ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৫ মে ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

রাজধানী কি কখনও ঘুমোয়? তার কি ঝিমুনি আসে? কিংবা মধুর অলসতায় ভোগে কখনও; অবকাশ-অবসর বলে তার অভিধানে কি কিছুই লেখা নেই! সরকারী অফিসের কর্মজীবীরা তো বটেই, ব্যাংকসহ বহু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেই সপ্তাহে দুদিন শুক্র-শনিবার থাকে ছুটি। এবার বুদ্ধ পূর্ণিমা রবিবারে পড়ায় এই গোত্রের মানুষের টানা তিন দিন ছুটি উপভোগের সুযোগ মিলে যায়, অনেকটা ঈদের ছুটির মতোই। তবে মানুষের অত্যধিক চাপে ঢাকা মহানগরী যে পরিমাণ ভারাক্রান্ত তাতে অর্ধেক ঢাকাবাসী ঘর থেকে না বেরুলেও তার ভিড়ভাট্টায় হাঁসফাঁস দশা কাটে না। লম্বা ছুটি পেয়ে গত সপ্তাহে ঢাকার বাইরে চলে যান বহু ঢাকাবাসী। অবস্থাপন্নরা সমুদ্র বা পাহাড় দর্শনে বেরিয়ে পড়েন। অনেকে আবার চলে যান কোন রিসোর্টে। অন্যদিকে আবার বহু লোকের ঢাকা ছাড়ার জো নেই। তারা টানা ঘুমোনোর সুযোগ পেয়ে যান অবশ্য। যাহোক, এদের বাইরে যাদের কপাল মন্দ তারা ঘর থেকে বেরিয়েছেন, বহুজন অফিস করেছেন। ফলে ঢাকার রাজপথ তেমন একটা ফাঁকা ছিল বলা যাবে না। নাহ তিন দিনের ছুটি ঢাকার গতানুগতিক তিন তালে বিশেষ ছন্দপতন ঘটায়নি, নতুন কোন ছন্দের ঢেউও তোলেনি। গত সপ্তাহে বৈশাখ তার রুদ্র রূপ দেখিয়েছে বার বার। তবে সপ্তাহান্তে উত্তপ্ত মধ্যাহ্নে স্বস্তির বর্ষণ নেমে এলে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ঢাকা সিক্ত ও শীতল হয়ে ওঠে। যদিও কোন কোন এলাকায় সন্ধ্যার পরও বৃষ্টি হয়েছে। এই হঠাৎ বৃষ্টিতে সবচেয়ে প্রস্তুতিহীন ছিল ঢাকার রিক্সাওয়ালারা। বৃষ্টির ছাঁট থেকে বাঁচানেঅলা পর্দা সঙ্গে না থাকায় রিক্সা আরোহীদের অল্পস্বল্প ভিজতে হয়েছে বৈকি। অনেকের কাছেই এটা আবার সৌভাগ্য ও আনন্দের তা বলাই বাহুল্য। বুদ্ধ পূর্ণিমা রবিবার পালিত হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। বৌদ্ধ মন্দিরে আলোকসজ্জা, পবিত্র গ্রন্থ ত্রিপিটক থেকে পাঠ, কঠিন চীবর দান, শীল গ্রহণসহ ছিল নানা আয়োজন। বুদ্ধের মর্মবাণী ‘অহিংস পরম ধর্ম। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মানুষের মনে কতটুকু জাগরুক রয়েছে জানি না। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন এই পরম হিতোপদেশ সংবেদনশীল মানুষের হৃদয়ে নতুনভাবে ধ্বনিত হয়। পাশাপাশি অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ, বিশেষ করে জ্যোৎস্নাবিলাসী মানুষ সন্ধ্যার পর আকাশে চাঁদের সন্ধান করে থাকেন। পূর্ণিমার উজ্জ্বল বড় গোল চাঁদ বহুতল ভবনের ছাদ থেকে দেখা, তার রূপালি জ্যোৎস্নায় অবগাহন অনেকেরই প্রিয়। ঢাকায় তেমন খোলা প্রান্তর কই! তাই ছাদই ভরসা। ছাদে গেলে ভাল মতো অনুভব করা যায় পবিত্র আলোর সঙ্গে সেখানে মিলেছে বৈশাখের মৃদুমন্দ মিষ্টি হাওয়া। শরীর-মন জুড়িয়ে যাওয়ার মতোই। তবে ঢাকায় সান্ধ্য আকাশে পূর্ণিমা বেশিক্ষণ দর্শন দেয়নি এবার। ঢাকা পড়ে গিয়েছিল মেঘের আড়ালে। এক পর্যায়ে নেমে আসে ঝিরঝির বৃষ্টি। মে দিবসের কাগজ মে দিবসে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয়/আর্টিক্যাল লেখা হলেও এদিন ‘মে দিবসের পত্রিকা’ বলে কিছু বেরোয় না। অবশ্য আশির দশকে আমরা যখন ‘নাটক শুধু বিনোদন নয়, শ্রেণী সংগ্রামের সুতীক্ষè হাতিয়ার’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নাটক করতাম, সে সময়ে চার পাতার ‘মে দিবসের কাগজ’ বেরুতো আমাদের আরণ্যক নাট্যদল থেকেই। তাতে মে দিবসের কবিতা লিখতাম আমরা ক’জন। সে কথা মনে পড়ে গেল ‘সর্বজনকথা’ নামে একটি সাময়িক পত্রিকা মে দিবসকে সামনে রেখেই প্রকাশিত হওয়ায়। