ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রামী জয়

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৬ মে ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রামী জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুধু ভাল খেললেই হবে না। করতে হবে সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার। তাহলে কাক্সিক্ষত জয় ধরা দেবে তৃষ্ণার্ত হাতের মুঠোয়। ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’-এ মঙ্গলবার ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের বেলায় এমনটাই হলো। আক্রমণের পর আক্রমণ। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি ‘দ্য স্কাই ব্লু বিগ্রেড’রা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা হেরে গেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে ১-০ গোলে। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বিজয়ী দল। তাদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড কামারা সার্বা। দলের ১৫ গোলের মধ্যে এটা কামারার ব্যক্তিগত চতুর্থ গোল। তিন ম্যাচ জয়হীন থাকার পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরল ‘অল রেডস’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা। আর এক ম্যাচে জেতার পর আবারও হারের লজ্জা পেল আবাহনী। ৮ ম্যাচে মুক্তির এটা পঞ্চম জয়। এই জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা আবাহনী এবং মোহামেডানকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো আবু ইউসুফের শিষ্যরা। ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত শেখ জামাল ধানম-ি। ৭ ম্যাচে এটা আবাহনীর দ্বিতীয় হার। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে অবনমিত হলো জর্জ কোটানের শিষ্যরা। ম্যাচে ৫ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে বক্সে বল পেয়েও গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেন আবাহনীর নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার উবম হেনরি ফেলিক্স। ১২ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার মহিউদ্দিন ইবনুল সিরাজের ক্রসে দর্শনীয় হেডে আবাহনীর জালে পাঠান মুক্তির সেনেগালের ফরোয়ার্ড কামারা সার্বা (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে মুক্তি শিবির। ৩৪ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার কামারার শট জটলার মধ্যে থেকে ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। ফিরতি বলে মুক্তির আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ডিয়াকিট লেমিন হেড করলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধেও আবাহনীকে চাপে রাখে মুক্তিযোদ্ধা। ৬০ মিনিটে মুক্তির বক্সে বল পেয়ে জোরালো হেড নেন আবাহনীর ফরোয়ার্ড ওয়াহেদ আহমেদ। কিন্তু বল বারে লেগে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ায় গোলবঞ্চিত হয় আবাহনী। ৭৬ মিনিটে কামারা সার্বার ক্রসে বল পেয়ে আবাহনীর বক্সের বাইরে থেকে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন মুক্তি অধিনায়ক এনামুল। কিন্তু তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত রেফারি মিজানুর রহমান খেলা শেষের বাঁশি বাজালে ১-০ গোলের সংগ্রামী জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মুক্তিযোদ্ধা। ম্যাচ শেষে গোল না করার আহাজারি ছিল আবাহনীর কোচ কোটানের কণ্ঠে। তার মতে, ‘ঢাকা আবাহনী দারুণ একটা দল। তবে এই ম্যাচে গোল স্কোরারের খুব অভাব ছিল। সব জায়গায় ভাল খেললেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ছেলেরা। তবে ওয়াহেদ দারুণ খেলেছে।’ এই ম্যাচে ছিলেন না আবাহনীর হাঙ্গেরিয়ান ফরোয়ার্ড জাবালস সোরবা। পেটের মাংসপেশির ইনজুরিতে মাঠের বাইরে তিনি। আবাহনীর জন্য খারাপ খবর হচ্ছে, জাবালসের ইনজুরির মাত্রাটা নাকি ব্যাপক! কোটানের ভাষ্যমতে, দ্রুতই সে হাঙ্গেরি ফিরে যাবে চিকিৎসার জন্য। চলতি মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো আর নাও খেলতে পারেন জাবালস, এমনটিই আশঙ্কা করছেন আবাহনী কোচ। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়ে দারুণ প্রীত মুক্তিযোদ্ধার কোচ আবু ইউসুফ।
×