ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে যুবক হত্যা, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৯ মে ২০১৫

রাজধানীতে যুবক হত্যা, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর রামপুরায় এক যুবককে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শ্যামপুরে একটি বাসার তৃতীয় তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুর মমার্ন্তিক মৃত্যু হয়েছে। বনানীতে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। কাফরুলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে রামপুরার কুঞ্জবন এলাকার টিভি রোডের সাঁকোর পাড়ের হাবিবের দোকানের সামনে দুর্বৃত্তরা মিন্টু (২২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত মিন্টুর বাবার নাম ইসমাইল হোসেন। রামপুরা ওমর আলী লেনের ১৫/২০ নম্বর বাড়িতে সপরিবারে থাকত মিন্টু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিন্টু টিভি রোডের সাঁকো রোডের পানির ট্যাঙ্কির ওই দোকানে সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় সাগরসহ তার সহযোগীরা তাকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে ওই যুবকরা খুব কাছ থেকে মিন্টুকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ আহত মিন্টুকে উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিন্টুর বড় ভাই হাবিব জানান, মিন্টু কিছুদিন আগে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সম্পতি সে এই পেশা ছেড়ে অন্য কাজের সন্ধানে ছিল। নিহতের পরিবার জানান, মৃত্যুর আগে মিন্টু হত্যাকারী সাগর নামে একজনের নাম বলে গেছে। এই সাগরই তাকে প্রায়ই ডেকে নিয়ে জোর করে নানা ধরনের অপকর্ম কাজে লিপ্ত করত। সম্প্রতি মিন্টু তাদের সঙ্গ ছেড়ে অন্য কাজের সন্ধান করছিল। এতে সাগর ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টুকে পরিকল্পিত হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে রামপুরা থানা পুলিশ এসেছে। কেন মিন্টুকে হত্যা করে হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিঁড়ি থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ॥ এদিকে শুক্রবার দুপুরে শ্যামপুর থানাধীন পোস্তাগোলা এলাকার ১৩৬/এ নম্বর ভবনের তিনতলা সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে সাজিদুর রহমান সাজিদ (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম আব্দুর রহমান। জুরাইনের ইসহাকিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল সাজিদ। শ্যামপুর পোস্তাগোলার ওই বাড়িতে থাকত। নিহতের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে ছাদে উঠি। সাজিদ এ সময় আমাকে ডাকতে ছাদে যায়। নামতে গিয়ে হঠাৎ তিনতলার সিঁড়ি থেকে সাজিদ নিচে পড়ে যায়। পরে সাজিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টার তার মৃত্যু হয়। এদিকে রাজধানীর বনানীর করাইল বস্তি নৌকাঘাট এলাকার বাসিন্দা খালেদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার ভোরে নৌকাঘাট এলাকার মনিরের বাড়ির ভাড়াটিয়ার কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। নিহতের স্বামীর নাম ফুল মিয়া। গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায়। বনানী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারিবারিক কলোহের জের ধরে খালেদা বেগম আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত ॥ রাজধানীর কাফরুলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত দগ্ধ শ্রমিক নাজমুল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের মেডিক্যাল অফিসার মুন্নি মমতাজ জানান, নিহতের শরীরের ৮১ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। নিহত নাজমুলের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়। একই ঘটনায় অপর শ্রমিক মোহাম্মদ পলাশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীর ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাফরুল থানার পূর্ব কাজীপাড়া পান্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এসির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে টেকনিশিয়ান নাজমুল হোসেন ও তার সহকারী মোহাম্মদ পলাশ (২০) দগ্ধ হন। ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক মফিজুল ইসলাম। টেকনিশিয়ান আলী আকবর জানান, কাজ করার সময় বিকট শব্দে এসির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় তারা দগ্ধ হন। ওদিন রাতে তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
×