ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যাত্রাবাড়ীতে দুই বান্ধবী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ৩ মে ২০১৫

যাত্রাবাড়ীতে দুই বান্ধবী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মামাতো ভাই জুস দিয়েছে-তা খাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই বলে জুস খাইয়ে অচেতন করে,পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে, লুটে নেবে সম্ভ্রম- এমনটিও সন্দেহ করতে হবে? এমনই অবিশ্বাস্য প্রশ্ন দুই বান্ধবীর। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন দ্ইু বান্ধবী এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না- আপনজনই তাদের এত বড় সর্বনাশ করেছে। কিন্তু প্রমাণাদি হাতে নিয়েই শেষ পর্যন্ত থানার আশ্রয় নিতে হয়েছে তাদের। পুলিশ এখনও ধর্ষকদের কাউকেই আটক করতে পারেনি। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বিল্লাল হোসেন (২৫) নামে যুবকের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। তবে ধর্ষণের মূল নায়ককে আসামি করা হয়নি। ভিকটিম দুই বান্ধবীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগের রাতে যাত্রাবাড়ীর দণি কাজলা সনটেক এলাকায় জনৈক মান্নানের বাড়ি এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই দুই বান্ধবী যাত্রাবাড়ী সুইচ কারখানায় চাকরি করেন। তাদের একজন মান্নানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। অপরজন কাজলার জনৈক আলির বাড়ির ভাড়াটিয়া। ওই রাতে তারা দুই বান্ধবী মান্নানের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে ভিকটিমের মামাতো ভাই বিল্লাল হোসেন হাজির ছিলেন। তিনি প্রথমে তাদের জুস খেতে দেন। ওরা দুই বান্ধবী সরল বিশ্বাসে তা খাওয়ার পরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপর অপর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দুই বান্ধবীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। জ্ঞান ফেরার পর তারা বুঝতে পারেন তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তারা বিল্লালকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে ঘটনার কথা খুলে বলেন প্রতিবেশী এক মহিলার কাছে। পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পুলিশ তাদের প্রাথমিক জবানবন্দী গ্রহণের পর তাদের পাঠায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অচেতন করে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তাদের। এ সম্পর্কে পুিলশ জানায়, আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশ হানা দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। আসামিরা পলাতক। যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানান, মামলার পর দুই বান্ধবীকে মেডিক্যাল পরীা করার জন্য রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
×