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা পত্রিকাটিতে লক্ষণীয়। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে, গবেষণার ভিত্তিতে এই সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাগুলো বর্তমান সময়কে ধারণ করার চেষ্টা করেছে। বেশিরভাগ লেখা শ্রমিক বিষয়ে হলেও এতে সমাজসজ্ঞান বেশকিছু রচনা রয়েছে। পত্রিকাটির সংবাদ দিতে গিয়ে পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ঢাবির শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতুর বক্তব্য অন্তর ছুঁয়ে গেল। তাঁর কথা যেন শ্রমের প্রতি মর্যাদাশীল বহু মানুষের কথা। উদ্ধৃত করছি : ‘মে দিবস শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পুনর্বার অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার দিন। দুনিয়াজুড়ে সকল মজদুরের আমৃত্যু লড়াইয়ের কণ্ঠকে নতুন করে শুনবার দিন। ঘামে ভিজতে ভিজতে পরিবারের যেই শিশু মেয়েটি, যেই শিশু ছেলেটি হয়ে ওঠে প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক, যার ঘামে ফলে ফসল আর আমাদের গায়ে জোটে কাপড়, যার হাতুড়ির বাড়িতে, শাণিত করাতের ধারে, পেরেকের ঠোকায় গড়ে ওঠে বাড়ি-ঘর-মসনদ, যার নির্ঘুম রাতের বিনিময়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায় মালিক শ্রেণী, যার পরিবারহীন রাত্রিযাপনে টিকে থাকে অন্য কোন পরিবার, যার হাতের পরশে শহরের পথের আবর্জনা অদৃশ্য হয়Ñ সেইসব মানুষের লড়াই সংগ্রামের গল্প নগরজীবনে অদৃশ্য প্রেতাত্মার মতো ঘুরে বেড়ায়। শ্রমিকের ওপর নিপীড়নের কাহিনী, অন্যায্য মজুরি আর অনিরাপদ কর্মপরিবেশে সদাসম্প্রসারমান শ্রমবাজারের করুণ আখ্যানে বাতাস ভারি হতে থাকে। ঝড় আসে না। আন্দোলনের বীজ সহস্রবার মূলেই ধ্বংস হতে হতে দুটি লড়তে থাকা কচিপাতার মতো চেয়ে থাকে যেই শ্রমিকের হারাতে বসা স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন পুনর্বার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস, দেখে সংগঠিত শ্রমিকের পদযাত্রার ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো, দেখে কঠোর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অধিকার আদায়ের সাফল্য। কোটি কোটি কণ্ঠের একত্রিত ধ্বনিতে যেই দিন কেঁপে উঠবে দুনিয়া, ন্যায্য অধিকার আদায় করবে শ্রমিক, সেইদিনের অপেক্ষায় বার বার মে দিবস আসবে। ব্যর্থতায় ও সফলতায় চলতে থাকবে অন্তহীন লড়াই।’ ৪০ শিল্পী একসঙ্গে ৪০ শিল্পী! দারুণ সম্মিলনই বটে। শিল্পীদের জন্য তো বটেই, শিল্পরসিকদের জন্যও বিশেষ উপলক্ষ। শনিবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হলো ৪০ শিল্পকর্ম নিয়ে ৪০ শিল্পীর যৌথ প্রদর্শনী। কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ সুরসিক প্রাজ্ঞজন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এই ৪০ সংখ্যা নিয়েও রসিকতা করলেন। বললেন, ৪০ শুনলেই কেন যেন আলীবাবার কথা মনে পড়ে যায়। অনুষ্ঠানের আগে-পরে এসেছিলেন শিল্পী শাকুর শাহ, লেখক-শিল্পী বুলবন ওসমান, সৈয়দ ইকবাল, নাজিব তারেক, বিপাশা হায়াতসহ অনেকেই। নবনির্মিত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভবনে যে মোটামুটি সুপরিসর একটি চিত্র প্রদর্শনশালা রয়েছে, অর্থাৎ রাজধানীর শিল্পবাজারে যে আরও একটি গ্যালারির উদ্বোধন হয়েছে তা অনেক শিল্পবোদ্ধাই অবগত নন। এ প্রদর্শনীটি চলবে ১৬ মে ২০১৫ পর্যন্ত। নেপালবাসীর পাশে নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দান একটি মানবিক কর্তব্য। ঢাকার সচেতন সংবেদনশীল নাগরিকরা এ কাজে ব্রতী হচ্ছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের জনগণের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের উদ্যোগে শনিবার আয়োজন করা হয় দু’দিনব্যাপী চ্যারিটি শো ‘কনসার্ট ফর নেপাল’। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ লালনের এই মরমী গানের শিরোনামটিকে সামনে রেখে টিএসসির শান্তির পায়রা চত্বরে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সড়কদ্বীপের স্বোপার্জিত স্বাধীনতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত নেপালীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড নেপালিস স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন’ বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলানথ্রপিক সোসাইটিও। ব্যতিক্রমী প্রকাশনা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নৃগোষ্ঠীদের প্রায় চারশ’ বাদ্যের অনুসন্ধানী আলোকপাত, বাদ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং মিউজিয়াম স্থাপনের বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনামূলক একটি গ্রন্থ সংশ্লিষ্টজনদের জন্য বিশেষ প্রাপ্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের প্রভাষক সাইম রানা রচনা করেছেন এমনই গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘এ হিস্টোরিক্যাল পারসেপশন অব ট্যাডিশনাল মিউজিক্যাল ইসট্রুমেন্টস ফর ইয়াংগার জেনারেশন’। বইটির মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সোমবার শিল্পকলা একাডেমিতে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা), কনসার্ট নরওয়ে ছিল এর আয়োজনে। ড. সাইম রানা এ প্রসঙ্গে জানান, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ঐতিহ্যিক বাদ্য সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের চর্চার ক্ষেত্রকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে। টেস্ট কেস খেলাটি হয়েছিল খুলনায়, তবু তার আনন্দ ও গৌরবের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ঢাকায়। শুধু ঢাকায়ই বা বলি কেন গোটা বাংলদেশেই। পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ যেন টেস্ট কেস হয়ে বিরাজ করছিল দীর্ঘকাল। দর্শকদের প্রথম ভয় ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ম্যাচটিকে পাঁচ দিন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারবে তো? অনেকেই বলাবলি করে থাকে, ইশ টেস্টটা যদি তিন দিনের হতো। টেস্টের সবচেয়ে লজ্জাজনক হার হলো ইনিংস পরাজয়। দুশ্চিন্তা হতো বাংলাদেশের মুখে এমন কালিমা পড়বে নাতো! এইবার সব আশঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশ গর্ব করার মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। সাত-সাতটি আশ্চর্য আনন্দখচিত সুফল ফলেছে, এখানে তার কিছুটা উল্লেখ করা যায়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট যে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উঠছে, তারই একটা দারুণ ধাপ দেখা গেল এই খুলনায়। তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসরা শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন না, ক্রিকেট বই থেকে মুছে দিলেন নানা রেকর্ডও। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার মিলে খেলেছেন ৪৫৪ বল, ৫৫৬ মিনিট। ভাঙলেন কলিন কাউড্রে-জিওফ পুলারের দ্বিতীয় ইনিংসে করা ২৯০ রানের রেকর্ড। যে রেকর্ড টিকে ছিল ৫০ বছরের বেশি! বাংলাদেশী কোন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ স্কোর হলো এই ম্যাচে তামিমের করা ২০৬ রান। রয়েছে জুটি ও দলগত বিচারে একগাদা রেকর্ড। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন জুটির সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ এটি। আগের সেরা ছিল ১৯৯৯ সালে ২২৭ রানের। ওদের মাথা ঠিক না থাকারই তো কথা! ওডিআই, টি২০- দুটোতেই টাইগারদের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর টেস্টে রানের পাহাড় গড়েও বাংলাদেশকে হারাতে না পারার নিদারুণ কষ্ট! রমনায় তালের রস! ফেসবুকে ঢাকার কড়চার এবারের পর্বে রমনা পার্কের প্রসঙ্গ। জোহরা বেবী ইরা ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়েছেন। এতে যেন ঢাকায় বসে গ্রামের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি লিখেছেন: ‘সকালে পার্কে হাঁটার সময় লক্ষ্য করলাম লম্বা তাল গাছটাতে মাথা পর্যন্ত বাঁশগাছ বাধা। বাঁশগাছটা ডাল কেটে স্টেপ মতো করা হয়েছে। গাছের মাথায় দেখা গেল হাঁড়ি ঝুলছে। আমার কৌতূহল দেখে লোকজন জানাল তালের রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাজ্জব বনে গেলাম। একটু লজ্জাও পেলাম। তালের শাঁস খেয়েছি, পিঠা খেয়েছি। কিন্তু রস! কখনও খেয়াল করা হয়নি। পরে ভোরের নামানো হাঁড়ি থেকে এক গ্লাস খেলাম। বলাবাহুল্য খেতে বেশ ইতস্তত করেছিলাম। স্বাদটা খেজুর রসের মতো। খুব রিফ্রেশিং। হাঁ। পরে আরেক গ্লাস খেলাম।’ এবং মে ৫ আজ হেফাজতের সেই রক্তাক্ত তা-বের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির মদদে ধর্মের নামে অধর্মের আক্রমণ তথা দেশকে তালেবানী রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের জন্য চিহ্নিত হয়ে আছে দিনটি। দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, অপশক্তি কতটা উগ্র ও চরম হয়ে উঠতে পারে তার বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল এদিন। একই সঙ্গে বিষধর সাপকে ঝাঁপিবন্দী করে সুস্থতা ও প্রগতি অনির্বাণ রাখার কৌশল ও শক্তিও পরিস্ফূট হয়েছিল দিনটিতে। বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই হেফাজতীদের মতো অপশক্তিকে রুখে দিয়েছে। যদিও সমাজে এখনও লুকিয়ে আছে হেফাজতী মন। সেই মন মাঝেমধ্যেই সমাজের কোন বাঁকে এসে ফোঁস করে উঠে ফের গর্তে লুকোয়। পহেলা বৈশাখে কি তারাই নারীদের ওপর হামলে পড়েনি? ০৪ মে ২০১৫ [email protected]
×