ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

তরুণরা দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে ॥ জয়

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৩ মে ২০১৫

তরুণরা দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে ॥ জয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত তরুণদের হাতে। তরুণরা তাদের মেধা ও সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে তরুণরাই। আমাদের তরুণদের মেধা, নতুন নতুন চিন্তাধারা, সৃজনশীল মনোভাব দেশকে সামনের দিকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে। তাই আমাদের ফোকাস ভবিষ্যতের দিকে, তরুণদের দিকে। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সেন্টার ফর রিসার্স এ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-ইয়ুথ বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তরুণদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা তো (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিই, তবে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা একসঙ্গে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমাদের পরিকল্পনা শুধু ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা নয়। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত করা। এটা তো আমাদের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্ব একা করতে পারবে না, এটা পারবে আমাদের তরুণরা। সিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির শামসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এ্যাডভোকেট তারানা হালিম এমপি, ইয়ং বাংলার আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সমাজ কল্যাণ সচিব নাছিমা বেগম, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে লেজার শো, ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সিআরআই তার বিভিন্ন কার্যক্রমসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ডাঃ দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, এসএম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমাজসেবা, উদ্ভাবন ও গবেষণা, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, শিল্পকলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন এখন ৩০ তরুণের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের প্রত্যেককে ল্যাপটপ, ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে কয়েক তরুণ তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন। সারাদেশে এক হাজার ৪৬৯ তরুণ-তরুণীর মধ্য থেকে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে ৬০ জনকে বাছাই করে সিআরআই। ৬০ জনের মধ্যে বাকি ৩০ জনের প্রত্যেককে হ্যান্ডসেট দেয়া হয়। সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, একটা সময় আমাদের তরুণরা ‘জয় বাংলা’ বলতে লজ্জা পেত। কারণ তাদের মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। ‘জয় বাংলা’ শুধু আওয়ামী লীগের সেøাগান নয়, এটা আমাদের স্বাধীনতার সেøাগান, বাংলাদেশ ও বাঙালীর বিজয়ের সেøাগান। দেশের মানুষ যে কোন কাজে বিজয়ী হবে সেই সেøাগান হলো ‘জয় বাংলা’। সঠিক ইতিহাস জানার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তরুণদের কেউ আর ‘জয় বাংলা’ বলতে লজ্জা পাবে না এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। জয় বলেন, এক একজন তরুণের বিজয়ই বাংলাদেশের বিজয়। তরুণদের মধ্যে দেশের জন্য কাজ করার অনেক ইচ্ছা আছে, উদ্যোগ আছে। সিআরআই ও ইয়ুথ বাংলা তরুণদের সেই উদ্যোগে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি একসঙ্গে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যখন দেখি আমাদের তরুণরা শুধু নিজেদের চাকরি, ব্যবসার কথা চিন্তা করে না তখন আমার কাছে খুব ভাল লাগে। তারা দেশের জন্য চিন্তা করে, দেশের মানুষের জন্য চিন্তা করে। তারা দরিদ্রদের কথা, প্রতিবন্ধীদের কথা চিন্তা করে। সমাজের পিছিয়েপড়া মানুষকে নিয়ে ভাবে। আমার বিশ্বাস, তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সিআরআইয়ের উদ্যোগের পেছনের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র আরও বলেন, সিআরআই থেকে প্রথমে আমরা তরুণদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলাম। সেখানে দেখলাম, এখনকার তরুণদের মধ্যে দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি অসাধারণ আকর্ষণ আছে। অনেককেই দেখলাম, নিজেদের মতো করে গ্রাম এলাকায় বা নিজ অঞ্চলে, নিজেদের উদ্যোগে, নিজেদের পরিশ্রমে, নিজেদের অর্থে কাজ করে যাচ্ছে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু পুরস্কার ও স্বীকৃতি নয়, আমরা আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি এই তরুণদের জন্য। তাদের আরও সুযোগ ও সহযোগিতা করার জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনেক ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করেছি। বিদ্যুত বিভাগ, প্রযুক্তি খাতে ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পরে তাদের চাকরিরও ব্যবস্থা করা হবে।
×