ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশের ৫৬ শিল্পপতিকে সিআইপি ঘোষণা, কার্ড প্রদান

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৮ মে ২০১৫

দেশের ৫৬ শিল্পপতিকে সিআইপি ঘোষণা, কার্ড প্রদান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শিল্প খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ৫৬ শিল্পপতিকে ২০১৪ সালের ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (সিআইপি-শিল্প) প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে সাত ক্যাটাগরিতে ৫৬ সিআইপিকে এ কার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এর মধ্যে পদাধিকার বলে ১২, বৃহত শিল্প ক্যাটাগরিতে ২১, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৯, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ছয়, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে দুই, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে এক ও সেবা শিল্প ক্যাটাগরিতে পাঁচ সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। শিল্প সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফরহাদ উদ্দিন, সিআইপি (শিল্প) কার্ডপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা ও এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এবং এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা বক্তব্য রাখেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, শুধু কৃষির ওপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এর জন্য শিল্প খাতে টেকসই বিকাশ প্রয়োজন। সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে শিল্প খাত এগিয়ে নেয়া সম্ভব। বেসরকারী খাতের নেতৃত্বে দেশে সূচিত শিল্পায়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। দেশে শক্তিশালী বেসরকারী খাত গড়ে তোলার পাশাপাশি শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সরকার জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫ প্রণয়ন করছে বলে তিনি জানান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। বিশ্ব মন্দায় উন্নত দেশগুলোতে লাখ লাখ শ্রমিক ছাঁটাই হলেও বাংলাদেশে কোন শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়নি। হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বেসরকারী খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তারা নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের বেসরকারী খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ‘সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা-২০১২’ অনুযায়ী সাত ক্যাটাগরিতে এসব ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা হয়। বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা অনুযায়ী, সিআইপিরা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র পাবেন। এ পরিচয়পত্র দিয়ে ঢুকতে পারবেন সচিবালয়ে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন তারা। সিআইপিরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারী যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। ভিসাপ্রাপ্তির সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। তারা স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালের কেবিন সুবিধায় অগ্রাধিকার পাবেন ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। পদাধিকার বলে ১২ ॥ এ বছর পদাধিকার বলে ১২ জন সিআইপি কার্ড পাচ্ছেন। এঁরা হলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিএফএ) সভাপতি তপন চৌধুরী, উইমেন এন্টারপ্রেনার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওয়েব) সভাপতি নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ ও বাংলাদেশ জুট মিলস এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামস-উজ জোহা। বৃহত শিল্প খাতে সিআইপি ২১ ॥ বৃহত শিল্প খাতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন জাবের এ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোনেম, বিআরবি কেবলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ রহমান, সুপার রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ, ফারিহা নিট টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, ইসলাম রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল ইসলাম, এম আর এস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইল এ্যান্ড হোসিয়ারি মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা সালমান ইস্পাহানি ও এনভয় টেক্সটাইলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক তানভীর আহমেদ, ফুজি-ইংক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেম, পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জলিল, ইউনিভার্সেল জেন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দিন, স্কয়ার কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের অঞ্জন চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান, রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ফার সিরামিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান খোদেজা ফরহাদ রুহী ও জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ বৃহত শিল্প খাতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাঝারি শিল্প খাতে নির্বাচিত ৯ ॥ মেসার্স সিটাডেল এপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিদুল ইসলাম খান, বিডি সি ফুড লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হায়দার চৌধুরী, অকো-টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড এম গোলাম নবী, বি আর বি পলিমার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান, জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শাহেদ আহমেদ, বিডি ফুডস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাফহীম আল-আজমী, এটলাস সি ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মিজানুর রহমান ও ইগলু ফুডস লিমিটেডের পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম। ক্ষুদ্র শিল্পে ৬ ॥ ক্ষুদ্র শিল্পে কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিজবার রহমান, বেইলী ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাসুদ জামান, ফুটবেড ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, করিম স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, আমানত শাহ উইভিং প্রসেসিং লিমিটেডের পরিচালক লুৎফা বেগম ও টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাইক্রো শিল্প খাতের ২ ॥ এ খাতে আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুল। কুটির শিল্পে ১ ॥ কুটির শিল্পের একমাত্র প্রতিনিধি জননী উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। সেবা শিল্প খাতে ৫ ॥ নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, শান্তা প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক জেসমিন সুলতানা, নাভানা লিমিটেডের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও শেলটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম সেরাজ।
×