ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘লিওনেল মেসিই সেরা’

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৩ মে ২০১৫

‘লিওনেল মেসিই সেরা’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুযোগ পেলে অনেকেই লিওনেল মেসিকে ধুয়ে দেন। বার্সিলোনার হয়ে অনন্য সব অর্জন থাকলেও জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে আহামরি কিছু করতে না পারার কারণেই ক্ষুদে জাদুকরকে সমালোচনা সইতে হয়! এরপরও অবশ্য মেসির অর্জনের কমতি নেই। একের পর এক কীর্তিগাথা তিনি রচনা করেছেন ক্যাটালানদের হয়ে। তাইতো স্পেনের সাবেক ফুটবলার রাউল গঞ্জালেস তার সেরা হিসেবে মেসিকেই বেছে নিয়েছেন। ময়দানী লড়াইয়ে মেসির জাদুকরী নৈপুণ্যে রীতিমতো মুগ্ধ রাউল। বর্তমানে বার্সিলোনার সেরা খেলোয়াড় মেসির প্রসঙ্গে স্পেনের সাবেক এই তারকার অভিমত, অন্যদের জন্য অসম্ভব কাজগুলোও খুব সহজেই করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। রিয়ালের ‘গ্যালাক্টিকো’ যুগে তখনকার তারকা ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান, ব্রাজিলের রোনাল্ডো, পর্তুগালের লুইস ফিগো এবং বর্তমানের অন্যতম সেরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গেও খেলেছেন রাউল। কিন্তু এতসব তারকার ভিড়ে টানা চারবারের বর্ষসেরা মেসিকেই সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন বর্তমানে নিউইয়র্ক কসমসে খেলা এই ফুটবলার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডকে রাউল বলেন, জিদান, রোনাল্ডো, ফিগো, ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু মেসি ব্যতিক্রম, সব কিছুকে সে খুব সহজভাবে যেন বিনা পরিশ্রমেই করে ফেলে। এমনকি অসম্ভব কাজগুলোও। তাকে খেলতে দেখলে আপনার মনে হবে, যেন রাস্তায় সতীর্থদের সঙ্গে তার খেলা দেখছেন। আমার দৃষ্টিতে মেসিই সবার সেরা। উল্লেখ্য, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে রাউলের করা ৭১ গোলের রেকর্ড চলমান মৌসুমেই ভেঙেছেন মেসি। শুধু এটিই নয়, ক্যারিয়ারজুড়েই রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলা খেলছেন। ক্লাব দল বার্সিলোনার হয়ে গৌরবময় সব রেকর্ডই প্রায় ঝুলিতে ভরেছেন। জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়েও কম যাননি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে না পারলেও রানার্সআপ হয়েছেন। সেই সঙ্গে বগলদাবা করেছেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’। বার্সিলোনার এই ডায়মন্ড কিছুদিন আগে আরও একটি গৌরবে ভেসেছেন। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলার হয়েছেন ২৭ বছর বয়সী মেসি। মাঠের লড়াইয়ে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টারকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। সি আর সেভেনের অবস্থান দুইয়ে। আর তিন নম্বরে অবস্থান করছেন আরেক বার্সিলোনা তারকা নেইমার। ২০১৪ সালে ক্লাবের হয়ে বেতন-ভাতা আর পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ মিলিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন মেসি। গত বছর মেসির আয় ৭১ মিলিয়ন ডলার (৬৫ মিলিয়ন ইউরো)। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পরেই আছেন পর্তুগাল অধিনায়ক রোনাল্ডো। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন লীগের দশম শিরোপা এনে দেয়া সি আর সেভেনের আয় ৫৯ মিলিয়ন ডলার (৫৪ মিলিয়ন ইউরো)। ২০১৪ সালে বার্সিলোনার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কারণেই পারিশ্রমিকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। গত বছর চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে গুঞ্জন রটে, ন্যুক্যাম্প ছাড়তে পারেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু ক্যাটালানরা কোথাও যেতে দেয়নি তাদের সেরা তারকাকে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সঙ্গে ক্যাটালান ক্লাবটি চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। নতুন চুক্তির কারণেই মেসি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় হয়েছেন। চুক্তি নবায়ন করার সময়ই বিষয়টি বলেছিলেন বার্সার প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্টামেউ। সে সময় বার্সা প্রেসিডেন্ট বলেন, সে (মেসি) আমাদের তারকা। আমাদের সঙ্গে তার ২০১৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। ভবিষ্যতেও আমরা তাকে বার্সার অংশ করে রাখতে চাই।
×