ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন সিটি নির্বাচন

২৯ মের মধ্যে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ মে ২০১৫

২৯ মের মধ্যে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের আগামী ২৯ মের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব কমিশনে দাখিল করতে হবে। ইতোমধ্যে ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে প্রার্থীদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে এ হিসাব দাখিল করতে হবে। প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব শামসুল আলম। গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এতে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ১৭৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ৩০ এপ্রিল তিন সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত প্রার্থীদের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের ডাকযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের ব্যয়ের হিসাব বিবরণী পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে প্রার্থীদের এই ব্যয়ের হিসাব ইসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কমিশন জানিয়েছে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রত্যেক প্রার্থীকেই নির্বাচনের ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। কোন প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে বা নির্ধারিত ব্যয়ের অতিরিক্ত খরচ করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ব্যয় বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে সর্বনিম্ন ছয় মাসের ও সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদ-ের বিধান রয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৮, ৩৪ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নামে এখনও কোন গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। নির্বাচনের দিন গোলযোগ ও অনিয়মের কারণে এ সিটির তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। আগামী ১১ মে ওই তিন কেন্দ্রেও ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ভোট গ্রহণ শেষে বিজয়ী প্রার্থীদের নামে গেজেট প্রকাশ করা হবে। ফলে ওই তিন ওয়ার্ডে যারা প্রার্থী রয়েছেন তাদের তিন কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরেই গেজেট প্রকাশ করা হবে। এরপরেই বাকি প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। কমিশন জানিয়েছে আইন ও বিধি অনুযায়ী নির্বাচনে ভোটার অনুপাতে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া রয়েছে। এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত খরচ করতে পারবে না। নিয়ম অনুযায়ী মেয়র প্রার্থীরা ২০ লাখ ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ দেড় লাখ এবং ২০ লাখের বেশি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যক্তিগতভাবে খরচ করতে পারেন। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে ২০ লাখ ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং ২০ লাখের বেশি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খরচসহ সর্বোচ্চ ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সুবিধা পেয়েছেন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সুবিধা। অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনধিক ১৫ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সার্বোচ্চ চার লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারেন। কমিশন জানিয়েছেন সিটি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোন প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য তফসিলি ব্যাংকে স্বতন্ত্র এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। প্রার্থীর এজেন্টের নামে অথবা যেক্ষেত্রে প্রার্থী নিজেই তার এজেন্ট সেক্ষেত্রে তার নিজের নামেই স্বতন্ত্র ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। উক্ত হিসাব হতে ব্যক্তিগত খরচ ব্যতিত সকল নির্বাচনী ব্যয়ের অর্থ খরচ করার বিধান রয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্তিগত খরচ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্বাচনী ব্যয় সীমার অতিরিক্ত কোন অর্থ একজন প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিশোধ করতে পারবে না। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাবদ কোন অর্থ ব্যয় করতে পারবে না।
×