ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতন হই

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১২ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

জ্ঞানী লোকে বলে ‘পাটাপুতায় ঘষাঘষি মরিচের দশা করুণ।’ অতি সত্য কথা। আজ আমরা এই কথাটা নতুন করে অনুধাবন করছি। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কাকে দেব দোষ। সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে তাহলে সে ভূত তাড়ানো যায় না। দোষ আমাদের নিজের। আমরা বাঙালীরা অতি আবেগী ও অন্ধ বিশ্বাসী, জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেকহীন। আমরা গাধার মতো জল ঘোলা করে খেতে ভালবাসি। তা না হলে আমাদের কপালে কেন এত দুঃখ-দৈন্য, দুর্যোগ? বিশ্বের অন্য দেশের দিকে লক্ষ্য করুন তারা কোন দল বিশেষের অন্ধভক্ত নয়, বিশ্বাসীও নয়। আর সেজন্য তাদের দেশে শান্তি-সুখেরও অভাব নেই। তারা কোন দল নয়, ব্যক্তিকেই জনপ্রতিনিধি ও দেশ পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করে। (আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কথাই চিন্তা করুন।) যে ব্যক্তি বা দলকে উপযুক্ত মনে করে, দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এবং যে দল-মত, শ্রেণী-বর্ণ, ব্যক্তি-স্বজন নির্বিশেষে দেশকে ম্যানহাটন শহরের মতো ওপরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাকেই ভোট দেয়। আর আমরা ঠিক তার বিপরীত। আমরা এমন কিছু দলকে খেয়ে না খেয়ে, মেরে-কেটে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাজিয়ে বার বার ক্ষমতায় আনি যারা দেশ নয় নিজের ও নিজের পরিবারের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বাড়ানোতে দক্ষ। যার জন্য আমাদের এই অধোগতি। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা নেই, একটার পর একটা রাজনৈতিক দুর্যোগ লেগেই আছে। আর কতকাল এভাবে চলবে। আসুন এবার আমরা সচেতন হই, আমরা মানুষ হই। পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াই। শিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত, নম্র, দক্ষকে জনপ্রতিনিধি বানাই। কোন লোভ-মোহের তাড়নায় নয়, দায়িত্ববোধের তাড়নায়ই পরিচালিত হই। মিলন সরকার বারিধারা, ঢাকা। গেস্ট রুমে আর কতদিন? আবাসিক সুবিধা সম্পন্ন বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি প্রক্রিয়ার সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, লটারির মাধ্যমে ১২টি হলে সিট বরাদ্দ দেয়। কিন্তু বাকৃবি প্রশাসন এটা নিশ্চিত করে বলেনি, কত নং রুমের কত নং বেডটা আমার? তাই বাকৃবিতে আমার মতো প্রত্যেক নবীন শিক্ষার্থীর জায়গা হয়েছে গণরুম কিংবা গেস্টরুমে। হল অনুসন্ধান করে দেখা যায়, প্রত্যেকটি হলেই পর্যাপ্ত রুম ফাঁকা কিংবা একটি রুমে একজন করে দখল করে আছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গণরুম কিংবা গেস্ট রুমের অবস্থা খুবই করুণ। রুমগুলোতে বেড ছাড়া পড়ালেখার আনুষঙ্গিক কোন কিছুই নেই। দেখা গেছে কোন কোন বেডে ছাত্রদের ডাবলিং, ট্রিপলিং করে থাকতে হচ্ছে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট এ সমস্যাটি সাধারণ ছাত্রদের কাম্য নয়। এই সমস্যাটি লাঘবে বাকৃবি প্রশাসন দ্রুত সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা নবীন ছাত্ররা আশা করছি। স্বপ্নীল বাশার শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ওদের বিচার দেখব কবে? ২০১৩ সালে আর এই ২০১৫ সালে পেট্রোলবোমা মেরে যারা মানুষ হত্যা করল, শুনেছি তারা নাকি চিহ্নিত। কেউ কেউ বোমা মারতে গিয়ে ধরাও পড়েছে। অথচ আজও শুনলাম না, মানুষ হত্যাকারী এই জঘন্য পশুদের বিচার হয়েছে। এও শুনি, যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের বিচার হয় না। বরং তারা নাকি জামিনে ছাড়াও পেয়ে যাচ্ছে। তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য কতিপয় অর্থলোভী লোক আইনী সহায়তা দেন। এ নিয়ে কথা হতে এক বৃদ্ধ জনালেন, বোমা মারার সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ল, যাদের হাতে বোমা কিংবা যার ঘরে বোমা পাওয়া যাবে তাদের ৭ দিনের মধ্যে কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হলে নাশকতা, হত্যাকা- চিরতরে বন্ধ করা যাবে। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা। কোচিং ব্যবসা রমরমা সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর পর শিক্ষার্র্থরা টেক্সট বইয়ের পরিবর্তে উল্টো গাইড বই নির্ভর হয়ে যায় ক্লাস শুরুর দুই এক মাস পরেই। আগে যেখানে একটি কোম্পানির গাইড কিনলে চলত, এখন বেশি বেশি উদ্দীপক পেতে একাধিক গাইড কিনতে হয়। গাইড কেবল যে শিক্ষার্থীরা কিনছে তা নয় শিক্ষকরা পর্যন্ত তা দেখে ক্লাসে পাঠদান করেন। এ প্রসঙ্গে একজন শিক্ষক বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে সৃজনশীল প্রশ্নের নমুনা দেয়া যাকে দু-একটি করে। অন্যদিকে গাইড বইগুলোতে নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া থাকে অসংখ্য। ভাল ফলাফলের আশায় শিক্ষার্থী অভিভাবক এমনকি ক্লাসের চাপে ক্লান্ত শিক্ষক সবাই গাইডমুখী হয়ে পড়েছেন। প্রায় সব শিক্ষকই বাজারে প্রচলিত গাইড বইগুলোতে যে প্রশ্নগুলো দেয়া হয় তা অনুসরণ করে শুধু নাম পাল্টিয়ে প্রশ্ন করেন। অধিকাংশ ছাত্র আগে যেখানে বিজ্ঞান, গণিত ও ইংরেজী বিষয়ে কোচিং করত এখন বাংলা, সমাজ, বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোর জন্য তাকে কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে স্কুল এবং স্কুলের বাইরে কোচিং-ব্যবসা বেশ রমরমা। আবুল বাশার (মিরাজ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
×