ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামাল-মুক্তি ধুন্ধুমার দ্বৈরথ আজ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১০ মে ২০১৫

শেখ জামাল-মুক্তি ধুন্ধুমার দ্বৈরথ আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেখ জামাল এবার মৌসুম-সূচক ফেডারেশন কাপ জিতেছে। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই জাতীয় দল এবং যুব দলের হয়ে খেলায় পুরো দল নিয়ে বেশিদিন অনুশীলন করতে পারেনি কোচ মারুফুল হকের অধীনে। ফলে প্রস্তুতি তেমনটি হয়নি। তারপরও কোচ মারুফুল দলকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো করেই গড়ে তুলেছেন। তারই প্রমাণ ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবল আসরে তাদের এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান বজায় রাখা। আজ তারা সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে এমন এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, যারা জামালকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। দলটি হচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। চলমান লীগে উভয় দলই খেলেছে ৮টি করে ম্যাচ। জামাল জিতেছে ৬ ম্যাচে, ড্র করেচে ২ ম্যাচে। ১৬ গোল করার বিপরীতে হজম করেছে চার গোল। পয়েন্ট ২০। পক্ষান্তরে মুক্তি জিতেছে ৫ ম্যাচে, ড্র করেছে ১ ম্যাচে এবং হেরেছে ২ ম্যাচে। করেছে ১৫ গোল, খেয়েছে ১৩ গোল। পয়েন্ট ১৬। জামাল এবার লীগে টানা ছয় ম্যাচে জেতে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে ড্র করে (ব্রাদার্স এবং মোহামেডানের সঙ্গে) কিছুটা হোঁচট খায়। মামুনুল-ইয়ামিনের চোট ভাবাচ্ছে কোচ মারুফুল হককে। গত কয়েক বছর ধরে ঈষর্ণীয় সাফল্য অর্জন করে চলেছে ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত শেখ জামাল ধানম-ি। মৌসুমের শুরুতেই জিতেছে ফেডারেশন কাপের শিরোপা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে চলমান লীগেও। যদিও জাতীয় দলের ১২ ফুটবলার খেলেন এই ক্লাবে, তারপরও ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট খুঁইয়েছে তারা। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপারÑ যেখানে বাকি দলগুলো হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে, সেখানে জামাল এখনও অপরাজিত! দলের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বাধিক ৫টি করে গোল করেছেন দুই বিদেশী ফরোয়ার্ড হাইতির ওয়েডসন এ্যানসেলমে এবং নাইজিরিয়ার এমেকা ডার্লিংটন। এবারের লীগে জামাল তাদের ছয় ম্যাচে হারিয়েছে ফরাশগঞ্জকে ৪-১, রহমতগঞ্জকে ২-১, ফেনী সকার ক্লাবকে ২-০, চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-০, টিম বিজেএমসিকে ২-১ এবং শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে। ড্র করে ব্রাদার্স (০-০) ও মোহামেডানের (১-১) সঙ্গে। মৌসুম-সূচক ফেডারেশন কাপে শেখ জামালের কাছে হেরে টানা দুইবার রানার্সআপ হওয়া ‘অল রেডস্’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চলমান লীগেও অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। শুরুটা ভালই করে তারা। কিন্তু ভাল খেলেও অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় ব্রাদার্স (২-৫) ও মোহামেডানের (২-৩) কাছে। আর হারিয়েছে ফেনী সকারকে ২-১, চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১, বিজেএমসিকে ৩-১, শেখ রাসেলকে ২-১ এবং ঢাকা আবাহনীকে ১-০ গোলে। ১-১ গোলে ড্র করে রহমতগঞ্জের সঙ্গে। দলটির রক্ষণভাগে যে দুর্বলতা আছে, তার প্রমাণ তাদের ১৫ গোল করার বিপরীতে ১৩ গোল হজম করা! দলটির প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে ফরোয়ার্ড-অধিনায়ক এনামুল হকের দীর্ঘসময় পর আবারও গোলের ধারায় ফেরা (ফেডারেশন কাপেই যার ঝলক দেখা গিয়েছিল)। করেছেন ৭ গোল, যা চলমান লীগে সর্বোচ্চ। বিদেশী স্ট্রাইকারদের দাপটের মাঝেও তার এই উদ্ভাসিত নৈপুণ্য দারুণ আলোচিত হচ্ছে। হেড টু হেডে অবশ্য এগিয়ে জামালই। গত লীগে তারা মুক্তিকে হারায় ১-০, ২-০ এবং ৪-৩ গোলে। এবারের লড়াইয়ের ফল কি নিজেদের অনুকূলে নিতে পারবে মুক্তিযোদ্ধা?
×