ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধীউ. কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র

উত্তেজনা উস্কে দেয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১১ মে ২০১৫

উত্তেজনা উস্কে দেয়া থেকে বিরত থাকুন

দূরপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে উস্কে দেয়া এমন তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ংয়ের নতুন আবিষ্কৃত ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর খবর রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রকািশত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র শনিবার এ মন্তব্য করে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা এ পরীক্ষামূলক নিক্ষেপণের ওপর কোন মন্তব্য করেননি, কিন্তু বলেছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন প্রস্তাবের পরিপন্থী। কর্মকর্তা এক ইমেইলে বলেন, এ অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি এবং দেশটির আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও বাধ্যবাধকতা পূরণে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের মনোযোগ আকর্ষণ করছি। তিন বছর কূটনৈতিক অচলাবস্থার পর ওবামা প্রশাসন বলেছে, উত্তর কোরিয়ার অভিপ্রায় জানার জন্য এবং পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ থেকে নিবৃত্ত করার সম্ভাবনা নিরূপণ করার জন্য দেশটির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা অনুষ্ঠানে আন্তরিক মার্কিন প্রশাসন। সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা স্পষ্টত এক শক্তি প্রদর্শন। উত্তর কোরিয়া পরপর দ্বিতীয় দিনেও সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছে, তারা দক্ষিণ কোরীয় নৌযানের জন্য কোন হুঁশিয়ারি ছাড়াই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাবে। দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করছে পিযংইয়ংয়ের এ তৎপরতা সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, ঐ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর কোরিয়া সাগরের পূর্বাঞ্চলে ৩টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সিউলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কোন সম্ভাব্য আলোচনায় সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরান, কিউবা ও মিয়ানমারের মতো দীর্ঘদিনের বৈরী দেশগুলোর সঙ্গে শীতল সম্পর্ক অবসানের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার অবস্থান সীমার অনেক বাইরে। দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালায় ২০০৬ সালে। পিয়ংইয়ং যাতে এ স্পর্শকাতর প্রযুক্তি অর্জন না করতে পারে সেজন্য দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, দেশটির এখন অন্তত ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তা ২০২০ সালের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ থেকে ১ শতে দাঁড়াবে।
×