচ্ছে না ইন্নিসের। কিন্তু এ মাসের শেষদিকেই হয়ত অস্ট্রিয়ায় তাঁকে হেপ্টাথলনেও দেখা যাবে। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে হেপ্টাথলনেই স্বর্ণ জিতেছিলেন ইন্নিস। আগামী বছর রিও অলিম্পিকেও হেপ্টাথলনের স্বর্ণটা ধরে রাখতে চান তিনি। এ বিষয়ে ইন্নিস বলেন, ‘এখন আমি চলে গিয়ে একটা কাজই করতে পারিÑ সেটা হচ্ছে আরও কিছু অনুশীলন বেশি বেশি করতে পারি। তারপর দেখি কয়েক সপ্তাহ যাওয়ার পর নিজেকে কোন পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হই। এখন আমার কিছুদিন পর পরই কিছু প্রতিযোগিতায় নামা জরুরী। এ ধরনের পরিবেশে এমন কিছু মেয়েদের সঙ্গে দৌড়াতে পারলেই আমার উন্নতি দ্রুত হবে। তবে এখন যতটুকু পেরেছি তাতে আমি অনেক খুুশি। আমার লক্ষ্য আগামী অলিম্পিকের আগেই নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পাওয়ার। কারণ আমি আবারও স্বর্ণপদক জিততে চাই। সেটা করতে হলে অবশ্যই আমাকে আরও অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সেদিকেই এখন মনোযোগী হব।’
×