ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীতলক্ষ্যার তীর দখল করে বালু ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১১ মে ২০১৫

শীতলক্ষ্যার তীর দখল করে বালু ব্যবসা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ১০ মে ॥ সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে বিপজ্জনকভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ বালু ও পাথরের ব্যবসা কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। বার বার ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসনের সকল উদ্যোগ। কার্যকর হচ্ছে না হাইকোর্টের নির্দেশনাও। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। নদীর পূর্ব পাড়ে শিমরাইল ও আট মৌজায় ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না পাথর ও বালুর ব্যবসা। সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ব্রিজের নিচেই বলছে বালুর ব্যবসা। রবিবার দুপুরে শিমরাইল ও কাঁচপুরে সরেজমিন গিয়ে নদীর তীরে নৌ-যান থেকে বালু নামাতে ও ট্রাকে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ও শিমরাইল মৌজায় প্রায় ২ কিঃ মিঃ এলাকাজুড়ে বালু ও পাথর ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন এ ব্যবসা বিস্তার লাভ করছে। এছাড়াও সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ব্রিজের নিচে অবাধে চলছে ভিটি ও আস্তর বালুর জমজমাট ব্যবসা। প্রতিদিনই চলে নৌযান থেকে বালু, পাথর লোড-আনলোডের কার্যক্রম। এতে কমে যাচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীর নাব্যতা। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন শত শত ট্রাকে পাথর ও বালু লোড-আন লোড হচ্ছে। নদীর তীরে সারি সারিভাবে বাঁধা রয়েছে পাথর ও বালু বোঝাই জাহাজ, কার্গো ও বাল্ডহেডসহ বিভিন্ন নৌযান। কাঁচপুরের অসাধু ব্যবসায়ীরা নদী তীরেই নামাচ্ছে বালু। অনেক নৌযান বালু আন-লোড করার জন্য নদীতে নোঙ্গর করে আছে। ডিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, শুধু শিমরাইল মৌজায় ১, ২ ও ৩নং জেটি দিয়ে ব্যবসা করার জন্য লিজ দেয়া হয়েছে। অন্য জায়গা দিয়ে অবৈধভাবে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কাঁচপুরে সম্পূর্ণ অবৈধভাবেই বালুর ব্যবসা করছে। আমরা এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা দিয়েছি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×