নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ১০ মে ॥ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক কারখানার অন্তঃসত্ত্বা নারী শ্রমিককে প্রসবের পূর্ব মুহূর্তেও ছুটি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রসব যন্ত্রণায় কাতর ওই নারী শ্রমিক এক পর্যায়ে কারখানার টয়লেটে গিয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু প্রসবের পর মাকে বাঁচানো গেলেও নবজাতককে বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনায় কারখানার শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকরা জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরের হরিণহাটি এলাকার এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কারখানায় লাস্টিং সেকশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো অন্তঃসত্ত্বা হামিদা আক্তার। শনিবার হঠাৎ তিনি
অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রসব বেদনায় অস্থির হয়ে হামিদা আক্তার ওই সেকশনের সুপারভাইজার মোঃ রতন মিয়ার কাছে মৌখিকভাবে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু সুপারভাইজার তাকে ছুটি না দিয়ে উল্টো মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে বলে। ইতোমধ্যে তার অবস্থার অবনতি হয়। দুপুরের দিকে প্রসব যন্ত্রণা সইতে না পেরে অসুস্থ হামিদা আক্তার কারখানার টয়লেটে যান। টয়লেটে গিয়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন এবং সন্তান প্রসব করেন। পরে কারখানার শ্রমিকরা প্রসূতি মা ও তার নবজাতককে উদ্ধার করে স্থানীয় সফিপুর মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হামিদা আক্তার জানান, সুপারভাইজারের কাছে ছুটি চাইলে সে ধমক দিয়ে, কাজ করতে বলে। হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় টয়লেটে গেলে সেখানে তার সন্তান প্রসব হয়।
কারখানার পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুর রহমান জানান, কারখানার অর্থায়নে ওই শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ছুটি না দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: