ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কালকিনিতে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ৬ মে ২০১৫

কালকিনিতে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর), ৫ মে ॥ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম এলাকার ৩নং শশিকর বাগমারা গ্রামে চলতি কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের অর্থে বরাদ্দকৃত মূল রাস্তা বাদ দিয়ে ইউপি সদস্য সুশিল তালুকদার লাল্টু রায় নামের এক প্রভাবশালী নেতার বাড়ির ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে একদিকে মেম্বার সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন, অন্যদিকে সেই বাড়ির লোকজনের কাছ থেকেও গোপনে অর্থ আদায় করে নিজে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে চলতি কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় নবগ্রাম এলাকার শশিকর বাগমারা গ্রামে রায় বাড়ি ও মল্লিক বাড়ির মাঝ দিয়ে বাড়ৈ বাড়ি থেকে ঘরামি বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে এলাকার ইউপি সদস্য সুশিল তালুকদার গোপনে আঁতাতপূর্বক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে লাল্টু রায় নামের এক প্রভাবশালী নেতার বাড়ির ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও ইউপি সদস্য সুশিল তালুকদার ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা লাল্টু রায়ের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। অপরদিকে প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী প্রতিদিন ২৬ জন লেবার উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও কাজ করছে ১২-১৭ জন। আর বাকি লেবারের টাকা সংশ্লিষ্ট ট্যাক অফিসারদের যোগসাজশে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সুশিল তালুকদার বলেন, ‘আমাদের যেখানে খুশি সেখান দিয়ে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের অর্থে রাস্তা কাটব, তাতে কার কি। আর এটি নিয়মে আছে।’ এ ব্যাপারে ইউএনও মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ বরিশালে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভাই বোন ও বৃদ্ধের মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু ও বাবা-মাসহ একই পরিবারের ৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার রাতে মৃত ভাই-বোনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের নলচর গ্রামে। স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহিন জোমাদ্দার ও তার পরিবারের সদস্যরা রবিবার দুপুরের খাবার খেয়ে একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শাহিনসহ তার পরিবারের সাত সদস্যের ডায়রিয়াসহ ঘনঘন বমি শুরু হলে প্রাথমিকভাবে তাদের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক খলিলুর রহমানের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে সকলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন ওইদিন বিকেলে অসুস্থ সকলকেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে শাহিনের এক বছরের শিশুকন্যা সোহাগী ও ১০ বছরের পুত্র সজল মারা যায়। গুরুতর অসুস্থ শাহিন জোমাদ্দার (৪৫) তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০), পুত্র জুয়েল (১৬), রাহাত (৮) ও পাভেলকে (৩) শেবাচিম এবং সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এটিএম মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে খাবারে বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও খাদ্যে বিষক্রিয়ায় জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পতিহার গ্রামে করিম গোমস্তা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছে। পরিবারের বরাত দিয়ে গৌরনদী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নিহার রঞ্জন বৈদ্য জানান, ওই গ্রামের করিম গোমস্তা সোমবার রাতে মিঠার পায়েস খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গৌরনদী হাসপাতালে আনার পূর্বেই সে মারা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ আরও একজনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×