ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুলের চালা ॥ মাঠে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৪ মে ২০১৫

ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুলের চালা ॥ মাঠে  পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ঝড়ে স্কুল ঘরে উড়ে যাওয়ায় পাঠদান চলছে এখন খোলা আকাশের নিচে। টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চাঠাতিপাড়া শেখ কাবেল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি স্কুলঘর ঝড়ে উড়ে যায়। এতে বাধ্য হয়ে ভাঙ্গা বিদ্যালয় ভবনের সামনের মাঠে চলছে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান। বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে গেলে অনেক গাছ পালা ও কাঁচা ঘরের পাশাপাশি উক্ত বিদ্যালয়ের চাল ধসে যায় এবং বেড়ার টিন উড়ে যায়। ফলে বিদ্যালয়টিতে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের মঝখানের চাটি ক্লাস রুমের চাল ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। পিছনের বেড়ার টিন ঝড় উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মাঠের মধ্যে বেঞ্চের উপর বসিয়ে এক শিক্ষক ও শিক্ষিকা পাঠদান করছে। ঠিক ওই মুহূর্তে আকাশে ঘনিয়ে আসছে মেঘ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পাঠ কার্যক্রমের পাশাপাশি আকাশের দিকে তাকাচ্ছে। জানা গেছে ১৯৯৫ সালে টিন ও কাঠ দিয়ে বিদ্যালয়ের এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দির্ঘদিন যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় ওই ভবনেই চলছিল প্রায় ৩শ’ ছাত্রছাত্রীর পাঠদান। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে কয়েক বছর ধরে এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে আসছিল বিদ্যালয়টি। জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল জানান, এই স্কুলঘরটি দ্রুত মেরামতপূর্বক শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, জেলার করিমগঞ্জে কালবৈশাখী থাবায় উড়ে গেছে মাটিকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা। এতে শ্রেণীকক্ষ বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা। স্কুলের চালা উড়ে যাওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখন খোলা আকাশের নিচে ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা, কলার বাগান, ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক জানান, সম্প্রতি আকস্মিক ঝড়ে বিদ্যালয়ের অফিস ও শ্রেণীকক্ষ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। প্রায় দুই শ’ শিক্ষার্থীর এ বিদ্যালয়ে নেই টয়লেট ও সুপিয় পানীয় ব্যবস্থার। রয়েছে আসবাবপত্রেরও সঙ্কট। গাইবান্ধা ও পটুয়াখালীতে ভূমিকম্পে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, ঝড় ও ভূমিকম্পে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচশহর ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাঠে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস নিচ্ছে। জানা গেছে, ভূমিকম্পে উপজেলার কোচশহর ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান কাজে ব্যবহৃত ৫টি ভবনের ১৪টি শ্রেণীকক্ষের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। এতে বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৫ শ’ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ক্লাস করতে আতঙ্ক বোধ করে। ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছে। নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী থেকে জানান, শ্রেণী কক্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ কেঁপে ওঠে একতলা ভবনের স্কুলটি। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি করে স্কুল ভবন থেকে বেরোনোর সময় আহতও হয় কয়েক শিক্ষার্থী। শিক্ষকরাও স্কুল ছেড়ে বাইরে আসেন। গত ভূমিকম্পের সময় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কপালভেড়া কমিউনিটি বিদ্যালয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে স্কুল ভবনের সামনে খালি মাঠে।
×