ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত খুবই আন্তরিক ॥ পঙ্কজ শরন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১১ মে ২০১৫

স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত খুবই আন্তরিক ॥ পঙ্কজ শরন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন বলেছেন, ছিটমহলবাসীদের মানবিক বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করেই ভারতের পার্লামেন্টে কোনপ্রকার বিরোধিতা ছাড়াই স্থলসীমান্ত চুক্তি বিলটি পাস হয়েছে। এখন দুই দেশের সরকারী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ভারত সরকার খুবই আন্তরিক। স্থলসীমান্ত চুক্তিসংক্রান্ত ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিলের খসড়ায় ত্রুটি ধরা পড়ায় তা সংশোধনে সোমবার পার্লামেন্টে এ বিলটি পুনরায় উত্থাপন করা হবে। আশা করি কোন বাধা থাকবে না। রবিবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভেতরে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায় এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সাহেবগঞ্জ ছিটমহল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় পঙ্কজ শরন এসব কথা বলেন। দাসিয়ার ছড়া ছিটমহলের কালিরহাট বাজারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্র, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন, ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, দাসিয়ার ছড়া ছিটমহল সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন। ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন বলেন, ছিটমহলবাসীর সহযোগিতার ওপর এই চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন নির্ভর করছে। শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলার সঙ্গে এই চুক্তির বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন। পঙ্কজ শরন আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উপস্থিত ছিটমহলবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের আনন্দের ভাগিদার হতে আমি এখানে এসেছি। আমার বিশ^াস দীর্ঘদিনের একটি মানবিক সমস্যা দ্রুততম সময়ে সমাধান হতে যাচ্ছে। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। একই দিন সকাল ১০টায় পঙ্কজ শরন ভারতীয় ছিটমহলে পৌঁছলে ছিটমহলের মানুষ ফুল ও সেøাগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। ছিটমহলবাসীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ভারত সরকারের কাছে পুনর্বাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি জানায়। পরে তিনি দুপুর দেড়টায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সাহেবগঞ্জ ছিটমহল পরির্দশন করেন ও ছিটমহলবাসীর বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। ছিটমহলবাসীদের মঙ্গলে ভারতের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
×