ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে স্বাস্থ্যসেবার নামে চলছে মুক্ত বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৪ মে ২০১৫

দিনাজপুরে স্বাস্থ্যসেবার  নামে চলছে মুক্ত  বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্যনীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপটের সঙ্গে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর শহরে অবস্থিত ৩৭টি ক্লিনিক করে থাকে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ক্লিনিকে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স তিনজন এবং ১০টি বেড থাকার কথা। কিন্তু কয়েকটি ক্লিনিকে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তার ও দুজন করে ডিপ্লোমা নার্স রয়েছে। বাকি ক্লিনিকে কোন এমবিবিএস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স নেই। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এসব ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে এবং বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্লিনিক মালিকরা। ১০টি করে বেড অনুমোদন থাকলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে ২০ থেকে ২৫টি বেড তারা রেখেছে। একটি সূত্র জানায়, দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিসের এক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে অনুমোদনবিহীন বেডগুলো বসানো হয়েছে, যা থেকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা ওই কর্মকর্তাকে দিয়ে থাকে ক্লিনিক মালিকরা। দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল থাকলেও গ্রামাঞ্চল থেকে রোগী আনার জন্য ক্লিনিক মালিকরা গ্রাম্য ডাক্তারদের সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ পারসেন্ট হারে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন। জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ায় দিনাজপুরে রোগীর চাপ এমনিতেই সব সময় বেশি। এ সুযোগে দিনাজপুরের ক্লিনিক মালিকরা বাড়তি মুনাফা করছে। বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের গ্রাম্য ডাক্তাররা সহজ-সরল মানুষদের চিকিৎসার জন্য পাঠালে ক্লিনিক মালিকরা ভিআইপি বেড হিসেবে বিল তৈরি করে থাকে। এ নিয়ে প্রায়ই রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে ক্লিনিক মালিক ম্যানেজারদের বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। স্বাস্থ্য কমিটির কোন কার্যক্রম না থাকায় ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্যনীতির তোয়াক্কা না করেই চালাচ্ছে তাদের অপচিকিৎসার ব্যবসা। এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জানান, ক্লিনিকগুলো পরিদর্শনের ক্ষমতা তার নেই।
×