ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শারম্যান সিটি ভোটের অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত চাইলেন

বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারি সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩ মে ২০১৫

বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারি সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলবে। আর এ সম্পর্ক গভীর হলে পুরো বিশ্বের জনগণই লাভবান হবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অংশীদারি সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা ওয়েন্ডি শারম্যান এসব বলেছেন। এ ছাড়া সদ্যসমাপ্ত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিন সিটি নির্বাচনের বিষয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছে বিএনপি। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ অংশীদারি সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও যুুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা ওয়েন্ডি শারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের পুষ্টি ও শিক্ষায় প্রতিশ্রুতি, নারী এবং মেয়ে শিশুদের জন্য সুযোগ সম্প্রারণে অনুরাগ, ধর্মীয় ও নৃগোষ্ঠীগত বৈচিত্র্য ও সহনশীলতা এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিখুঁত করার অন্তহীন প্রক্রিয়ার প্রতি যৌথ দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন শারম্যান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। তবে কিসে আমাদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছে তা মনে রাখতে হবে। তবে দু’দেশের মধ্যকার ভিন্নতা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। শারম্যান বলেন, উন্নয়ন, বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সংহতিতে সাধারণ লক্ষ্যসমূহ এগিয়ে নিতে দুটি উদার, বহুত্ববাদী দেশের একসঙ্গে কাজ করার উপায় খুঁজতে আলোচনার জন্য আমি এখানে এসেছি। আমরা ওই সব লক্ষ্যে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি। বিশেষ করে উন্নয়নে, যেখানে বাংলাদেশের জোর পদচারণা রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার যে লক্ষ্য বাংলাদেশ নির্ধারণ করেছে তাকে আমরা সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি। এটাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা আমাদের সম্পদও বিনিয়োগ করছি। শারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে খুবই উন্নত নির্বাচনের জন্য সিটি নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত প্রয়োজন। তবে আন্ডার সেক্রেটারি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ‘বৃহৎ ও গভীর’ সম্পর্ক শুধু দু’দেশের জনগণ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়কেও লাভবান করবে। তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখার মতো অনেক বিষয় আছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে যোগাযোগ ও আন্তঃআঞ্চলিক পর্যন্ত সব বিষয় নিয়েই এই অঞ্চলে কাজ করছি আমরা। আমরা বৈশ্বিক ক্ষেত্রেও একসঙ্গে কাজ করছি। অবশ্যই অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। উৎকর্ষ প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আমরা পরস্পর খোলাখুলি আলোচনা করেছি। এই অঞ্চলে অনুঘটকের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, নিজের এবং এই অঞ্চলের রূপান্তরে বাংলাদেশের প্রায় অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আমরা আপনাদের শক্তিশালী অংশীদার হতে উদ্বেল। তিনি বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বর্ধনশীল অর্থনীতিকে যুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে আয় ও জীবনযাত্রার উন্নয়নে আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রও বৃদ্ধি করছি। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ ‘কোস্টগার্ড কাটার’ আগামী ৬ মে ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধানের হাতে তা তুলে দেবেন। তিনি বলেন, নারী ও শিশুর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীকে অপ্রতিরোধ্য সৈনিক আখ্যা দেন তিনি। ভূমিকম্পবিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণ ও চিকিৎসা দল পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানান ওয়েন্ডি শারম্যান। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবারের অংশীদারিত্ব সংলাপ ছিল খুবই গঠনমূলক। সিটি নির্বাচনের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান ॥ ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম এবং বিএনপির ভোট বর্জনের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন্ডি শারম্যান বলেন এখন সরকারকে সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়ে জোর দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনে এর সুফল পাওয়া যায়। তবে নির্বাচনে অনিয়ম এবং ভোটের মাঝখানে বিএনপির বয়কট- দুই ঘটনাতেই আমরা হতাশ। যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, অংশীদারি সংলাপের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গও এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, যা ঘটেছে তা নিয়ে সরকারের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন ভবিষ্যতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে যা দরকার তা সরকার করবে। আমার মনে হয়, এখন সবার যে বিষয়ে মনোযোগ দেয়া উচিত, তা হলো সব অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত, যাতে আগামীতে নির্বাচনে পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যায়। গণতন্ত্রের জন্য এটা খুবই জরুরী। যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব যথেষ্ট বিস্তৃত ও গভীর। আর কেবল দুই দেশ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্যই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিশ্বাস, এ অঞ্চলকে বদলে দেয়ার অসীম সম্ভাবনা বাংলাদেশের সামনে রয়েছে। