ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করার দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৫ মে ২০১৫

পুঁজিবাজারে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। একই সঙ্গে গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার ও স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ৫ বছর মেয়াদী কর অবকাশ সুবিধা ক্রমহ্রাসমান না রেখে শতভাগ রাখার দাবি জানিয়েছে তারা। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় উভয় সংগঠন। অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ২০১৫-১৬ সাল থেকে ক্রমহ্রাসমান হারে ৫ বছর মেয়াদী কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এর আওতায় এ বছর থেকেই কর দিতে হবে স্টক এক্সচেঞ্জকে। এ বছর শতভাগ এ সুবিধা পেলেও পরের বছরগুলোতে কর অব্যাহতির হার পর্যায়ক্রমে কমবে। তিনি বলেন, এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী অর্থবছর আয়ের ৮০ শতাংশ ও পরের অর্থবছর ৬০ শতাংশ হারে কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কর অব্যাহতি মিলবে আয়ের ৪০ শতাংশ এবং তার পরের অর্থবছর কর অব্যাহতির হার হবে ২০ শতাংশ। তবে এ পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ ৫ বছরই শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেয়া দরকার। ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের মন্দাভাবের মধ্যে হঠাৎ করে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফায় ১০ শতাংশ কর দিতে হয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। অংশীদারি প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের মূলধনী মুনাফা এ করের আওতাভুক্ত। মন্দাভাবের মধ্যে পুঁজিবাজার রক্ষায় এ ট্যাক্স প্রত্যাহার দরকার। বিনিয়োগকারীদের জন্য করমুক্ত লভ্যাংশ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার দাবি করেন তিনি। ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে যে কোন শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড বা অন্য সিকিউরিটিজ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ০.০৫ শতাংশ হারে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন অর্থবছরে এটি কমিয়ে ০.১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা দরকার। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের আয়কর নীতি অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানির কর ২৭.৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। অন্যদিকে নিবন্ধিত নয় এমন কোম্পানির কর ২.৫ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। সব ধরনের কোম্পানির মধ্যে সমন্বয় করার জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির করও ২.৫ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা দরকার। এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা, ইন্স্যুরেন্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
×