ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিছু বহুজাতিক কোম্পানি অর্থ পাচার করছে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১০ মে ২০১৫

কিছু বহুজাতিক কোম্পানি অর্থ পাচার করছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কিছু বহুজাতিক কোম্পানি ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’র মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করছে। তবে, পেশাদার হিসাব ব্যবস্থাপকদের দ্বারা তা রোধ করা সম্ভব। এজন্য দি ইন্স্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)কে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। শনিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি অডিটোরিয়ামে ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’র ওপর দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আইসিএমএবির সভাপতি আবু সাঈদ মোঃ শায়খুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। এসময় এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ন ইস্যূ। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে পণ্য আনে। তাদের ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, পেশাদার হিসাব ব্যবস্থাপকদের দ্বারা তা রোধ করা সম্ভব। নজিবুর রহমান বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কেউ কর ফাঁকি দিতে কার্পেটের নীচেও তথ্য লুকিয়ে রাখে, তা আমরা তা খুঁজে বের করবো। তবে, এ ধরণের কাজের জন্য পেশাগত নৈতিকতা জরুরী। প্রসঙ্গত, ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’ হলো বহুজাতিক কোম্পনীগুলোর মূল দেশ থেকে অন্য দেশে কম দাম দেখিয়ে পণ্য আনা। তা বিক্রির পর খরচের পরিমান বেশি দেখানো এবং লভ্যাংশের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ওই টাকা আবার বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া। অনুষ্ঠানে এনবিআরের ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’ কো-অর্ডিনেটর ও সিআইসি’র যুগ্ম পরিচালক মো: সাব্বির আহমেদ তার উপস্থাপনায় বলেন, ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’ হলো উভয় প্রতিষ্ঠিানের লেনদেন যা রাজস্ব আদায়কারী সংস্থার সঙ্গে জড়িত বিষয়। বিশ্বব্যাপি গ্রুপ অব কোম্পানীগুলোর সদস্যদের প্রায় ৬০ শতাংশ লেনদেন করে থাকে ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’র মাধ্যমে। যার কারণে ওই সংশ্লিষ্ট দেশের রাজস্ব বিভাগ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। কর ফাঁকি দেয়ার ও প্রবণতার কারণেই ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’র স্বচ্ছতার মাধ্যমে তা রোধ করা সম্ভব হবে বলে মত দেন তিনি।
×