ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পোস্তগোলা-গেণ্ডারিয়া-মতিঝিল বাস চাই

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৭ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

স্বাধীনতার আগে পুরনো ঢাকার পোস্তাগোলা হতে টাউন সার্ভিস বাস ছিল যা সদরঘাট হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত যাতায়াত করত। একসময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ চলাচলে এ রাস্তার ওপর দিয়ে মুড়ির টিন নামে খ্যাত বাস চলাচল করত। বর্তমানে এ রাস্তায় বাস তো দূরের কথা যানবাহন সঙ্কটে এলাকাবাসী আজ অসহায়। বর্তমানে রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া অতিরিক্ত যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন হতে এই এলাকার মানুষ পোস্তাগোলা হয়ে গে-ারিয়ার লোহারপুলের ওপর দিয়ে গুলিস্তান বা মতিঝিল বাস সার্ভিস নতুনভাবে প্রবর্তিত করার দাবি জানায়। এ ক্ষেত্রে সরকার বিআরটিসি বাস চালু করতে পারে। তাতেও এলাকাবাসী উপকৃত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ এলাকার অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে থাকে। যানবাহন সঙ্কটের জন্য বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমতাবস্থায় এলাকার মানুষের সমস্যার কথা বিবেচনা করে সরকার বা সেতু ও সড়ক মন্ত্রণালয় জরুরীভিত্তিত পুরনো ঢাকার পোস্তাগোলা-গে-ারিয়া-গুলিস্থান বা মতিঝিল পর্যন্ত বাস সার্ভিস পুনঃচালু বা নতুনভাবে প্রবর্তন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত চার্জ দেশে একের পর এক নিত্যনতুন বেসরকারী ব্যাংক গড়ে উঠছে, তবে সেবার মান না থাকার কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন নামে চার্জ আদায় করে থাকে। এতে ব্যাংকের গ্রাহকরা ক্ষুদ্ধ। এ কথা সত্য যে আধুনিক প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে বেসরকারী ব্যাংকগুলো গ্রাহকপর্যায়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করছে। আর দেশের জাতীয়করণকৃত ব্যাংকগুলো চুরি ও জালিয়াতি করে ব্যাংকের বারোটা বাজাচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের সব ক’টি বেসরকারী ব্যাংক অতিরিক্ত চার্জ কর্তনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। সেবার নামে চার্জ কর্তনের ক্ষেত্রে বেসরকারী ব্যাংকগুলো শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাই উপেক্ষা করছে তা নয়, উপরন্তু গ্রাহকদের আস্থাকেও অবমূল্যায়িত করছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে একাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি থেকে শুরু করে সার্ভিস চার্জ ভ্যাট বিভিন্ন নামে চার্জ কর্তন করে থাকে। এটা অবৈধ এবং প্রতারণার মাধ্যমে বেসরকারী ব্যাংকগুলো কোটি কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা তো বটেই, সাধারণ গ্রাহকরাও তাদের সেবার মানে মোটামুটি সুন্তুষ্ট। তবে সেবার নামে অতিরিক্ত চার্জ আদায় কিছুতেই গ্রহণযোগ্যও নয়। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। এম ইউ চৌধুরী পোস্তগোলা, ঢাকা ভাষাপ্রীতি! ভাষার জন্য এতবড় আন্দোলন, জীবনদান এবং ত্যাগের মহিমায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে আছি আমরা বাঙালী জাতি। বাঙালীর নানা বিশেষণের মধ্যে নেতিবাচক বিশেষণও রয়েছে। যেমন : অলস, কর্মবিমুখ, পরমুখাপেক্ষী ইত্যাদি। কিন্তু নানা জাতীয় এবং স্বাদেশিক আন্দোলন বিশেষ করে ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালী নেতিবাচক বিশেষণগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের ভাষাপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, ত্যাগ, নিষ্ঠা ও বীরত্বকে প্রমাণ করেছে। জয়তু, বাঙালী। আমার আলোচনার বিষয়, আমাদের ভাষাপ্রীতির স্বরূপ সন্ধান। এক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হচ্ছে, আমাদের নতুনপ্রজন্ম মাতৃভাষা বাংলার ইতিহাস, এতিহ্য ও মর্যাদা সম্পর্কে অনেকটাই অজ্ঞাত। অথবা তারা এ সম্পর্কে যা জানে তা যথেষ্ট নয়। অথচ তারাই বাংলা ভাষার ধারক ও বাহক। তাদের একনিষ্ঠ ভাষাপ্রীতিই পারে বাংলা ভাষাকে বিকশিত করতে। এক্ষেত্রে আরও যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আসীন তাঁরা হলেন- কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিক্ষক (বিশেষ করে ভাষাশিক্ষক), শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যক্রম নীতিনির্ধারক ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকাও অগ্রগণ্য। বাংলা সাহিত্য শুধু স্বদেশে নয় বরং বিশ্বসাহিত্য অঙ্গনেও স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। মোহাম্মদ শরীফ ঢাকা [email protected] মাদকাসক্ত ও পুনর্বাসন সাধারণত যেসব দ্রব্য পান বা ব্যবহার করলে নেশা তৈরি হয়, আবার অভ্যাসে পরিণত হয় তাকে মাদকাসক্ত বলে। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- ড্রাগ হলো এমন বস্তু যা জীবন্ত জীব গ্রহণ করলে, তার এক বা একাধিক কার্যকলাপের ঈষৎ পরির্বতন ঘটায়। মাদক দ্রব্যের ফলে একটি মানুষ তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়। তার প্রধান কারণ বিষণœতা, টেনশন রোগ, অধিক হতাশা, প্রেমের ব্যর্থতা, বেকারত্ব, আর্থিক দৈন্য, নীতি ও আদর্শহীনতা, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, বড়দের প্রতি ছোটদের শ্রদ্ধাহীনতা, বিভ্রান্ত কুসঙ্গ, অধিক কৌতূহল প্রবণতা, বৈবাহিক ও পারিবারিক কলহ, মাদকের সহজ প্রাপ্তি, ব্যবসায় অধিক লাভের বাসনায়, অত্যাধিক অর্থশালী হওয়া, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, জীবনের প্রতি আস্থাহীনতা, আইনি দুর্বলতা, অবৈধ অর্থ উপার্জনের আধিক্য, ধর্মীয় অনুভূতির অভাব, অপরাধপ্রবণ, মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত সামাজিক পরিবেশ, যৌবনের বিদ্রোহী মনোভাব, পারিবারিক অনুশাসন না থাকা, সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন করা ইত্যাদি। ধর্মীয় মানবিকতাবোধ জাগরণ, প্রচার মাধ্যমে আন্দোলন, দ্রারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মস্থান, ইচ্ছা শক্তি, মাদকমুক্ত এলাকা গড়ে তোলা, পারিবারিক শান্তি, মাদকের সহজলভ্যতা বন্ধ, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, মাদক সেবনকারীর শাস্তি বাস্তবায়ন, চোরাচালান বন্ধ, চোরাচালান রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর, দক্ষ ও প্রশিক্ষণ করে তুলতে হবে, সামাজিক-আন্দোলন, চিকিৎসদের পরামর্শ, মাদকাসক্তি প্রতিরোধে বা প্রতিকারে মাদকের কুফল সম্পর্কে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রসার ঘটানো, এবং জনসচেতনতা বাড়ানো ইত্যাদি। শামীম মিয়া সাঘাটা, গাইবান্ধা
×