ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রামে সাম্পান র‌্যালি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১০ মে ২০১৫

কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রামে সাম্পান র‌্যালি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি একাডেমির উদ্যোগে শনিবার বর্ণাঢ্য সাম্পান র‌্যালি শেষে বক্তারা বলেছেন, কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের নামে বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে। বর্জ্য, পাড় দখল এবং পলি জমে ধ্বংস হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদী। এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। কর্ণফুলী রক্ষায় কর্ণফুলী সাম্পান মাঝি ফেডারেশনভুক্ত ২৩ সংগঠনের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালা। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় সাম্পান র‌্যালি। র‌্যালির উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিম আলী। দুই শতাধিক সাম্পান নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে র‌্যালি নিয়ে তা বন্দর মোহনা পর্যন্ত ঘুরে সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও গবেষক প্রকৌশলী আলী আশরাফ। বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আবুল কাশেম, সরকারী মহসীন কলেজের অধ্যাপক ও গবেষক ইদ্রিস আলী, সাম্পান মাঝি কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি এসএম পেয়ার আলী, অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, একাডেমির সভাপতি অলিউর রহমান, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কমিশনার কাউন্সিলর মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে ধ্বংস করা হয়েছে কর্ণফুলী নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ। ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে গিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মাটি উত্তোলন করায় এ নদী ভরাট হয়ে অর্ধেকে পরিণত হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ বলেন, কালুরঘাট থেকে কর্ণফুলী নদী মোহনা পর্যন্ত ৩৪টি খাল দিয়ে বিষাক্ত মানব বর্জ্য সরাসরি এ নদীতে পড়ছে। এর মধ্যে রাজাখালি খাল, চাক্তাই খাল, গুপ্ত খাল, মহেষখাল দিয়ে সহস্রাধিক শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য নদীর পানিতে প্রতিনিয়ত মিশছে। জোয়ার ভাটার স্রোত কম হলে এ নদী অনেক আগেই বুড়িগঙ্গার মতো মৃত হতো। তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণফুলীকে শোষণ করে চলেছে। এ নদী রক্ষায় কোন কার্যকর পদক্ষেপ বন্দর কর্তৃপক্ষের নেই।
×