ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৮ মে ২০১৫

উবাচ

ঢাবি শিক্ষকের কাণ্ড- স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেলিভিশন টক শোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের উগ্র আচরণের ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে জামায়াত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বেপরোয়া বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য চিহ্নিত এ শিক্ষককে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। সোমবার একুশে টেলিভিশনের টক শো একুশের রাতে দুই আলোচকের হাতাহাতি থামাতে ব্যর্থতার জন্য বেসরকারী টেলিভিশন স্টেশনটির ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের সমালোচনাও হচ্ছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামানের সঙ্গে আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ ও প্রথম আলোর সাংবাদিক টিপু সুলতান। সঞ্চালক ছিলেন একুশে টেলিভিশনের মঞ্জুরুল আলম পান্না। অনুষ্ঠানের ৫৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, আবদুর রশিদ স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তার দিকে আঙুল তুলে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রশ্ন করতে শুরু করেন মোঃ শাহীদুজ্জামান। একই ভঙ্গিতে বার বার তিনি ‘ইউ আর টকিং এবাউট মি?’ বলতে থাকেন। এ সময় আবদুর রশিদ তাকে কয়েকবার বলেন, ডোন্ট শো ইওর ফিঙ্গার। তাতে শাহীদুজ্জামান সাড়া না দিলে তিনি নিজের হাত দিয়ে শাহীদুজ্জামানের হাতটি নামিয়ে দেন। তখন শাহীদুজ্জামান আবদুর রশিদের হাতের ওপর পাল্টা থাপ্পড় মারেন। রাজিব তার ফেসকুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘এই শাহীদুজ্জামানের চেহারা এখন সবাই চেনে। দীর্ঘ সময় ধরে এই লোক জামায়াত-শিবিরসহ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।’ সুলতান মির্জা নামে একজন এ ভিডিওটি শেয়ার করে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, ক্ষমা করবেন আবদুর রশিদ স্যার, রশিদ স্যার আপনি জানেন পাগল রে পাগল বললে পাগল কিন্তু মাইন্ড খায়, আর মূর্খ রে মুর্খ বললেও একই অবস্থা হয়, মূর্খ মাইন্ড খায়। অধ্যাপক শাহীদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, (এ ধরনের ব্যক্তিকে) টিভি টক শোয়ে কী কারণে কোন যুক্তিতে ডেকে এনে সুযোগ দেয়া হয়। ঢাবির শিক্ষার্থী মনোয়ার হাসান লিখেছেন, আমি দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি, শাহীদুজ্জামান খুবই আত্মম্ভরি একজন মানুষ, তিনি প্রতিপক্ষের মতামতকে সব সময় তুচ্ছ করে উড়িয়ে দেন তাঁর নিজস্ব ঢঙে। ভাবখানা এমনÑ তিনিই একজন মহাজ্ঞানী। অন্যরা কিছুই নয়। এভাবে পরিবেশটাকে নষ্ট করার জন্য অধ্যাপক শাহীদুজ্জামান দায়ী। ঘটনা নিয়ে আবদুর রশীদ ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলছিলেন, অভিজিত রায় হত্যাকা-ে ভারতের আল কায়েদার দায়ভার স্বীকার করে নেয়া ছিল তাদের আলোচনার বিষয়। এ সময় আমি স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে বলছিলাম। উনি (শাহীদুজ্জামান) বলছিলেন যে, স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্স বলে কিছুই নেই। এ বিষয়ে তর্কের মধ্যে উনি তার টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে পারেননি, তাই কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। ‘টক শোতে আমাদের দেখে তরুণরা অনেক কিছু শেখে। তাই টক শোগুলোতে আমাদের এ ধরনের আচরণ করাটা ঠিক হয়নি।’ রসিক রাষ্ট্রপতি স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি। বঙ্গভবনে বসে ঘরোয়া পরিবেশে ভর্তার সঙ্গে আচারের তেল খাওয়া থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুর গিয়ে দেশের পয়সা বাঁচাতে বিলাসবহুল স্যুটের বদলে সাধারণ কক্ষে অবস্থান করে বার বার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সংসদ সদস্য থেকে স্পীকার, সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি। প্রায় সারাটা জীবন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই স্তরগুলোতে অবস্থান করেও একফোটা অহংবোধ নেই। মুহূর্তেই মানুষকে আপন করে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই মানুষটির। এখনও যেখানেই যান সেখানেই আরও একবার প্রমাণ করেন রাষ্ট্রপতি হয়েও তিনি নেমে আসতে পারেন সাধারণ মানুষের কাতারে। মাতিয়ে রাখতে পারেন সেই আসর। