ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২১ সালের আগেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করব ॥ প্রধানমন্ত্রী

মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে গত ৪০ বছর বলা হয়েছে গোলামী চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১০ মে ২০১৫

মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিকে গত ৪০ বছর বলা হয়েছে গোলামী চুক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৯ মে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আর নয়, এবার মাথা উঁচু করে আমরা বিশ্ব দরবারে মর্যাদের সঙ্গে বাঁচতে চাই। স্বাধীন সত্তা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলব। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করে দিয়েছি। এর সুফল গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা আমরা দিচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। আরও উন্নত করতে চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ পারে, বাংলাদেশ পারবে। এ ব্যাপারে কৃষি ক্ষেত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি জামায়াত গত ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ৯২ দিন হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে। শতাধিক নিরীহ মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মেরেছে। জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ভবিষ্যতে তারা যাতে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ না করতে পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর সালনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মাহ্বুবর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সিন্ডিকেট সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এমপি, কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক। ভারতের সঙ্গে সীমানা চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭২ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির পর ৭৪ সালে ভারত সফরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তি করেন। এই চুক্তির পর বাংলাদেশ সংবিধান সংশোধন করে অনুমোদন করলেও ভারত সরকার অনুমোদন করেনি। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হয়। জাতির পিতা শাহাদাৎ বরণের পর পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে কোন কথা বলেনি। বঙ্গবন্ধু এ ব্যাপারে যতটুকু করে গেছেন পরবর্তীতে আমরা ক্ষমতায় এসে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেই। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করি। আলোচনা মোতাবেক আমাদের দেশের মানচিত্র অনুযায়ী সীমারেখা চিহ্নিত করতে শুরু করি। মাত্র সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাদে বাকিটুকুর কাজ আমরা করে ফেলে ছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে কোন উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে আবার উদ্যোগ নেই। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এদেশের একটি নির্দিষ্ট ম্যাপ ও সীমারেখা চিহ্নিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ২০১০ সালে ভারত সফরে গিয়ে আমরা যৌথ ঘোষণা দেই। সেই যৌথ ঘোষণায় আমরা আমাদের স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হই। ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশে সফরে আসেন তখন আমরা স্থল সীমানা প্রটোকল সই করি। এর ফলে সাড়ে ৬ কিলোমিটার সমস্যার সমাধান হয় এবং ভারত থেকে ফেনী এলাকায় বেশকিছু জায়গা পাই। যখন মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হলো সেই চুক্তিকে ৪০ বছর পর পর্যন্ত বলা হয়েছে গোলামির চুক্তি। ৪০ বছর পর আজকে উপলব্ধি করেছে এটা ছিল অপপ্রচার। ওই চুক্তির ফলে আজ বাংলাদেশ যে লাভবান সেটা কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে। কূটনীতির ক্ষেত্রে এটা আমাদের রাজনীতির বড় সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী এ চুক্তি পাস করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ সকল প্রদেশ, রাজনৈতিক দল, দলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু কৃষি আজ নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ হেক্টর কৃষি জমি অকৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য যোগান দেয়া সহজ কাজ নয়। শুধু খাদ্য কেন, অন্যান্য মৌলিক চাহিদা যেমন বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিকিৎসার উপকরণও কৃষিজমি থেকে আসে। ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিকিৎসার উপকরণের চাহিদা মেটাতে হলে আমাদের উন্নত প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন ৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি। ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করলাম। তখন আমরা দেখলাম গবেষণার খাতে কোন অর্থ বরাদ্দ ছিল না। অথচ গবেষণা ছাড়া কোন ক্ষেত্রেই কিন্তু কোন দেশ অগ্রগতি লাভ করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। তখন আমরা ১২ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিলাম। যাতে গবেষণার কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে তা আরও বৃদ্ধি করা হয়। আমাদের দেশে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আমাদের চিন্তা ছিল আরও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দরকার। সেই চিন্তা থেকে এই ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। যে আকাক্সক্ষা নিয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সত্যি কথা বলতে কি? মানুষের খাদ্য-পুষ্টি চাহিদা পূরণ থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন অর রশীদ, ডুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলাউদ্দিন, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ নূরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম ম-ল, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হকসহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছে সেখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হল, কৃষি অনুষদ ভবন, ফিশারিজ ভবন, ভেটেরিনারি মেডিসিন এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদ ভবন ও বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়াম উদ্বোধন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রফেসর ড. এলএম আইজগ্রুবার গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদ ভবন, প্রফেসর ড. ইয়োশিও ইয়াদামা লাইব্রেরি ভবন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, ইলা মিত্র হল ও কৃষিবিদ ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বহিরাঙ্গন কেন্দ্রের নাম ফলক উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাগসই কৃষিজ প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সেগুলো কৃষকের মাঝে হস্তান্তর, উপকরণ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে কৃষিকে একটি লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ একটি সোনার বাংলা গড়তে কৃষি শিক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য তিনি কৃষিবিদদের সরকারী চাকরিতে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সেই দূরদৃষ্টির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতির দেশকে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছিলাম। এজন্য জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আমাদের সেরেস পদকে ভূষিত করে। আমাদের আগে বিএনপি সরকার দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল। ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে আমরা কৃষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সার সরবরাহ করি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা গবেষণার মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন এবং সেগুলোর সম্প্রসারণ করে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রাখছেন। এ সবের মধ্যে মঙ্গাপীড়িত এলাকার কৃষকদের কাছে বঙ্গবন্ধু ধান নামে পরিচিত বিইউ ধান-১ বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য শালবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে কৃষিজ বনজ সম্পদের ওপর অধিকতর উন্নততর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। রাজধানীতে মেট্রো রেলের কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশে ৫ হাজার ৬৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জনগণ দুইশ এর বেশি সেবা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষিবান্ধব নীতির ফলেই বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, বরং বাংলাদেশ আজ খাদ্য রফতানিকারক দেশ। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা সারের দাম তিন দফা কমিয়েছি। কৃষকের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছি। সার, সেচ ও ডিজেলসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। ডিজেলের ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়েছে। আমরা প্রতি বছর ১৫ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ প্রদান করছি এবং কৃষি গবেষণায় জোর দিচ্ছি। তিনি কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে শাক-সবজি, ফলমূল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ জাত নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের উন্নততর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। সে লক্ষ্যে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছি। দারিদ্রের হার ২৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ১২০০ ডলার হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বিগত ৬ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি।
×