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে আপনাদের অংশীদার হতে পেরে আমরাও আনন্দিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ॥ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ চলছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারি সংলাপ শেষে শুক্রবার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন শারম্যান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘পলাতক’ বঙ্গবন্ধুর খুনীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শারম্যানকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতেও আন্ডার সেক্রেটারিকে তিনি অনুরোধ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন শারম্যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত রাশেদ চৌধুরী সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বাঙালীদের এক অনুষ্ঠান এলে তাকে ধাওয়া করে তাড়ান প্রবাসীরা। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেন মাহমুদ আলী ও শারম্যান। সহিংস উগ্রপন্থা দমন নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠক করার জন্য মাহমুদ আলীকে ধন্যবাদ জানান শারম্যান। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকা-ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জন কেরির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্কে আস্থা বাড়ার লক্ষণ দেখা গেছে। ওয়াশিংটনে বৈঠককালে জন কেরির বাংলাদেশ সফরের আগ্রহের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘দুই পক্ষের সুবিধামতো সময়ে’ কেরিকে ঢাকায় অভ্যর্থনা জানাতে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মাত্রা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মাহমুদ আলী। এ প্রসঙ্গে শারম্যান বলেন, নয়া দিল্লী থেকে সরাসরি ঢাকায় এসে তিনি বাংলাদেশ-ভারত উষ্ণ সম্পর্কের ধারণা পেয়েছেন। মিয়ানমারের শরণার্থী এবং বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের অবৈধভাবে বসবাসের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে এলেও এ বিষয়টিতে প্রত্যাশিত অগ্রগতি আসছে না বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের কথা শারম্যান স্বীকার করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। খালেদা ও রওশনের সঙ্গে বৈঠক ॥ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা ওয়েন্ডি শারম্যানের কাছে সিটি নির্বাচনে ভোট কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এসব অভিযোগের পক্ষে ‘তথ্য-প্রমাণ’ও খালেদা জিয়া দিয়েছেন বলে বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি শারম্যান শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসায় যান। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন তিনি। এদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে গুলশানে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন শারম্যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারির আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতি কোন কিছুই বাদ যায়নি। বিএনপি নেতারা জানান, সদ্যসমাপ্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ‘সরকার-নির্বাচন কমিশন-শাসক দলের যৌথ উদ্যোগে ভোট কারচুপি’ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর সরকারের নিপীড়ন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বরখাস্ত করার বিষয়গুলো নিয়ে খালেদা জিয়া কথা বলেন। এসব বিষয়ে তথ্য-প্রমাণও তিনি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির কাছে উপস্থাপন করেন। মঈন খান ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ এ সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বৈঠকে ছিলেন। মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ওয়েন্ডি শারম্যান এমন এক সময়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন, যে সময়টি বাংলাদেশের রাজনীতির গতিধারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনটি সিটি নির্বাচন হয়ে গেছে। গণমাধ্যমে সব কিছু জানিয়ে দিয়েছে, ওই নির্বাচনের রহস্য কারও অজানা নয়। বেগম জিয়ার সঙ্গে শারম্যানের বৈঠকে এসব বিষয় উঠে এসেছে। নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মঈন বলেন, তারা (ওয়েন্ডি শারম্যান) কী বলেছেন, তা তারা বলবেন, যা দূতাবাস থেকে বিবৃতি আকারে দিয়ে থাকে। আমরা এ বিষয়ে কিছু বলছি না। সিটি নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্বেগ বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শীর্ষ কর্মকর্তা শারম্যান। দুই দিনের সফর শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্প্রসারণের জন্য ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
×