ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রামপুরা ঝিলের সেই টংমালিক মনিরুজ্জামান গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৫ মে ২০১৫

রামপুরা ঝিলের সেই টংমালিক মনিরুজ্জামান গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বার বার তাকে সতর্ক করা হয়েছিলÑ এমন টিনশেড দোতলা ঘর যে কোন সময় দুর্ঘটনায় পড়বে। আঁচ করতে পেরে কয়েক ভাড়াটে ভয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদেরও বাধা দেন মনিরুজ্জমান চৌধুরী। কারণ তিনি শুধু ওই অবৈধ টিনশেডের মালিকই ননÑ ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতাধর নেতাও বটে। ফলে যা হবার তাই ঘটে গেছে। হঠাৎ ওই টিনশেড দেবে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালো ১২। তারপর দ্রুত কেটে পড়েন যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরী। ১৫ এপ্রিল রাজধানীর রামপুরা বৌবাজার কলোনীর দুর্ঘটনাকবলিত সেই টিনশেড বাড়ির মালিক মনিরুজ্জামান ধরা পড়েছেন সোমবার। ঢাকার বাইরে কুমিল্লার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব-৩-এর একটি দল। তারপর র‌্যাব সাংবাদিকদের জানান মনিরুজ্জামান চৌধুরীর অতীত অপরাধ জীবনের অজানা কাহিনী। লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, কুমিল্লার নিশ্চিন্তপুরের টিপরাবাজারে অভিযান চালিয়ে মনিরুজ্জামানকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। রামপুরায় ঝিল দখল করে দোতলা টিনশেড বানানো এই যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আগেও তিনটি হত্যা ও দুটি অস্ত্রসহ একাধিক চাঁদাবাজি ও মারামারির মামলা রয়েছে। এজন্য একাধিকবার জেলও খেটেছেন। মনিরুজ্জামান নিজেকে ডিশ ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও ২২ বছর ধরে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। তার জুলুম-অত্যাচারের অভিযোগ সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচেছ। গত ১৫ এপ্রিল বিকেল তিনটার দিকে ঝিলপাড়ে দোতলা একটি টিনশেড ঘর দেবে পানিতে ডুবে যায়। এতে ১২ জন মারা যান। অনেকে গুরুতর আহত হন। মনিরুজ্জামান জমি দখল করে ডোবার ওপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ২০-২৫ কক্ষের ওই ঘরটি নির্মাণ করেন এবং অবৈধভাবে আয়ের জন্য বিভিন্ন নিম্নবিত্ত পরিবারের কাছে ভাড়া দেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, এ ঘটনায় রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর-১৯) দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই মনিরুজ্জামান পলাতক ছিলেন।
×