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সূচনাপর্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর অতিথিদের ভাসিয়ে দেন হাসির জোয়ারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে সেই বক্তব্যের সূচনাপর্বটি। উবাচের পাঠকদের জন্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্যর হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘আপনারা জানেন আমার বক্তব্য লেখাই থাকে। লেখার বাইরে আমার বলার কোন সুযোগ নেই। আমার শরীরটা খুবই খারাপ। সময় ছিল না। যার জন্য আমার অফিস থেকে আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা যে কি লিখেছেন তা একবারও আমি রিডিং দিয়েও দেখি নাই। আমি কি বলব আমি নিজেও জানি না। তবুও শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও আসতে হয়েছে। কারণ আপনারা জানেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক সমস্যা আছে। বাইরে গেলে বিশেষ করে আমার ডাইনে পিছনে দাঁড়ানো আছে এসএসএফ-স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স। আমার আসার একটু অনীহা ছিল। শরীরটা ভাল না, যাব না। কিন্তু সেই এসএসএফ-এর ডিজি-ডাইরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল আমান সাহেব। উনিও বললেন, না যেতে হবে স্যার। ভাবলাম যদি না যাই। এমনি যে টাইট সিকিউরিটির মধ্যে উনি রাখছেন, তা আবার কত টাইট করে দেয় তার ঠিক নেই। তারপরও আমাকে আসতে হয়েছে। এবং আসলে কথাটা যেটা বললাম সেটাও যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে এই জন্য যে কারণ এখানে দেখলাম যে জেনারেল আমান সাহেব সস্ত্রীক উপস্থিত আছেন। অসুস্থতা কি হইছে তাও বুঝি না। আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এখানে বক্তব্য দেয়ার পরে আমাকে সিএমএইচ-এ নিয়ে যাওয়া হবে। আমার সবচেয়ে বেশি সমস্যা উঠতে বসতে শুইতে আর কাশি দিলে বুকের মধ্যে এবং পিঠেও কিছু ব্যথা পাই। অনেকে মনে করেন, ব্যথা এটা হার্টেরও হতে পারে। তবে আমার একটা বিশ্বাস হার্টের কোন সমস্যা নেই। কারণ বিয়ে করেছি অনেক দিন আগে। এটা এক পঞ্চাশ বৎসর। বিয়ের পর থেকেই এই ভদ্রমহিলা বলে আমি নিষ্ঠুর, নির্দয় ইংরেজীতে বলার সময় বলে আমাকে হার্টলেসও বলা হয়ে থাকে। সুতাং আমার যদি হার্টই থেকে থাকে। যেখানে আমার হার্টই নেই হার্ট নিয়ে আমার কোন সমস্যা থাকার কথা না। আপনাদের ইতোমধ্যে শুনছি এ অনুষ্ঠানের পরপরই একটা কনসার্ট হবে। কনসার্টকে সামনে রেখে এই ধরনের কথাবার্তা ভাল লাগার কথা না। তবে আমরা তো পুরানো দিনের মানুষ। যার জন্য কনসার্ট ওই যে বলে মেলায় যাবেগো, যাবেগো, যাবেগো, ভাললাগে না। আমরা সেই পুরানদিনের গান আমাদের ভাল লাগে। সুতরাং আপনাদের কাছে বিশেষ করে এখন যারা ছাত্র-ছাত্রী তাদের সবাইর কাছে কনসার্ট খুব ভাল লাগে। যাই হোক আমার সাড়ে তিন পৃষ্ঠার যেটা পাঠ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। সেটা পড়ে ফেলি....।’ এরপরই অন্যকারও লেখা বক্তব্যর ভারি ভারি কথা পড়তে শুরু করেন তিনি। সাংবাদিকদের কল্যাণেই- স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির যে আসলেই কোন সাংগঠনিক অস্তিত্ব আছে তার নমুনা অন্তত গত কয়েক মাস ধরে দৃশ্যমান হচ্ছে না তাদের সাধারণ সমর্থক ভোটারদের কাছেও। তবে গণমাধ্যমে দলটির অস্তিত্ব পরিষ্কার হয় বেশ ভালভাবেই। কর্মসূচী দিলেও মাঠে মাসের পর মাস বিএনপির কারও চেহারা না দেখা যাওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন- দলটি আসলে চলছে কিভাবে? খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এসব প্রশ্ন তুলেই বললেন, ‘আজকের বিএনপিকে জীবিত রেখেছে সাংবাদিকরা। তারা বলে, বিএনপি মাঠে আছে। আসলে তাদের (বিএনপি) খুঁজে পাওয়া যায় না।’ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনাসভায় বিএনপি সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করেন খাদ্যমন্ত্রী। সংগঠনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। হেফাজতে ইসলামের বর্তমান অবস্থার উদাহরণ টেনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিনে (৫ মে ২০১৩) সৃষ্টি হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের। মাত্র দুই বছরের মাথায় তাদের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এরা মূলত বিএনপি-জামায়াতের কাঁধে সওয়ার হয়ে জন্ম নিয়েছিল। এরা পরগাছা। পরগাছারা বেশিদিন বাঁচে না। বিএনপির অবস্থাও একদিন এই পরগাছা হেফাজতের মতো হবে। এখনই যে অবস্থা তাও দেখা যায় পত্রিকাতেই। সাংবাদিকরা যদি তাদের খবর না রাখত তাহলে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়াই যেত না। বিএনপি বিলীন হয়ে যেত। সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বিএনপি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে সাধারণ মানুষ ও বিদেশীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিল। নির্বাচনের পর আবারও সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথে ফিরে যায়নি। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আপনার এবং আপনার ছেলের নামে যতগুলো মামলা আছে তাতে যদি দোষী সাব্যস্ত হন তবে ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। কেউ আপনাদের বাঁচাতে পারবে না। এর আগে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছিলেন, বিএনপিকে মিডিয়াই বাঁচিয়ে রেখেছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) বিএনপির সংবাদ দেবেন না, আমাদের সংবাদও দেবেন না। দেখেন, জনগণ কোন দিকে যায়। এদের (বিএনপি) আর পাওয়া যাবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মায়া বলেন, আপনার কর্মসূচীর দামও নাই, প্রভাবও নাই। জনগণকে নাটকের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করবেন না। অবরোধ দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে আর কষ্ট দেবেন না। জয়বাংলা বলতে যারা লজ্জা পায়- স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি জাতীয়তাবাদী দল নয়, আওয়ামী লীগই দেশের আসল জাতীয়তাবাদী দল। কথাটি যুুক্তি আর প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, বিএনপি জাতীয়তাবাদী দল নয়, আওয়ামী লীগই দেশের আসল জাতীয়তাবাদী দল। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জয় বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে যারা মন্ত্রী বানাতে পারে সেই দল কি জাতীয়তাবাদী দল হতে পারে? বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র বনাম উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে জয় এসব কথা বলেন। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, শোলাকিয়া ঈদগাঁহ মাঠের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত, একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু। এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকনও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলন করে যে দল, যুদ্ধাপরাধীদের-সন্ত্রাসীদের বিচার করছে যে দল, সেই দলই হচ্ছে আসল জাতীয়তাবাদী দল। বাংলাদেশের আসল জাতীয়তাবাদী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিএনপি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ দলটি দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। আমি যেখানে থাকি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আমাকে অপহরণ করে হত্যার জন্য এক বিএনপি নেতার ছেলে ষড়যন্ত্র করেছিল। সে কারণে বিএনপি নেতার সেই ছেলে এখন কারাগারে রয়েছে। অনেকে জয় বাংলা বলতে লজ্জা পান। ভাবেন এই বোধহয় মানুষ ভাবল সে আওয়ামী লীগের হয়ে গেল। এটা খুবই লজ্জার বিষয়। জয় বাংলা স্লোগান শুধু আওয়ামী লীগের না, এটা আমাদের বাংলাদেশের স্লোগান। যে ব্যক্তি জয় বাংলা বলতে লজ্জা পাবে, আমি বলব সে বাঙালী না, বাঙালী হতে পারে না। কিছু গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে জয় বলেন, খবরের কাগজ যদি হয়ে থাকে তাহলে তো সঠিক খবরটি দিতে হবে। সেটা সরকারের পক্ষে যাক আর বিপক্ষে যাক। এ বিষয়ে একটি সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনের উদাহরণ দিয়ে জয় বলেন, নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর চল্লিশটি নালিশ এসেছে নির্বাচন কমিশনে। খবরটি পড়ে আমি বললাম, এটা তো সুখবর। কারণ যদি হিসাব করি, চল্লিশটি নালিশ যদি চল্লিশটি ভোটকেন্দ্রে থেকে আসে। তাহলে মোট দেড় শতাংশ ভোট কেন্দ্র থেকে নালিশ এসেছে। তার মানে আমাদের ২৭০১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬৬০টি কেন্দ্রে সুন্দর ভোট পড়েছে। সেখানে কোন কারচুপি হয়নি।
×